টেলিকমিউনিকেশান চ্যানেলঃ
ট্রান্সমিটার থেকে রিসিভারে এনালগ বা ডিজিটাল তরঙ্গ আকারে তথ্য পৌঁছাতে গেলে কিছু অবকাঠামোর প্রয়োজন পড়ে, হতে পারে সেটা ফিজিক্যাল মাধ্যম বা হতে পারে লজিক্যাল মাধ্যম, এটাকেই বলে চ্যানেল।
সাধারণত দুই ধরণের মাধ্যমের প্রয়োজন পড়ে। একটি হলো কেবল মাধ্যম, অপরটি তারহীন।
কেবল মাধ্যমের মধ্যে আছে,
১। প্যাঁচানো কেবল (Twisted Pair):
আমাদের প্রচলিত ল্যান্ডফোনে যে তার ব্যবহার করে এক্সচেঞ্জ থেকে বাসায় কানেকশান দেয়া হয় সেটিই এটি। গ্রাহামবেল এর আবিষ্কারক, ১৮৮১ সালে তিনি প্রথম টেলিফোন নেটওয়ার্ক তৈরী করেছিলেন এটি দিয়ে। এর মাধ্যমে তড়িতচুম্বক তরঙ্গ এর মাধ্যমে শব্দকে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পাঠানো হয়। দুই রকমের প্যাঁচানো কেবল আছে, একটি উন্মুক্ত(UTP), আরেকটি কভার দেয়া(STP)। উন্মুক্তটিতে নয়েজ যোগ হয় বেশি, তাই সিগন্যাল লস হয়। বর্তমানে ইন্টারনেট সংযোগ দেয়ার ক্ষেত্রেও এটি ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে স্বল্পদূরত্বের ল্যান কানেকশানে।
চিত্রঃ ১
কানেকশান দেয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের কালার কোড ব্যাবহার করা হয়। AT&T টেলিফোনের জন্য ২৫টি কালার কোড নির্ধারণ করেছে। সাধারণত সাদা/নীল, নীল/সাদা, সাদা/কমলা, কমলা/সাদা এসব কম্বিনেশান দেখা যায়।
টুইস্টেড ক্যাবলের কানেক্টরের স্ট্যাটার্ড হলো আরজে - ৪৫। এই কানেক্টরের দুই ধরণের কানেকশান ক্যাটাগরীর মাধ্যমে পিসিতে ল্যান কার্ডে সংযুক্তি দেয়া হয় ১/ সরল কানেকশান, ২/ ক্রস কানেকশান।
চিত্রঃ ২
লেভেল ১ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্যাটাগরীর প্যাঁচানো কেবল আছে। যেমন, ক্যাটাগরী ৭-এর ব্যান্ডউইথড হলো ১০০০ মেগাহার্জ এবং এটি টেলিফোন, ১০গিগাবেইস-টি ইথারনেট (ল্যান কানেকশান) এবং কেবলটিভির কানেকশানে ব্যবহৃত হয়। ছবিতে আমরা উন্মুক্ত ধরণের প্যাঁচানো কেবল দেখতে পাচ্ছি যেখানে চারটি কালার ব্যবহৃত হয়েছে। এই প্যাঁচানোর একটা প্রধান উদ্দেশ্য হলো তড়িতচুম্বক নয়েজের প্রভাব কমানো, যাতে করে মূল তথ্য সিগনালটি কম ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
চিত্রঃ ৩