পরিবেশে কার্বন ডাই-অক্সাইড বাড়ার জন্য মানুষই দায়ী। এর মারাত্মক কুফলও ভোগ করতে হচ্ছে আমাদেরই। কার্বন ডাই-অক্সাইড বৃদ্ধির ফলে জীবনঘাতী রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হওয়া, পরিবেশগত উদ্বাস্তুর খাতায় নাম লেখানোসহ বিভিন্ন কুফলের সারিটা এবার আরেকটু লম্বা হয়েছে। এই তালিকায় যোগ হয়েছে খাদ্যের পুষ্টিগুণ হ্রাস। বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীদের একটি দল সম্মিলিত গবেষণা শেষে জানিয়েছে, পরিবেশে কার্বন ডাই-অক্সাইড বৃদ্ধির ফলে খাদ্যশস্যের পুষ্টিগুণ কমছে। গবেষণার ফল অনুসারে ২০৫০ সাল নাগাদ খাদ্যশস্যে আয়রন, জিঙ্ক ও প্রোটিনের পরিমাণ প্রায় ১০ শতাংশ কমে যাবে। অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রে ৪১ ধরনের খাদ্যশস্য ও মটরজাতীয় ফসলের ওপর প্রায় দুই দশকের গবেষণা শেষে তাঁরা এ তথ্য জানান। পৃথিবীর প্রায় ২০০ কোটি মানুষের আয়রন ও জিঙ্কের চাহিদা মেটে ওই সব খাদ্যশস্য থেকে। বিশ্বের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ এখনই এই দুটি খাদ্য উপাদানের অভাবে ভুগছে। এগুলোর অভাবে বছরে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ছয় কোটি ৩০ লাখ। তার ওপর কার্বন ডাই-অক্সাইড বৃদ্ধির কারণে খাদ্যের পুষ্টিগুণ আরো কমে গেলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে বলে বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা। কারণ পুষ্টির অভাব মেটাতে বেশি করে খেলে স্থূলতা আর পেটের পীড়ার সমস্যা প্রবল হবে। তবে আশা একেবারে মিলিয়ে যায়নি। কারণ পরীক্ষায় বিজ্ঞানীরা বেশ কয়েক জাতের ধান পেয়েছেন, কার্বন ডাই-অক্সাইডের বৃদ্ধি সত্ত্বেও যেগুলোতে পুষ্টি উপাদানের হার আশাব্যঞ্জক। সূত্র : বিবিসি।