Science & Information Technology > Astronomy

গ্রিনহাউস উষ্ণতা শুষছে সমুদ্র

(1/1)

maruppharm:
গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন বাড়লেও বিগত কয়েক বছরে উষ্ণতা মাত্রার পরিবর্তন সেভাবে হয়নি। কারণ সমুদ্রের গভীরতম অংশ এ উষ্ণতার অধিকাংশ শোষণ করে নিচ্ছে। এর ফলে গত দশ হাজার বছরের তুলনায় সমুদ্রের উষ্ণতা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 
 
 

সম্প্রতি টাইম ম্যাগাজিন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জাতিসংঘের ইন্টারগভর্নমেন্ট প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জের (আইপিসিসি) গবেষকরা বৈশ্বিক উষ্ণতা বিজ্ঞানের উপর নতুন বিশ্লেষণ তৈরি করেছেন। নতুন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, তারা যেমন অনুমান করেছিলেন সেভাবে জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে না।

বিগত কয়েক বছর যাবত বিশ্বে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন বেড়েই চলেছে। এমনকি ২০১২ সালে তা আগের সব রেকর্ডও অতিক্রম করেছে। বায়ুমণ্ডলেও কার্বনের পরিমাণ ধীরে ধীরে আশংকাজনক হারে বাড়ছে। কিন্তু গত পনের বছরে পৃথিবী পৃষ্ঠের গড় উষ্ণতায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি।

জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের অনুমান অনুযায়ী পৃথিবীপৃষ্ঠের উষ্ণতা যে হারে বাড়ার কথা ছিল সে হারে তা বাড়েনি। এর প্রধান কারণ সমুদ্রের গভীরতম অংশ ক্রমাগত শোষণ করে নিচ্ছে উষ্ণতা।

এ বিষয়টি নিয়ে গবেষকদলের প্রধান যুক্তরাষ্ট্রের রাটগার্স ইউনিভার্সিটির গবেষক ইয়ার রোসেনথাল প্রশান্ত মহাসাগরের একটি অংশে গবেষণা চালিয়ে দেখেন মহাসাগরটির মধ্যবর্তী অংশের গভীরতায় উষ্ণতা পনের গুণ গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিষয়টি অনেকটা এমন যে, সমুদ্র ব্যাটারির মতো কাজ করছে। গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়ার কারণে সৃষ্ট অতিরিক্ত চার্জ এটি শোষণ করে নিচ্ছে। যার ফলে পৃথিবীপৃষ্ঠের উষ্ণতা যে হারে বাড়ার কথা ছিল, সে হারে বাড়ছে না।

তার মানে এই নয় যে, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি থেমে গেছে। রোসেনথাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, শক্তি এবং উষ্ণতা সংরক্ষণের জন্য সমুদ্রের ক্ষমতাকে তারা ছোট করে দেখেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, বিষয়টি হয়তো তাদের কিছুটা সময় দিয়েছে। তবে কতটুকু সময়, তা তিনি জানেন না। তবে এটি জলবায়ু পরিবর্তন বন্ধ করবে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

Navigation

[0] Message Index

Go to full version