বিশ্বের ২6টি অমীমাংসিত রহস্য

Author Topic: বিশ্বের ২6টি অমীমাংসিত রহস্য  (Read 2370 times)

Offline rumman

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 1020
  • DIU is the best
    • View Profile
মালয়েশিয়ার হারিয়ে যাওয়া বিমানটিই বিশ্বের একমাত্র অমীমাংসিত রহস্য নয়। বিশ্বে আরো বহু অমীমাংসিত রহস্য রয়েছে যার সমাধান সম্ভব হয়নি হাজার বছরেও। এমন কিছু রহস্য নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে টাইমস অফ ইন্ডিয়া।
১. মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ৩৭০
হঠাৎ করে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৩৭০ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। কিন্তু বাস্তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিমানটির ভাগ্যে কি ঘটেছে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি কেউ।
২. বারমুডা ট্রায়াঙ্গল
উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের এ স্থানে বহু বিমান নিখোঁজ হয়ে গেছে। বিভিন্ন কারণ অনুমান করে এ রহস্য সমাধানের চেষ্টা করা হলেও বাস্তবে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
৩. স্ফিংস
মিশরের রহস্যময় বিখ্যাত মূর্তি স্ফিংস। এ মূর্তিটি কেন বানানো হয়েছিল সে সম্বন্ধে পরিষ্কার কিছু জানা যায় না। অনেকে ধারণা করেন খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০ সালে এটি তৈরি করা হয়েছিল। অনেকে আবার মনে করেন, তারও অনেক আগে বানানো হয়েছিল এটি।
৪. স্টোনহেঞ্জ
পাথরের তৈরি ইংল্যান্ডের এ অদ্ভুত স্থাপনাটি অপার রহস্যময় এক বিষয়। এটি নির্মাণের কারণ সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি।
৫. বগ মমি বা বগ মানুষ
উত্তর ইউরোপের একটি স্থানে প্রাকৃতিকভাবে সংরক্ষিত মমি পাওয়া গেছে। উচ্চমাত্রার অ্যাসিড, নিম্ন তাপমাত্রা ও অক্সিজেনের অভাব থাকার কারণে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ এলাকায় বেশকিছু মমি পাওয়া যায় যাদের খুন করা হয়েছিল। তবে এর কারণ এখনো জানা যায়নি।
৬. ডিবি কুপারের বিমান থেকে অন্তর্ধান
যুক্তরাষ্ট্রে একটি বোয়িং ৭২৭ বিমান ছিনতাই করে সেখান থেকে ২ লাখ ডলার নিয়ে প্যারাসুট দিয়ে নেমে গিয়েছিলেন ডিবি কুপার। এরপর তার সন্ধানে বহু খোঁজ চালালেও মার্কিন প্রশাসন আজ পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ পায়নি।
৭. ফ্রেডরিক ভ্যালেন্টিস
২০ বছর বয়সি এ পাইলট ১৯৭৮ সালে সেসনা ১৮২ বিমান নিয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। রেডিওতে সর্বশেষ কথায় তিনি জানিয়েছিলেন যে, তিনি সামনে চারটি উজ্জ্বল সবুজ আলো দেখতে পাচ্ছেন। সেটি তার চেয়ে প্রায় এক হাজার ফুট উপরে ছিল। এটা তার দিকে এগিয়ে আসছে। তবে তা কোনো বিমান নয়। এটাই ছিল তার সর্বশেষ কথা। এরপর আর এ বিষয়ে কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
৮. জর্জিয়া গাইডস্টোন
