Bangladesh > Business

বিনিময় হারের ঝুঁকি কমা​​তে জিসিইউ কাজ করতে চায়

(1/1)

maruppharm:
বিনিময় হারের উত্থান–পতনের ঝুঁকি কমাতে ডেনমার্কভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল কারেন্সি ইউনিয়ন (জিসিইউ) বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানিকারকদের সঙ্গে কাজ করতে চায়।

প্রতিষ্ঠানটি একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে মুদ্রার বিনিময় হারের উত্থান–পত​েনর ঝুঁকির অনুমান, বৈদেশিক বাণিজ্যে আমদানি ও রপ্তানিকারকদের মধ্যে এই ঝঁুকি বন্টন বিষয়ে মূলত পরামর্শকের কাজ করবে। এক্ষেত্রে উভয়পক্ষ সমঝোতায় পৌঁছলে কোনো মুদ্রার মূল্যমানের উত্থান-পতনের পরিমাণ আমদানি ও রপ্তানিকারকের ওপর অনুপাতিক হারে পড়বে। তাতে বর্তমানে বিনিময় হারের উত্থান-পতনে আমদানিকারক বা রপ্তানিকারকের যে ক্ষতি হচ্ছে সেটি অনেকটা লাঘব হবে।

দেশে সফররত জিসিইউ’র প্রতিষ্ঠাতা জেসপার টফট্ প্রথম আলোকে বলেন, তাদের পদ্ধতিটি বিনিময় হারের ঝুঁকি লাঘবের একটা উদ্যোগ মাত্র। একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে তারা বিনিময় হারের ঝুঁকির বিষয়টি আগেভাগেই অনুমান করে সেই অনুসারে পদক্ষেপ নেবেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি লেনদেনের (আমদানি ও রপ্তানি) জন্য আমরা ১০ থেকে ২০ ডলার পর্যন্ত নেব। এটাই আমাদের মুনাফা বা আগ্রহ।’

জিসিইউ’র এই প্রতিনিধি দলটি গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে তাদের পদ্ধতিটি তুলে ধরেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের পদ্ধতিটিকে স্বাগত জানাচ্ছে। পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে গত মঙ্গলবার দুটি সংবাদপত্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন জিসিইউ’র প্রতিনিধিরা।

প্রতিনিধিদলটি ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি), ব্যাংকে শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বিজিএমইএ, বড় আমদানিকারকদের সঙ্গে দেখা করে তাদের পদ্ধতিটি তুলে ধরেন।

জেসপার টফট ও প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে তারা এখন গোটা পদ্ধতিটি বিভিন্ন দেশ, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যেযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যাখ্যা করছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো তাদের পদ্ধতি ও পদক্ষেপগুলোকে ইতিবাচকই মনে করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও প্রক্রিয়াকে ইতিবাচক হিসাবে মনে করছে।

২০০৮ সাল থেকে মুদ্রার বিনিময় হারের ঝুঁকির বিষয়টি নিয়ে এই প্রক্রিয়া তৈরি কাজ শুরু করে জিসিইউ। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে ১২৬টি মুদ্রার বিনিময় হারের ঝুঁকি লাঘবের বিষয়টি জিসিইউ সম্প্রতি চূড়ান্ত করেছে। এই ব্যবস্থাটি ১৭টি ভাষায় উপস্থাপন করা হচ্ছে।

জেসপার টফট বলেন, ‘সব মুদ্রার ক্ষেত্রেই বিনিময় হারের ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত দরপতনের ঝুঁকি এই ব্যবস্থার মাধ্যমে লাঘব করা যাবে।’

মুদ্রাবাজার এমনকি যেকোনো বাজারের ক্ষেত্রে ‘স্পেকু্লেশন’ থাকবে। সেক্ষেত্রে পদ্ধতিটির ভূমিকা কি হবে এমন প্রশ্নে জেসপার বলেন, ‘আমরা এই স্পেকু্লেশনকে কমাতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘হিসাব পদ্ধতির অভাবে বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানিকারকেরা প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিময় হারের লোকসানে পড়ে।’

Navigation

[0] Message Index

Go to full version