এসে গেল বিশ্বকাপ। সারা বিশ্ব আবারো বঁুদ হয়ে দেখবে বিশ্বসেরা ফুটবলারদের জাদু। জাদুর মূল উপকরণ সেই ফুটবলটা নিয়েই গত কয়েক আসরে ফুটবলারদের অভিযোগের অন্ত ছিল না। গতবারের জাবুলানির কথাই ধরা যাক। আফ্রিকার প্রথম বিশ্বকাপের বলটার গতি-প্রকৃতি এতটাই অননুমেয় ছিল যে এটির নামই হয়ে গিয়েছিল ‘অতিপ্রাকৃতিক’।
২০০৬ সালের অফিশিয়াল বল টিমজিস্টকে নিয়ে অভিযোগ ছিল, বলটা বেশি পিচ্ছিল। ২০০২ দক্ষিণ কোরিয়া-জাপান বিশ্বকাপের বল ফিভারনোভার খঁুত ছিল বলটা অতিমাত্রায় হালকা, লাফাতও বেশি।
তবে এবার ব্রাজুকা আসছে সুখবর নিয়ে । বিশ্বকাপ আয়োজনের অব্যবস্থাপনা নিয়ে ব্রাজিলকে ঘিরে যতই অস্বস্তি থাকুক না কেন, ফুটবলারদের স্বস্তি দিতে পারে ব্রাজুকা। রীতিমতো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই পরশু জাপানের একদল বিজ্ঞানী জানিয়ে দিলেন অ্যাডিডাসের তৈরি নতুন বলটা নিখঁুত। দ্বাদশ বিশ্বকাপের অফিশিয়াল বলটাকে এবার মুড়ে দেওয়া হয়েছে প্রপেলার আকৃতির ছয়টি পলিইউরেথেন প্যানেল দিয়ে। এই প্যানেলের কারণেই বলটা একটু বেশি গোল ও বাতাসে এর গতিও থাকবে বেশি। এবং থাকবে প্রত্যাশিত গতিপথেই।
সাধারণত ৩২টি প্যানেল থাকে সাধারণ ফুটবলে। কিন্তু বিশ্বকাপ এলেই ‘গিনিপিগ’ হয়ে যায় বলটা। গতবারের জাবুলানিতে ছিল আটটি ও টিমজিস্টে ১৪টি প্যানেল। এবার সবচেয়ে কম প্যানেল ফুটবলে।
জাপানের সুকুবা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলীরা ব্রাজুকা, জাবুলানি, টিমজিস্ট, গত বছরের কনফেডারেশনস কাপের কাফুসা ও প্রথাগত ৩২ প্যানেলের ফুটবলের বায়ুগতিবিদ্যার পরীক্ষা নিয়েছেন। সেই পরীক্ষাতেই প্রমাণ হয় ‘অতিপ্রাকৃতিক’ জাবুলানি বলে বড় ধরনের খঁুত ছিল। অন্যদিকে ব্রাজুকাই সবচেয়ে গতিশীল, এরপরই ৩২ প্যানেলের বল। বাতাসেও নির্দিষ্ট পথে বেশি স্থির ব্রাজুকা।
বলের এই অনুমেয় চরিত্রে সবচেয়ে বেশি খুশি হওয়ার কথা গোলরক্ষকদের। বলের অস্বাভাবিক আচরণে বোকা বনার দিন যে শেষ হলো৷ এএফপি।