একটু একটু করে কমে আসছে সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টা, দিন। কমতে কমতে ১২ জুন থেমে যাবে ক্ষণগণনার ঘড়িটা। সাও পাওলোর অ্যারেনা করিন্থিয়ানসে বেজে উঠবে বিশ্বকাপের বাঁশি।
ফুটবল বাঙালিরও প্রাণের খেলা। চার বছর পর পর তাই পৃথিবীর যেখানেই বিশ্বকাপ হোক, সাত সমুদ্র তেরো নদী দূরে এ দেশেও শুরু হয় রাত জেগে খেলা দেখার উৎসব।
একেবারে নিখাদ রাত জাগা যাকে বলে সেটি গত কয়েকটা বিশ্বকাপে ঠিক পাওয়া যায়নি। দক্ষিণ আফ্রিকায় যেমন বেশির ভাগ খেলা ছিল বাংলাদেশ সময় রাত আটটা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে। কিছু ম্যাচ তো বিকেলেও হয়েছে। জার্মানিতে তার আগের বিশ্বকাপে, কিংবা ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সেও সন্ধ্যা থেকে রাত একটার মধ্যেই ছিল সবগুলো ম্যাচ। মাঝে ২০০২ সালে দক্ষিণ কোরিয়া-জাপানে তো সময়টাই ওলট-পালট হয়ে গিয়েছিল এ দেশের দর্শকদের জন্য। ওই বছর বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখতে হয়েছে দিনের বেলায়, সময়টা ছিল বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত। বিশ্বকাপের উন্মাদনা যতই থাকুক, একেবারে ভোররাত পর্যন্ত খেলা দেখার বাড়তি আনন্দ সবার ছিলই না।
সেই আনন্দ এবার ফিরিয়ে দিতে আসছে ব্রাজিল বিশ্বকাপ, রাত জাগার চূড়ান্ত আমেজ নিয়ে। মোট ৬৪টি ম্যাচের মধ্যে রাত ১০টায় শুরু ২৪টি ম্যাচ, ১১টি ম্যাচ হবে বাংলাদেশ সময় রাত একটায়, যার মধ্যে আছে ১৩ জুলাই মারাকানার ফাইনালও। দুই সেমিফাইনাল ও তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচসহ ১৮টি ম্যাচ হবে রাত দুইটায়। ভোর চারটায় আছে ১০টি ম্যাচ, সবগুলোই অবশ্য গ্রুপ পর্বের। এমনকি সকাল সাতটায়ও আছে একটা ম্যাচ। সেটার জন্য অবশ্য রাত জাগতে হবে না, আয়েশ করে ঘুমানোর পর খুব সকালে উঠলেই চলবে।