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া রাজ্যে ছয়টি গ্রানাইট পাথরের ওপর  ইংরেজি, সোয়াহিলি, হিন্দি, হিব্রু, আরবি, চীনা, রাশিয়ান ও স্প্যানিশ ভাষায় খোদাই করা কিছু কথা রয়েছে। এগুলো কে করেছে বা এর উদ্দেশ্যই বা কি তা জানা যায়নি।
৯. মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ. কেনেডি হত্যা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জন এফ. কেনেডি হত্যাকাণ্ড এখনো রহস্যের ধূম্রজালে ঢাকা। টেক্সাসে প্রায় ৫০ বছর আগে কেনেডিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের জন্য সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়। কিন্তু বিচার সম্পন্ন হওয়ার আগেই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। অনেক মানুষ বিশ্বাস করেন তিনি একা এ হত্যাকাণ্ড ঘটাননি। এর সঙ্গে জড়িত ছিল আরো বহু মানুষ।
১০. সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক কিংবদন্তি নেতা সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু আজও রহস্যাবৃত্ত। তিনি নেতাজি নামে বেশি পরিচিত। বলা হয় তিনি বিমান দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ১৯৪৫ সালে। তবে কিছু সূত্র জানায়, তিনি সে সময় মারা যাননি বরং বেঁচে ছিলেন আরো অনেক দিন। ১৯৯১ সালে এ বিষয়ে কিছু প্রমাণ পাওয়া যায়।
১১. ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যু
ভারতের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের সঙ্গে একটি চুক্তি করার পর রহস্যজনকভাবে নিহত হন। অনেকে ধারণা করেন তিনি হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন। অনেকে আবার ধারণা করেন তাকে বিষপ্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে।
১২. এলিজাবেথ শর্ট
এলিজাবেথ শর্ট নামে এক নারী যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৪৭ সালে খুন হন। হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্ল্যাক ডালিয়া খ্যাত এ নারীর দ্বীখণ্ডিত দেহ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য কখনোই সমাধান করা যায়নি।
১৩. জ্যাক দ্য রিপার
রহস্যাবৃত্ত এক সিরিয়াল কিলার এ ব্যক্তি। ১৮০০ সালের শেষে তিনি পূর্ব লন্ডনে ১১ জন নারীকে খুন করেন। তবে তার হত্যাকাণ্ডের শিকার সব নারীই ছিলেন দেহ ব্যবসায়ী।
১৪. জিমি হোফা অন্তর্ধান
মার্কিন লেবার ইউনিয়নের এ নেতা ১৯৭৫ সালে কোনো চিহ্ন না রেখেই নিখোঁজ হয়ে যান। কিছু মানুষ ধারণা করেন তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন এবং তাকে নিউ জার্সিতে কবর দেওয়া হয়েছে। অন্যরা মনে করেন তিনি বাকি জীবন লুকিয়েই কাটিয়েছেন।
১৫. এসএস অউরাং মেডান
১৯৪৭ সালে এ জাহাজটির ডেকে কোনো একটা রহস্যময় ঘটনা ঘটেছিল। জাহাজটি থেকে একটি মেসেজ পাঠানো হয় যে, জাহাজের সব ক্রু মারা গিয়েছে। এ মেসেজটি লেখার সময়েই বার্তাপ্রেরক মারা যায়। এর কারণ জানা যায়নি।
১৬. ফ্যায়িস্টস চক্র
ইতালিয়ান প্রত্নতত্ত্ববিদ লুইগি পার্নিয়ার ১৯০৮ সালে প্রাচীন গ্রিক সভ্যতার নিদর্শনসমৃদ্ধ ফ্যায়িস্টস এলাকায় এ চক্রটি আবিষ্কার করেন। এতে বেশকিছু রহস্যময় চিহ্ন রয়েছে। তবে এগুলোর অর্থ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
