Success Consciousness > Inspiration Stories
রিভের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল হাসান: Zero to Hero
(1/1)
shibli:
রেজাউল হাসান
৭৮টি দেশে দুই হাজার ৩০০ টেলিযোগাযোগপ্রতিষ্ঠান আর আট কোটি ব্যবহারকারী। একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের কাজের পরিধির সংখ্যাগত তথ্য। এমনটা হতেই পারে, কিন্তু অবাক হতে হয় তখনই, যখন আপনি জানবেন এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশি মালিকানাধীন। শুরুটা ঢাকার খিলগাঁও এলাকার একটা গ্যারেজে, কর্মী ছিলেন মাত্র ছয়জন। আর এখন কর্মীর সংখ্যা ৩০০ জন। এমন গল্প আমরা মাইক্রোসফট, গুগল, ড্রপবক্স, ফেসবুকে অহরহই শুনি। আমেরিকা-ইউরোপে এমন উত্থান, বিশ্বজয়ের কাহিনি স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশি কোম্পানির বহুজাতিক হয়ে ওঠার ঘটনা বিরলই।
রিভ সিস্টেমস নামের বাংলাদেশি এই তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি এখন ইন্টারনেট প্রটোকল-নির্ভর (আইপি) সাশ্রয়ী টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে এখন অন্যতম সেরা সফটওয়্যার নির্মাতা। বাংলাদেশের সফটওয়্যার শিল্প যেখানে মূলত সেবা বা আউটসোর্সিং-নির্ভর, সেখানে একক সফটওয়্যার পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাওয়ার জন্য যে উদ্ভাবনী ক্ষমতা, সাহস আর ধৈর্য দরকার, তা ছিল রিভের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল হাসানের।
ফরাসি রিভ শব্দের অর্থ স্বপ্ন। তাই তো সিঙ্গাপুর থেকে রেজাউল হাসান বলতে থাকেন, ‘আমাদের একটা স্বপ্ন ছিল। সফটওয়্যার পণ্য তৈরি করে বিশ্ববাজারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। ভেবে দেখলাম, আমরা যদি সৃজনশীল আর কারিগরি দিকটার সমন্বয় খুব ভালোভাবে করতে পারি, তবে তা সম্ভবও।’ নিজেদের কাজের ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিলেন আইপি টেলিফোনিকে।
২০০৩ সালে রিভ সিস্টেমসের যাত্রা শুরু। সে সময় বুয়েট থেকে কম্পিউটার কৌশলে সদ্য স্নাতক আজমত ইকবালকে দায়িত্ব দেন কারিগরি দিক দেখার। আজমত এখন রিভের কারিগরি পরিচালক ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা। কিছুদিনের মধ্যেই সফটওয়্যার উন্নয়নে যোগ দেন মমি মনজিল এবং বিপণনে রায়হান হোসেন। রেজাউল হাসান পণ্যের ধারণা-চিন্তাটা দিয়ে দেন, আর কারিগরি দল তা তৈরি করে দেয়।
প্রথম পণ্য ভিওআইপি টেলিফোন কলের স্বয়ংক্রিয় বিল করার সফটওয়্যার আইটেল বিলিং। ‘২০০৪ সালে বাংলাদেশে কম্পিউটার সমিতির মাধ্যমে থাইল্যান্ডের একটা মেলায় যাই, সেখানে আমাদের এই সফটওয়্যার একজন নগদ টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে যান। আমাদের উদ্যম বেড়ে যায়।’ এরপর একে একে তৈরি হয় আইটেল মোবাইল, কল ব্যাক ডায়ালার, পিসি ডায়ালার ইত্যাদি পণ্য। কয়েক মাস আগে বার্সেলোনায় এ বছরের জিএসএম মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে রিভ সিস্টেম বাজারে আনে এমন এক পণ্য, যেটা ফিক্সডফোন ব্যবসাকে আবার চাঙা করতে পারে। এটা দিয়ে মোবাইল ফোন থেকেই ভিওআইপি কল করা যাবে, তবে কলটা হবে ফিক্সড ফোনের মাধ্যমে। ফলে খরচ আরও কম পড়বে। আগামীকাল ৪ জুন ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৪-তে রিভ চ্যাট সফটওয়্যার অনানুষ্ঠানিকভাবে বাজারে আনছে রিভ সিস্টেমস।
