বিভিন্ন ফলের প্যাকেট জাত পাল্প ও পাউচঃ আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে ফলের তৈরী জিনিস দাঁতের জন্য খারাপ হবে কেনো! কিন্তু এই খাবার প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় ব্যবহার করা হয় প্রচুর চিনি যা শিশুর দাঁত ও মাড়ির ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।
চুইংগাম বা আঠালো ক্যান্ডি চকোলেট: বিভিন্ন চুইংগাম বা এ ধরণের চকোলেট শিশুদের অনেক প্রিয় হলেও এগুলো দাঁতের অনেক ক্ষতি করে থাকে। এর আঠালো ভাব দাঁতের সাথে লম্বা সময়ের জন্য লেগে থাকতে পারে যা সময়ের সাথে দাঁতের উপর চিনির একটি আস্তরণ তৈরি করে ফেলে। তাই ছোটবেলা থেকেই এ ধরণের খাদ্যগ্রহণে শিশুকে নিরুৎসাহিত করুন।
বিভিন্ন ধরণের কার্বোনেটেড কোমল পানীয়তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে চিনি ও ক্যাফেইন। উভয়ই দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। তাই আপনার সন্তানকে এসব খাবার সীমিত পরিমাণে দিন। আর দিলেও নিশ্চিত করুন এসব খাবার পর সে ভালোভাবে কুলি করেছে।
বিভিন্ন রকমের টক জাতীয় চকোলেটেও আছে দাঁতের ক্ষতিকারক বিভিন্ন উপাদান। তবে এ ব্যপারে সতর্ক হোন যে এসব খাওয়ার পর সাথে সাথে শিশুকে কুলি বা ব্রাশ করাবেন না। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন যাতে খাবারে বিদ্যমান এসিড পানির সাথে আরও ভিতরে প্রবেশ না করতে পারে।
স্টার্চ বা শর্করা জাতীয় খাদ্য এড়িয়ে চলা সত্যিই কঠিন কাজ। তবে এটি অন্যান্য খাদ্য ও সবজির পুষ্টিমান অনেকাংশে কমিয়ে দেয় এবং সেই সাথে খাদ্যকে খুব দ্রুত চিনিতে রূপান্তরিত করে। তাই এ ব্যপারে সচেতন থাকুন, শিশু যাতে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় স্টার্চ গ্রহণ করে।
বিভিন্ন রকমের জুস, ফলের রস ও দুধ শিশুকে খাওয়ানোর পর খুব দ্রুত তার মুখ ধুইয়ে দিন। তা না হলে তা দাঁতের ও মাড়ির বিভিন্ন ক্ষতি করতে পারে। এ ব্যপারে সাবধান হোন।