রাজশাহীতে খেজুরে মাছি ভেড়াতে মধু ব্যবহার করছেন ব্যবসায়ীরা। ফরমালিনমুক্ত ফল হিসেবে প্রমাণ করতে গিয়ে তারা এভাবেই ধোঁকা দিচ্ছেন সাধারণ ক্রেতাদের। খেজুরে মাছি বসতে দেখে ক্রেতারা নিজের অজান্তেই টাকা দিয়ে ইফতারের জন্য বিষ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
মহানগরীর সাহেববাজারের মুড়িপট্টির সামনের রাস্তা ও আরডিএ মার্কেটের পাশের গলিতে ছোট-বড় প্রায় ২০টি ফলের দোকানেই এখন খেজুর রয়েছে। আর সেই খেজুরে ভনভন করে উড়ছে মৌমাছি।
অসাধু ব্যবসায়ীরা সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে দোকানেই পলিথিনের ছোট ব্যাগে করে মধু রাখছেন। কৌশলে ওই ব্যাগের মধ্যে খেজুর ঢেলে খেজুরে সঙ্গে মাখিয়ে নিচ্ছেন। পরে পলিথিন দিয়ে দুই হাত দিয়ে চেপে খেজুরের চাপ তৈরি করছেন। তার পর মধু মাখানো খেজুরগুলো ওপরে সাজিয়ে রাখলে মৌমাছি এসে ভিড়ছে খেজুরের ওপর। ক্রেতারা ভাবছেন মৌমাছি বসা খেজুরে ফরমালিন নেই।
তবে সাহেববাজারের খেজুর ব্যবসায়ী শাহীন শেখ খেজুরে মধু মেশানোর কথা অস্বীকার বলেন, একবারে খেজুর ঢাললে ময়লা পড়ে। তাই ছোট পলিথিনের মধ্যে রেখে ধীরে ধীরে বিক্রি করতে হয়। আর খেজুরে মাছি না বসলে আমাদের দোষ হয়, বসলেও দোষ, এখন কি করবো? পাল্টা প্রশ্ন করেন তিনি।
মধু মিশিয়ে ফরমালিনবিহীন খেজুর বিক্রির ব্যবসায়ীদের কূটকৌশল সম্পর্কে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলিম উদ্দিন বলেন, তারা পরীক্ষা করে দেখেছেন, ফলে ফরমালিন থাকলে তাতে মৌমাছি বসতে চায় না। তবে মধু মাখালে মধু আহরণের জন্য মাছি বসতে পারে।
রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে তারাও এ অভিনব কৌশলের কথা শুনেছেন। তাই শিগগিরই বিএসটিআই’র সঙ্গে আলাপ করে অভিযান পরিচালনা করবেন।
বিএসটিআই রাজশাহী অঞ্চলিক দফতরের উপ-পরিচালক (ডিডি) নূরুল ইসলাম বাজারে অভিযান চালিয়ে খেজুর পরীক্ষার একই কথা বলেন। এমনটি প্রমাণিত হলে ভোক্তা অধিকার আইনে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। - See more at:
http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/307998.html#sthash.PCEvV9aQ.dpuf