গতিতে পিছিয়ে থাকতে চায় না দুনিয়ার মানুষ। সীমিত আয়ুর জীবনে তাই সব কিছু দ্রুতগতিসম্পন্ন করার দিকে সবার লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে এবার ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৩১ কিলোমিটার ছাড়িয়ে তিন হাজার কিলোমিটার গতির ট্রেন চলাচলের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এ নিয়ে একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছেন চীনের একজন গবেষক। ভবিষ্যতে ঘণ্টায় তিন হাজার কিলোমিটার গতির ট্রেন উদ্ভাবন সম্ভব বলেই তিনি জানান। সিচুয়ান প্রদেশের চেংদু শহরের সাউথ-ওয়েস্ট জিয়াতং ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক দেং জিগ্যাঙ্গ যাত্রীবাহী এই চৌম্বক প্রযুক্তিনির্ভর ট্রেনের সম্ভাব্য পরিকল্পনা ও প্রযুক্তি তুলে ধরেন।
এশিয়ায় চৌম্বক প্রযুক্তির দ্রুতগতির ট্রেন ইতিমধ্যে ঘণ্টায় কয়েক শ কিলোমিটার অতিক্রমের সামর্থ্য অর্জন করেছে। বর্তমানে এ ধরনের ট্রেন ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪০০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে ছুটতে পারে। বাতাসের প্রতিরোধের কারণে এর বেশি গতি তোলা সম্ভব হয় না। জিগ্যাঙ্গ ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘চলার গতি ঘণ্টায় ৪০০ কিলোমিটার ছাড়ালে বাতাসের প্রতিরোধের কারণে ট্রেন চালিয়ে নেওয়া শক্তির ৮৩ শতাংশেরও বেশি নষ্ট হয়ে যায়।’ তাই ভ্যাকুয়াম টিউব ট্রেন লাইন নির্মাণ করা গেলে স্বাভাবিক বায়ুর চাপ বা প্রতিরোধ ১০ গুণ কমানো সম্ভব হবে বলে তিনি জানান। আর তাতে ভবিষ্যতে ট্রেনের গতি সাত গুণ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব হবে।
সাংহাইয়ে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির চৌম্বক ট্রেন চলাচল করে। এই ট্রেনের গতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৩১ কিলোমিটার। সূত্র : এনডিটিভি।