সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার ছয়টি কৌশল
কালের কণ্ঠ অনলাইন
আপনি হয়তো মনে করতে পারেন সকালে তাড়াতাড়ি ওঠা শুধুই নিয়ম রক্ষার মাধ্যমেই সম্ভব। কিন্তু বাস্তবে এটা শুরু করতে গেলেই আপনি দেখবেন ব্যাপারটা মোটেও ততোটা সহজ নয়। এর কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনার শরীরের সম্পূর্ণ ব্যবস্থাটাই দেরি করে ঘুমানোর জন্য তৈরি হয়ে যায়। যখন আপনি এতে পরিবর্তন আনতে চান, তখন বহু সমস্যা পথরোধ করে। তবে এগুলোকে অতিক্রম করা অসম্ভব নয়। মর্গেনস্টার্নের পরামর্শ অনুসারে বিজনেস ইনসাইডার প্রকাশিত সকালে তাড়াতাড়ি উঠার এ ছয়টি পরামর্শ মেনে চললেই এ সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
১. মানসিকতার পরিবর্তন করুন
ঘুমাতে যাওয়ার বিষয়ে বহু মানুষই ইতস্তত করেন। কারণ তারা আরো কাজ করতে চান। দিন থেকেই তাদের মনে উদ্বেগ বাসা বাঁধে। কিন্তু এ সমস্যার সমাধান করতে হবে একটু ভিন্নভাবে। সেটা হল, ঘুমকে আগামীকালের শুরু হিসেবে বিবেচনা করুন। এর ফলে ঘুম সম্পর্কে আপনার মনোভাব পরিবর্তন হবে। ঘুমকে দিনের জন্য ব্যাটারি চার্জ করার মতো বিষয় হিসেবে বিবেচনা করুন।
২. ঘুমের সময় ঠিক করুন
আমাদের অনেকেই ঘুমবিমুখ এবং প্রায়ই নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ঘণ্টাখানেক সময় দেরিতে ঘুমাতে যাই। এর একমাত্র সফল সমাধান হলো তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া। তারপর যতোক্ষণ ঘুমাতে পারেন সেখান থেকে উল্টোদিক দিয়ে হিসাব করে নির্ণয় করুন আপনার ঘুমের চাহিদা। এরপর সেই অনুযায়ী ঘুমের সময় নির্ধারণ করুন।
৩. রাতের অন্য কাজগুলো সমন্বয় করুন
রাতের খাওয়া ও পড়ার মতো কাজগুলো পুনর্বিন্যাস করুন। আপনি যদি তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে সব কাজ সে সময় অনুযায়ী শেষ না করেন, তাহলে বিষয়টা বাস্তবসম্মত হবে না। তাই নতুন সময়সূচি অনুযায়ী সব কাজ শেষ করলেই আপনার সময়মতো ঘুম আসবে। এছাড়া রাতের খাওয়া খেতে হবে ঘুমানোর কমপক্ষে দুই থেকে তিন ঘণ্টা আগে।
৪. সকালের কাজের প্রস্তুতি নিন
সকালের কাজগুলো অনেক সময় ক্লান্তিকর হয়ে ওঠে। এ কারণে আগেই আপনার সকালের কাজগুলোর জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। সকালে ব্যায়াম করতে চাইলে সেজন্য জিমের পোশাকগুলো ঠিক করে রাখুন, তাড়াতাড়ি অফিসে যেতে হলে জুতা-মোজাসহ সব পোশাক রেডি রাখুন, খাবারের পরিকল্পনা করে রাখুন।
৫. ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্র বন্ধ রাখুন
ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে ৯০ মিনিট আগে আপনার ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রগুলোর প্লাগ খুলে দিন। টিভি দেখা, ইমেইল চেক করা, ই-রিডারে পড়াশোনা করা বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাঘুরি করা বন্ধ করুন। এসব উদ্দীপনামূলক কাজের বদলে ঘুমানোর আগে আপনাকে শিথিল কাজ করতে হবে। ঘুমানোর আগে যেসব কাজ করতে পারেন তার মধ্যে রয়েছে গান শোনা, ছবি আঁকা বা আগামীকালের জন্য খাবার তৈরি করা।
৬. ঘুমানোর আগের রুটিন তৈরি করুন
নিশ্চিন্তে ঘুমাতে যাওয়ার জন্য ঘুমানোর আগের একটি রুটিন তৈরি করুন। এর মধ্যে থাকতে পারে সামান্য হাঁটাহাটি, বাসার জানালা-দরজা চেক করা, লাইট, ফ্যান নেভানো ইত্যাদি।