ব্যবসায়ী বাবা এ বি এম হাসান ও গৃহিণী মা রাবেয়া হাসানের তিন ছেলের মধ্যে মেজো রেজাউল হাসান খিলগাঁও সরকারি হাইস্কুল থেকে ১৯৮২ সালে এসএসসি পাস করেন৷ এরপর নটর ডেম কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে ভর্তি হন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। কৃষি প্রকৌশলে স্নাতক হয়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ) থেকে এমবিএ ডিগ্রি নেন। অন্য চাকরি থেকে ১৯৯৮ সালে আসেন তথ্যপ্রযুক্তি জগতে। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন প্রশিকা কম্পিউটার সিস্টেমে। ‘দেশে তখন অনলাইন ইন্টারনেট চালু হয়েছে। ডট নেটের উত্থান গোটা দুনিয়ায়।’ তাই এ ক্ষেত্রটিকে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রেজাউল হাসান। ২০০০ সালে প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন গ্লোবাল নেটওয়ার্কে (বর্তমানে আমরা নেটওয়ার্ক)। প্রতিষ্ঠানটিকে গড়ে তোলেন বিশেষায়িত করপোরেট ইন্টারনেট সংযোগদাতা হিসেবে।
স্বপ্ন আর দলগত কাজই এগিয়ে নিয়ে গেছে রেজাউল হাসানের প্রতিষ্ঠান রিভ সিস্টেমসকে। তিনি অবশ্য সব সময় বহুবচনে বিশ্বাসী, কখনোই ‘আমি’ বলেন না, বলেন ‘আমরা’।
রিভ সিস্টেমসের প্রধান কার্যালয় সিঙ্গাপুরে। সফটওয়্যার উন্নয়নের মূল কার্যালয় বাংলাদেশ ও ভারতে। কার্যালয় আছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, লেবানন, জর্ডান ও পাকিস্তানে। আইপি টেলিযোগাযোগ সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও পেয়েছে রিভ সিস্টেমস। রেডহেরিং গ্লোবাল ১০০ তালিকায় আছে রিভের নাম। এ ছাড়া পেয়েছে অনেকগুলো পুরস্কার।
রেজাউল হাসানের ফার্মাসিস্ট স্ত্রী মন্নুজান নার্গিস স্বামীর সঙ্গে এ ব্যবসার নানা কিছু দেখাশোনা করেন। কয়েক বছর আগে তাঁরা ঢাকায় চালু করেছেন ফ্যাশন হাউস লা রিভ। মন্নুজানই মূলত এটা দেখাশোনা করছেন। শিগগিরই দেখা যাবে তাঁদের আরও দুটি ব্যবসায় উদ্যোগ।
এখনো রেজাউল হাসান স্বপ্ন দেখেন দল নিয়ে এগিয়ে চলার, বাংলাদেশকে প্রযুক্তিবিশ্বে তুলে ধরার। তাই ফি বছরই কমিউনিক এশিয়া, জিটেক্স, মোবাইল কংগ্রেসের মতো তথ্যপ্রযুক্তির আন্তর্জাতিক মেলাগুলোর পরিসর বড় হচ্ছে রিভ সিস্টেমসের স্টল-প্যাভিলিয়নের।
আমিই বাংলাদেশ নিয়ে পরামর্শ ও তথ্য যোগাযোগ: ab@prothom_alo.info
http://www.prothom-alo.com/we_are/article/232357/%E2%80%98%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%9C_%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E2%80%99_%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87_%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A7%81%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95?fb_action_ids=645466205545638&fb_action_types=og.likes&fb_ref=.U49A69LMyU4.like
shibli:
maruf2703:
Really impressed.
