ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে দেওয়া ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা যৌক্তিক বলে মনে করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক পরিচালক ও শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি সিরাজুদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর।
সোমবার নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর সন্ধ্যায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে বিকেলে উদ্ধতপূর্ণ আচরণের জন্য সাকিব আল হাসানকে সব ধরনের ক্রিকেটে ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। একই সঙ্গে আগামী দেড় বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বাইরে কোনো লীগ খেলাতেও তাকে অনাপত্তিপত্র দেওয়া হবে না।
বিসিবির সাবেক পরিচালক সিরাজুদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, সাকিব নিঃসন্দেহে একজন বড়মাপের ক্রিকেটার। সে যে আচরণ করেছে এবং যা বলেছে তা যদি সত্যি হয় তাহলে বোর্ড যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সঠিক। তার এ শাস্তি থেকে অন্য ক্রিকেটাররা শিক্ষা নিবে।
তিনি বলেন, বড় হতে চাইলে খ্যাতিমান ক্রিকেটারদের জীবনাচরণ অনুসরণ করা দরকার।
ভারতের ক্রিকেট দেবতা শচীন টেন্ডুলকারের প্রসঙ্গ টেনে বিসিবির সাবেক এ পরিচালক বলেন, মাঠের ভেতরের শচীন যতটা বিখ্যাত মাঠের বাইরের শচীনও ততটা বিখ্যাত। কারণ তার সংযত ও নম্র আচরণ তাকে বিখ্যাত করেছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাকিবকে আজকের সাকিব তৈরি করতে বিসিবি’র অনেক টাকা এবং শ্রম ব্যয় হয়েছে। সুতরাং বড়মাপের খেলোয়াড়কে কথা বলার সময় ভেবে চিন্তে বলতে হবে। আচরণ হতে হবে সংযত।
তিনি বলেন, খেলোয়াড়দের সঙ্গে যখন বোর্ডের চুক্তি হয় তখন চুক্তিপত্রে আচরণবিধি কি হবে তা স্পষ্ট উল্লেখ থাকে। আগে এটি ইংরেজিতে ছিল। আমি শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালনের সময় তা বাংলা অনুবাদ করে দেই। এসব আচরণ বিধি অবশ্যই ক্রিকেটারদের মেনে চলতে হবে। এর ব্যতয় ঘটলে কি শাস্তি হবে তাও উল্লেখ আছে চুক্তিপত্রে। সুতরাং খেলোয়াড়দের উচিত এসব আচরণ বিধি মেনে চলা।
ছয়মাস সাকিব দলে না থাকলে দলের কোনো ক্ষতি হবে বলেও মনে করেন না এ ক্রীড়া সংগঠক।
তিনি বলেন, একজন খেলোয়াড়ের উপর পুরো টিম নির্ভর করে না। পুরো টিমের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি ভালো রেজাল্ট আসে। একসময় সাকিব ইনজুরিতেও তো থাকতে পারতো। তাহলে কি টিম এগিয়ে যাবে না?