১৭. রঙ্গরঙ্গ
এটি একসেট লিপির সমষ্টি। পাওয়া গেছে চিলির ইস্টার আইল্যান্ডে। এ লেখাগুলোরও কোনো পঠোদ্ধার সম্ভব হয়নি।
১৮. তুরিনের চাদর
ক্রুশবিদ্ধ এক ব্যক্তির দেহের চিত্র অংকিত আছে এ চাদরে। কাপড়টিতে এ ছবি কিভাবে আঁকা হয়েছিল, সে সম্বন্ধে এখনো কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
১৯. মেষপালকের স্মৃতিসৌধ
ইংল্যান্ডের একটি স্মৃতিসৌধ এ ‘শেফার্ডস মনুমেন্ট’। ২৫০ বছর আগে নির্মিত এ স্মৃতিসৌধে রয়েছে রহস্যময় কিছু কথা লেখা- DOUOSVAVVM. এর রহস্য এখনো কেউ সমাধান করতে পারেনি।
২০. তামাম সুড
১৯৪৮ সালের ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার সমার্টন বিচে এক অপরিচিত মানুষের মৃতদেহ পাওয়া যায়। তার পকেটে একটি কাগজ পাওয়া যায়, যেখানে লেখা ছিল  “Tamam Shud”। ওমর খেয়ামের রুবাইয়াৎ অনুসারে এ লেখার অর্থ দাঁড়ায় শেষ। কিন্তু এ ব্যক্তির পরিচয় বহু চেষ্টার পরও উদ্ধার করা যায়নি।
২১. তারিম মমি
২৯টি তারিম মমি পাওয়া গেছে চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে। এদের পরিচয় আজও রহস্যাবৃত্ত রয়ে গেছে।
২২. স্ফটিকের খুলি
দক্ষিণ আমেরিকায় ১৮৮১ সালের পর থেকে প্রায় ১৩টি স্ফটিকের খুলি পাওয়া গেছে। তবে এগুলোর উৎস সম্বন্ধে কোনোকিছু জানা যায়নি।
২৩. তাওসের শব্দ
ফ্রিজের শব্দের মতো একধরনের রহস্যময় শব্দ বিশ্বের বহু স্থানেই শোনা যায়। জানা যায়, এ শব্দে বহু মানুষ পাগল হয়ে যায়। এ শব্দটি মাইক্রোফোন বা অন্য ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রে পাওয়া যায় না। ফলে শব্দটির উৎসের সন্ধান পাওয়া যায় না। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোর তাওস এলাকা রহস্যময় এ শব্দের জন্য বিখ্যাত।
২৪. ওয়াও!
১৯৭৭ সালে দূর মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ভেসে আসা ৭২ সেকেন্ডের একটি সিগন্যাল পাওয়া যায়। অ্যান্টেনা ব্যবহার করে জেরি আর. এহম্যান এ সিগন্যালটি রেকর্ড করেন এবং তা কম্পিউটার থেকে প্রিন্ট করেন। এরপর তিনি তার পাশে লেখেন ‘ওয়াও!’ সে অনুসারেই সিগন্যালটির নামকরণ করা হয়। তবে এ সিগন্যালের রহস্যভেদ করা যায়নি।
২৫. পথনির্দেশক চিঠি
১৯৬০ ও ১৯৭০-এ এক অপরাধী মার্কিন পুলিশ ও স্যান ফ্রান্সিসকো বে এরিয়ার সংবাদমাধ্যমের কাছে রহস্যময় কয়েকটি চিঠি পাঠিয়েছে। এনক্রিপ্টেড এ চিঠিগুলোর মধ্যে মাত্র একটি এখন পর্যন্ত পঠোদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
২৬. ভয়নিক পাণ্ডুলিপি
মধ্যযুগে লেখা সম্পূর্ণ অপরিচিত ভাষার একটি পাণ্ডুলিপি এটি। এতে রয়েছে বহু গাছপালা ও গ্রহ-নক্ষত্রের তথ্যসমৃদ্ধ ছবি। ১০০ বছর চেষ্টার পরেও বইটিতে ব্যবহৃত ভাষার কোনো পঠোদ্ধার সম্ভব হয়নি।

Md. Abdur Rumman Khan
Senior Assistant Registrar

Offline fatema_diu

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 309
    • View Profile
mojar mojar tottho!