আন আইডেন্টিটিফাইড ফ্লাইং অবজেক্ট! সংক্ষেপে ইউএফও ৷ কল্পিত এই যান চেপেই ভিন গ্রহের বাসিন্দারা নজর রাখে পৃথিবার ওপর ৷ বাস্তবে ইউএফও-র অস্তিত্ব নিয়ে নানা মুনির নানা মত ৷ ভিনগ্রহে প্রাণি রয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন চায়ের কাপে তুফান উঠে উত্তর থেকে দক্ষিণ মেরু ৷
কোটি কোটি ডলার খরচ করে অনেক গবেষণাও হয়েছে ইউএফও নিয়ে । অনেকে এই প্রশ্ন সমাধান করতে রাতারাতি জনপ্রিয় হতে গিয়ে গোঁজামিল দিয়েছেন । কেউ বা আবার “ইউএফও দেখেছি, বলে চিৎকার করলেও প্রমাণ দিতে গিয়ে মাথা নেড়েছেন । তবে, আশ্চর্যজনকভাবে কৌতূহলের সেই ইউএফওর দেখা মিলল গুগল আর্থে ।
ইউএফও হান্টার মানে ভিন গ্রহের কপ্টার খুঁজে বেরানো এক বিশেষজ্ঞ, স্কট ওয়ারিং ইউটিউবে ইউএফও প্রমাণ সংক্রান্ত এক ভিডিও আপলোড করেছেন । সেই ভিডিওতে ওয়ারিং প্রমাণ দিয়েছেন, গুগলের ভার্চুয়াল বিশ্ব, মানচিত্র এবং ভৌগোলিক তথ্য সম্বলিত গুগল আর্থে ইউএফও-এর চিত্র ধরা পড়েছে ৷ সঙ্গে দেখা গিয়েছে ভিন গ্রহের প্রাণীও !
স্কটের দাবি, কয়েক মাস ধরেই তিনি নিশ্চিত ছিলেন একটি ইউএফও পৃথিবীতে এসেছে । এই জন্য বিভিন্নভাবে তিনি তৈরি হয়েছিলেন । অবশেষে সেই ইউএফও তিনি নাকি দেখতে পান আমেরিকার মনটানা প্রদেশে । মনটানার ব্রিজের উপর দিয়ে হাঁটার সময় খালি চোখে ছয় মিনিট ধরে নাকি ইউএফও- দেখা যায় । স্থানীয় বেশ কয়েকজন মানুষ নাকি ইউএফও-দেখে চমকে যান । ইউএফও-দেখেছেন বলে দাবি করা এমনই এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, প্রথমে বিশ্বাস হয়নি ৷ কিন্তু পরে বুঝতে পারি ওটা আসলে ইউএফও ।
এরপর গুগল মানচিত্রে গিয়ে স্কট দেখেন, তাতেও ইউএফও-এর মত কিছু একটা জিনিসের ছবি ধরা পড়েছে । এর আগেও স্কট ওয়ারিং ইউএফও-এর অস্তিত্ব প্রমাণের চেষ্টা করেছিলেন । কিন্তু বাস্তবে তা পারেননি ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গুগল আর্থে ইউএফও-র ছবি বলে যেটা দেখা যাচ্ছে সেটা একটা ‘স্যাটলাইট এরর’ বলেই মনে হচ্ছে । অনেক সময় স্যাটেলাইটে বিভ্রাটের ফলে বজ্রপাত বা কোনো তারা খসার ছবি এরকম দেখতে লাগে । অবশ্য মানুষ বরাবরই নিজেদের অবচেতন মনে লুকিয়ে থাকা বিশ্বাসকে মেলানোর জন্য মুখিয়ে থাকে । তাই গুগল আর্থের এই ছবি এখন ইন্টারনেট দুনিয়ায় একেবারে ফাটাফাটি হিট ।
সূত্র : ওয়েবসাইট
ফারহান দিগন্ত