shibli:
ঢাকা: অনলাইন মার্কেটপ্লেসকে বিকল্প প্রচারণার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে ব্যবসার গতি পাল্টে ফেলেছেন নতুন উদ্যোক্তারা। আলিফ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ওয়াহিদ হাসান সাইফ তারই উদাহরণ।
সাইফের শুরুটা খুব সহজ ছিল না। পরিবারের পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তৃতীয় ওয়াহিদ হাসান সাইফ ছোটবেলা থেকে ব্যবসায়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। তাই স্কুলের ফাঁকে ফাঁকে, রোজা বা গ্রীষ্মের ছুটিগুলো কাটাতেন ব্যবসায়ী চাচা ও চাচাতো ভাইদের সঙ্গে তাদের নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।
লেখাপড়া শেষ করে চাকরি দিয়ে জীবন শুরু হয় সাইফের। কিন্তু ব্যবসায়ী হওয়ার স্বপ্ন তখনো তার সঙ্গে। অফিসে যাওয়া আসার পথে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের কষ্ট ভাবিয়ে তুলতো তাকে। অতিরিক্ত যানবাহন, পকেটমার, গণপরিবহনগুলোতে গাদাগাদি ভিড়, ট্যাক্সি আর অটোরিকসার অস্বভাবিক ভাড়া এসব কারণেই মূলত এই অসহনীয় দুর্ভোগ। আর এই জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগেরই মোটরবাইক বা গাড়ি কেনার মতো আর্থিক সার্মথ্যও নেই।
এসব সমস্যার সমাধান খুঁজে পান রিচার্জেবল ইলেকট্রিক্যাল মোটরবাইকের মাঝে। এ ধরনের মোটরবাইক চালাতে পেট্রল বা ডিজেলের প্রয়োজন হয় না। পরিবেশবান্ধব এই বাইকের জন্য কোনো রোড ট্যাক্স, রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হয় না, এছাড়া রক্ষণাবেক্ষণ এবং সার্ভিসিং খরচও অনেক কম। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আকারে ছোট এবং সুবিধাজনক হওয়ায় অতিরিক্ত ট্রাফিক জামেও এই বাইকে খুব সহজেই গন্তব্যে পৌঁছানো যায়।
সাইফ ব্যবসার উদ্দেশ্যে সাইফ চীন থেকে গ্রিন টাইগার মোটরবাইক আমদানি করা শুরু করেন। প্রতিষ্ঠা করেন নিজের কোম্পানি ‘আলিফ এন্টারপ্রাইজ’। সাফল্যের জন্য প্রয়োজনবোধ করেন প্রচারণার। কিন্তু বড় কোম্পানিদের মতো অনেক টাকা খরচ করে প্রচারণা সম্ভব নয়। ফলপ্রসুও হবে না। প্রযুক্তিবান্ধব সাইফ বিকল্প মাধ্যম হিসেবে বেছে নেন অনলাইন মার্কেট প্লেস। দেশের ৬৪টি জেলায় আলিফ এন্টারপ্রাইজের পণ্য পৌঁছে যায় বিকল্প এই বিনামূল্যের প্রচারণা মাধ্যমের কল্যাণে।
সাইফ অনলাইন মার্কেট প্লেস বিক্রয় ডটকমে চালান নিজের প্রচারণা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিক্রয় ডটকমের মাধ্যমে আমি বাংলাদেশের প্রতিটি জেলার প্রতিটি কোণায় পৌঁছাতে পেরেছি যেটা আসলে প্রতিটি জেলায় একটি করে দোকান দিলেও সম্ভব ছিল না। আমি মোটামুটি বাংলাদেশের সবগুলো অনলাইন মার্কেট প্লেসে বিজ্ঞাপন দিয়েছি। প্রায় ১০ মাস ধরে বিক্রয় ডটকম ব্যবহার করে অনলাইনে পোস্ট করা ১৩৩টি বিজ্ঞাপনের মধ্যে ৯৭টি বাইক বিক্রি করেছি।
এই সাফল্যের পর ওয়াহিদ এখন অনলাইনে মার্কেটিং এবং সেলসের উপর আরো গুরুত্ব বাড়ানোর চিন্তা করছেন। একই সঙ্গে তিনি ঢাকায় আরো দুই একটা নতুন শো-রুম খোলার পরিকল্পনাও করছেন।
শুধু সাইফ নয়, আরো অনেক নতুন উদ্যোক্তা আছেন যারা অনলাইন মার্কেটপ্লেসকে বিকল্প প্রচারণার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছেন। বিক্রয় ডটকম ছাড়াও বাংলাদেশে মার্কেটপ্লেসগুলোর মধ্যে এখানেইডটকম,ওএলএক্সডটকমডটবিডি ইত্যাদি।
বাংলামেইল২৪ডটকম/ সিএ
Navigation
[0] Message Index
Go to full version