নিজের রেকর্ডই ভেঙে দিয়ে ২০০৯ বার্লিন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে তাঁর গড়া নতুন বিশ্ব রেকর্ড এখনো অ্যাটলেটিকস-বিশ্বের কাছে বিস্ময়। একজন রক্ত-মাংসের মানুষ কী করে ১০০ মিটার ৯.৫৮ সেকেন্ডে এবং ২০০ মিটার ১৯.১৯ সেকেন্ডে দৌড়াতে পারেন? সেই রেকর্ড এখনো অক্ষত তো বটেই, ভবিষ্যতেও কেউ কোনো দিন ভাঙতে পারবেন কি না সংশয় আছে। ভুল! উসাইন বোল্ট নিজেই নিজের বছর চারেকের ধুলোপড়া রেকর্ডটা ভেঙে দিয়ে গড়তে চান নতুন করে। অন্তত ২০০ মিটারে এবং সেটা ২০১৪ সালের শুরুর দিকেই।
শুধু ভেঙে দেওয়াই নয়, আগামী বছর ২০০ মিটারে সময়টা জ্যামাইকান ‘বজ্রবিদ্যুৎ’ নামিয়ে আনতে চান ১৯ সেকেন্ডের নিচে! গত মঙ্গলবার বাজারে এসেছে বোল্টের আত্মজীবনী ফাস্টার দ্যান লাইটনিং (বিজলিচমকের চেয়েও দ্রুততর)। বইটিতে সর্বকালের দ্রুততম মানব লিখেছেন, ২০০ মিটারে সময়টা ১৯ সেকেন্ডের কমে নামিয়ে আনাটা হবে আগামী অলিম্পিকে সোনা জয়ের চেয়েও বড় সাফল্য। তবে এটাও বলেছেন, মাইলফলকটা পেরোতে মৌসুমে তাঁকে হতে হবে নিখুঁত, ঠিক যতটা নিখুঁত ছিলেন ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকের বছরে। ‘ধরে নিন, আমি ১০০ মিটারে আরও কম সময়ে দৌড়াতে পারব না। তবে আমি চাইব ২০০ মিটারে ১৮ সেকেন্ডের ঘরে সময় করতে। এমনকি সেটা ১৮.৯৯ সেকেন্ড হলেও’—২৯১ পৃষ্ঠার বইটিতে লিখেছেন টানা দুটি অলিম্পিকে ট্রেবলজয়ী ইতিহাসের প্রথম অ্যাথলেট।
বয়স ২৭ হয়ে গেছে। এই প্রশ্নটাও তাই ওঠা অস্বাভাবিক নয় যে আর কত দিন নিজের রাজত্ব ধরে রাখতে পারবেন বোল্ট? কিন্তু কেউ যাতে এমন প্রশ্ন তোলার সাহস না করেন, সে জন্য আগে থেকেই হুমকি দিয়ে রাখলেন ২০১৬ রিও অলিম্পিকের আগে নিজেকে নতুন লক্ষ্য বেঁধে দেওয়া বোল্ট, ‘ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের তারকা হিসেবে আগামী কয়েক বছরে আমার মর্যাদা শেষ করতে পারে কেবল একজনই—আমি। আমি একজন ফেনোমেনন, ভয়ংকর প্রতিযোগী—আমার প্রজন্মের কিংবদন্তি। বিশ্বাস করুন, আমার সময়টা শিগগিরই শেষ হচ্ছে না।’ ওয়েবসাইট।