Entertainment & Discussions > Sports Zone

বিশ্বকাপের এক অলৌকিক ধাঁধা

(1/1)

maruppharm:
বিশ্বকাপ, দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের পর্দা ওঠার আর মাত্র ২৭ দিন বাকি। দুরু দুরু বুকে ফুটবলপ্রেমীরা ক্ষণগণনা শুরু করে দিয়েছেন নিশ্চয়ই। শুরু হয়েছে প্রথম আলো অনলাইনেরও ‘কাউন্ট ডাউন’। প্রতিদিন ধারাবাহিকভাবে ক্ষণগণনা নিয়ে একটি বিশেষ রচনা থাকছে। আজ থাকছে ‘২৭’ সংখ্যাটি নিয়ে—

 

১৯৫৪ সালের ফাইনালে পশ্চিম জার্মানির কাছে হেরেই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল হাঙ্গেরির এই সোনালি প্রজন্মের১৯৫৪ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালটি এখনো ফুটবল বিশ্বে একটা রহস্যই হয়ে আছে। বিশ্বকাপ ইতিহাসের যেন এক অলৌকিক ধাঁধা। সত্যিই, সেটা যেন ছিল অলৌকিক কোনো ঘটনা। ‘মারভেলাস ম্যাগিয়ার্স’খ্যাত হাঙ্গেরি যে পশ্চিম জার্মানির কাছে হেরে যেতে পারে, সেটা ছিল কল্পনার বাইরে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুইজারল্যান্ডের রাজধানী বার্নে ঘটে গিয়েছিল সেই অচিন্তনীয় ঘটনাটিই। ৩-২ গোলের জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছিল পশ্চিম জার্মানি। ফুটবল বিশ্বে এখনো সেই ম্যাচটা স্মরণীয় হয়ে আছে ‘মিরাকল অব বার্ন’ নামে।

ফেরেঙ্ক পুসকাস, সান্দোর ককসিস, জলতান চিবর, নান্দোর হিদেকুতি, ইউজেফ বজিকদের নিয়ে গড়া হাঙ্গেরি দলটা ছিল সত্যিই অবধ্য। ১৯৫০ সালের জুন থেকে ১৯৫৪ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে টানা ৩১ ম্যাচ অপরাজিত ছিল হাঙ্গেরি। ১৯৫৩ সালে তারা ইংল্যান্ডের মাটিতে গিয়েই ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল ৬-৩ গোলে। যে ম্যাচটি পরে পেয়েছিল ‘শতাব্দীর সেরা ম্যাচের’ খেতাব। ১৯৫৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে হাঙ্গেরির হেরে যাওয়াটা তাই অপার বিস্ময়েরই জন্ম দিয়েছিল।

সেই আসরে অবশ্য হাঙ্গেরি এমন একটা রেকর্ড গড়েছিল, যা আর কেউই ভাঙতে পারেনি। ১৯৫৪ সালের সেই বিশ্বকাপে মাত্র পাঁচটি ম্যাচ খেলেই হাঙ্গেরি করেছিল ২৭টি গোল। এটিই কোনো দলের এক আসরে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড হিসেবে আজও টিকে আছে। গ্রুপ পর্বেই হাঙ্গেরি পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়েছিল ৮-৩ গোলের বিশাল ব্যবধানে।

আরও একটি রেকর্ডের কারণে স্মরণীয় হয়ে আছে ২৭ সংখ্যাটি। ১৯৩০ সালের প্রথম বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার কোচ হিসেবে উরুগুয়েতে এসেছিলেন ২৭ বছর বয়সী হুয়ান হোসে ট্রামুটোলা। তাঁর চেয়ে কমবয়সী কোচ আজ পর্যন্ত আর দেখা যায়নি বিশ্বকাপে। সেবার আর্জেন্টিনা ফাইনালেও খেলেছিল এই ট্রামুটোলার তত্ত্বাবধানে।

kwnafi:
Excellent Post  :) :)

monirulenam:
thanks

Navigation

[0] Message Index

Go to full version