Entertainment & Discussions > Football
কোনো প্রতিশ্রুতি দেবেন না ফ্রেড
(1/1)
maruppharm:
গত বছর অনুষ্ঠিত কনফেডারেশনস কাপের আগে সমর্থকদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, পাঁচটি গোল করবেন। কথা রেখেছিলেন ফ্রেড। প্রতিশ্রুতিমতো পাঁচটি গোলই করেছিলেন ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড। হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা। সোনার বুট পাননি কেবল নিয়মের ফেরে। সমান পাঁচ গোল করে সেটা পেয়েছিলেন স্পেনের ফার্নান্দো তোরেস।
বিশ্বকাপের মহড়া টুর্নামেন্টের পর এবার আসল লড়াইয়ের অপেক্ষা। সেটা দেশের মাটিতেই। বিশ্বকাপ সামনে রেখে ব্রাজিলীয় ভক্তদের কী প্রতিশ্রুতি দেবেন ফ্রেড? কয়টি গোল করার লক্ষ্য তাঁর? না, এবার গোল করার প্রতিশ্রুতি দেবেন না ফ্রেড। কারণ, কনফেডারশনস কাপে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর পাওয়া ‘তিক্ত’ অভিজ্ঞতা!
প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা শতভাগ রক্ষা করা, টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া, ফাইনালে দুটি গোল করে দলকে শিরোপা এনে দেওয়ার পরও ‘তিক্ত’ শব্দটা বেমানান। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তিক্ত অভিজ্ঞতাই তাঁর হয়েছে। টুর্নামেন্টের প্রথম দুই ম্যাচে গোল করতে ব্যর্থ হওয়ায় কী সমালোচনাই না শুনতে হয়েছিল ফ্রেডকে! সেই অভিজ্ঞতা থেকে ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড বলছেন, ওই ঘটনা অনেক কিছু শিখিয়েছে ফ্রেডকে।
এবার কয়টি গোলের লক্ষ্য তাঁর? ফ্রেড অবশ্য এ ব্যাপারে মুখে কুলুপই দিয়ে রাখতে চান, ‘প্রথম দুটি ম্যাচে গোল না পাওয়ায় আপনারা (সাংবাদিকেরা) আমাকে প্রায় মেরেই ফেলেছিলেন! এবার আমি আমার কৌশল বদল ফেলেছি। বিশ্বকাপে কতটি গোল করতে চাই, এ কথা বলব না।’
ফ্রেড যেন ছিলেন হারিয়ে যাওয়া এক তারা! সেই ২০০৫ সালে ব্রাজিলের হয়ে অভিষেক। ২০০৬ বিশ্বকাপ খেলে গোল করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এরপর কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিলেন। বিস্মৃতির আড়াল থেকে গত বছর তাঁকে বের করে আনেন লুই ফেলিপে স্কলারি। এসেই করলেন বাজিমাত। কনফেডারেশনস কাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেন। বিশ্বকাপেও তাঁর জাদু দেখার অপেক্ষায় ব্রাজিল সমর্থকেরা। রোনালদিনহো, কাকা, আদ্রিয়ানো, রবিনহোদের ভিড়ে যে ফ্রেড ঔজ্জ্বল্য ছড়াতে পারেননি, সেই তিনি এখন ব্রাজিলের আক্রমণভাগের অন্যতম ভরসা। স্কলারির প্রতি তাই কৃতজ্ঞতার অন্ত নেই ৩০ বছর বয়সী ফ্রেডের, ‘আমার সময়টা ভালো যাচ্ছিল না। ফেলিপে দায়িত্ব নেওয়ার পরই আমাকে সুযোগ দিয়েছেন। কনফেডারেশনস কাপে তিনি আমার ওপর আস্থা রেখেছিলেন।’
ফ্রেড বলেন, ‘ফেলিপে চান আমি যেন শুধু গোলের জন্য মরিয়া না হয়ে নেইমার ও হালকের জন্য জায়গা বের করে দিই। প্রতিপক্ষের সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারদের ওপরের দিকে টেনে আনি, যেন তারা গোল করার সুযোগ পায়। আমি এখন সে চেষ্টাই করে যাচ্ছি। আমার লক্ষ্য, যতটা বেশি গোল করার। তবে সবচেয়ে বড় লক্ষ্য, দলকেও শিরোপা এনে দেওয়া।’ সূত্র: রয়টার্স।
Navigation
[0] Message Index
Go to full version