২ মাস বয়সের শিশু :
হাসতে পারে, বাবা মার দিকে তাকাতে পারে, মুখের ভেতর নিজের হাত নিজেই ঢোকাতে পারে, শব্দের দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকায়, এলোমেলো শব্দ করে, মাথা উচু করতে পারে, চলমান বস্তু চোখ দিয়ে অনুসরন করতে পারে।
ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে যদি ২ মাস বয়সের শিশুটি জোরে শব্দ হলেও নজর না দেয়, , চলমান বস্তুকে চোখ দিয়ে অনুসরন না করে, না হাসতে পারে, মাথা উচু করতে না পারে।
৪ মাস বয়সের শিশু:
খেলতে পারে, ক্ষুধা, ব্যাথা বা ক্লান্ত হলে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে কাদতে পারে, হাত দিয়ে খেলনা ধরতে পারে, বাবা মাকে চিনতে পারে, উপুর করে দিলে থাকতে পারে।
ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে যদি ৪ মাস বয়সের শিশুটি মাথা উচু করতে না পারে, এলোমেলো শব্দ না করে, চলমান বস্তুকে চোখ দিয়ে অনুসরন না করে।
৬ মাস বয়সের শিশু:
আয়নায় নিজেকে চিনতে পারে, শব্দের অনুকরন করার চেষ্টা করে, সব কিছু মুখে দেবার চেষ্টা করে, নিজে থেকেই উপুর হতে পারে, দুহাতে ধরে দাড় করে দিলে লাফানোর চেষ্টা করে।
ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে যদি ৬ মাস বয়সের শিশুটি কোন কিছু ধরতে না পারে, উপুর না হয়, হাত পা সবসময় শক্ত করে রাখে, হাত পা নিজে থেকে নাড়াতে না পারে।
৯ মাস বয়সের শিশু:
অপরিচিত লোক দেখে ভয় পায়, আধোআধো বুলি বলে, আঙ্গুল দিয়ে জিনিসপত্র দেখাতে পারে, ধরে ধরে দাড়াতে পারে, একা একাই বসতে পারে, হামাগুড়ি দেয়।
ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে যদি ৯ মাস বয়সের শিশুটি একা একাই বসতে না পারে, আধোআধো বুলি না বলে, কাওকে চিনতে না পারে, আঙ্গুল দিয়ে নির্দেশ করলে না তাকায়।
১ বছর বয়সের শিশু:
অপরিচিত লোক দেখে ভয় পায়, প্রিয় খেলনা নিয়ে খেলতে পছন্দ করে, মুখে বলে কোন নির্দেশ দিলে পালন করতে পারে, হাত নেড়ে মনের ভাব বুঝাতে পারে( বিদায় বেলায় “বাই”), ধরে ধরে হাটতে পারে।
ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে যদি ১ বছর বয়সের শিশুটি হামাগুড়ি না দেয়, ধরে ধরে দাড়াতে না পারে, আঙ্গুল দিয়ে নির্দেশ করলেও তাকায় না।
দেড় বছর বয়সের শিশু:
জিনিসপত্র চিনতে পারে, কলম দিয়ে আকিবুকি আকতে পারে, একা একা হাটতে পারে, কাপ থেকে খেতে পারে, চামুচ দিয়ে খেতে পারে।
ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে যদি দেড় বছর বয়সের শিশুটি আঙ্গুল দিয়ে নির্দেশ করতে না পারে, একা একা হাটতে না পারে।
দুই বছর বয়সের শিশু:
অন্যদের নকল করতে পারে, অন্য শিশুদের, নাম শুনে জিনিসপত্র চিনতে পারে, মুখে বলে নির্দেশ দিলে পালন করতে পারে, দৌড়ানো শুরু করে, বল ছুড়তে পারে, সোজা রেখা বা বৃত্ত আকতে পারে।
ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে যদি দুই বছর বয়সের শিশুটি মুখে বলে নির্দেশ দিলে পালন করতে না পারে, দুটির বেশী শব্দ বলতে না পারে।
তিন বছর বয়সের শিশু:
২ বা তিনটি শব্দ বিশিষ্ট বাক্য বলতে পারে, একা একা জামা পড়তে পারে, হাতল বা সুইচ চাপতে পারে, তিন চাকার সাইকেল চালাতে পারে, দৌড়াতে পারে, সিড়ি বেয়ে উঠতে পারে।
ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে যদি তিন বছর বয়সের শিশুটি সিড়ি বেয়ে উঠতে না পারে, ২ বা তিনটি শব্দ বিশিষ্ট বাক্য বলতে না পারে, কারো চোখের দিকে না তাকায় ।
চার বছর বয়সের শিশু:
নতুন খেলা খেলতে ভালোবাসে, নিজের পছন্দ বলতে পারে, গল্প করতে পারে, কিছু রং এবং সংখ্যা চিনতে পারে, ছুড়ে দেয়া বল ধরতে পারে, এক পায়ে দাড়াতে পারে, কিছু অক্ষর দেখে লেখতে পারে।
ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে যদি চার বছর বয়সের শিশুটি লাফাতে না পারে, কথা অস্পস্ট থাকে, খেলায় কোন আগ্রহ না থাকে।
পাঁচ বছর বয়সের শিশু:
অন্য শিশুদের সাথে বন্ধুত্ব করে, জেদ করতে পারে, ছেলে এবং মেয়ের ভেতর পার্থক্য করতে পারে, নাম ঠিকানা বলতে পারে, ১০ পর্যন্ত গুনতে পারে, ডিগবাজী খেতে পারে, দোল খেতে এবং বেয়ে উঠতে পারে।
ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে যদি পাঁচ বছর বয়সের শিশুটি কোন আবেগের প্রকাশ না করে, কোন কিছু আকাতে না পারে, খেলায় কোন আগ্রহ না থাকে।।
Collected