বাংলাদেশ জাতীয় দল থেকে ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ হওয়া সাকিব আল হাসান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে পৌঁছে তার ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য ক্রিকেট বোর্ডের কাছে আপিল করতে এসেছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে আপিল করেছেন।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে তিনি আপিল শেষে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেন নি। শুধুমাত্র হাতে থাকা একটি কাগজ পাঠ করেন তিনি। তাতে যা লেখা ছিল, তা নিচে তুলে ধরা হলঃ
‘আসসালামুয়ালাইকুম। আমি দেশবাসী এবং বিসিবি’র নিকট দুঃখ প্রকাশ করছি। আমার কারণে বিসিবি এবং বাংলাদেশ দল যদি ক্ষতিগ্রস্থ হয়, তবে তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। একই সাথে আমার ভক্ত, সমর্থক এবং দর্শকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
‘ক্রিকেট থেকে দূরে থাকাটা আসলেই কষ্টকর। এর থেকে দুঃখের আর কিছুই হয় না। আমি অনূর্দ্ধ-১৫ থেকে বিসিবি’ লোগো গায়ে জড়িয়ে খেলে আসছি। এটা আমার কাছে অনেক গর্বের বিষয়। আমি আবারো জাতীয় দলের হয়ে সব কিছু উজার করে দিতে চাই। কারণ আমি বিসিবি ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের কাছে বড় হয়েছি।’
‘আমি বিসিবি’র কাছে আবেদন করেছি যাতে আমার সাসপেনশনের বিষয়টি পূর্নবিবেচনা করা হয়।’
এসব বলে সাকিব চলে যান।
শনিবার সাকিবের আপিল করতে বিসিবিতে যাওয়ার কথা থাকলেও পরে তা করেননি সাকিব। রোববার সকালে একটি ঘনিষ্ট সূত্র জানায়, দুপুরের পরপরই আপিল করতে বিসিবি যেতে পারেন সাকিব।
বিসিবির কাছ থেকে এনওসি না নিয়ে, মৌখিক কথাবার্তার ভিত্তিতে বারবাডোজের হয়ে ক্যারিবিয়ান লিগ খেলতে যাওয়ার এই শাস্তির পেতে হয়েছে সাকিবকে। জাতীয় দল ছাড়াও দেশের বাইরে প্রথম শ্রেণির লিগ খেলার উপরের দেড় বছরের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তার।
বিসিবি পরিচালক আকরাম খানের মৌখিক অনুমতি নিয়ে গত ২ জুলাই সস্ত্রীক দেশ ছাড়েন সাকিব। কিন্তু এনওসি দেওয়ার ব্যাপারে বিসিবি আপত্তি করলে সাকিব দেশে ফিরে আসেন ৬ জুলাই। এরপর বিসিবি ৭ জুলাই জরুরি সভায় সাকিবকে জাতীয় দলের ক্ষেত্রে ছয় মাস এবং দেশের বাইরের লিগ থেকে দেড় বছর নিষেধাজ্ঞা দেয়।
সাকিব শাস্তির প্রত্যাহারের ব্যাপারে আবেদন করলে তা কমানো হতে পারে বলে এমন ইঙ্গিত আগেই দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান ও বোর্ড পরিচালকরা।
- See more at:
http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/308637.html#sthash.DIqw4SWL.dpuf