Religion & Belief (Alor Pothay) > Ramadan and Fasting
মাহে রমজানের ফজিলত
(1/1)
faruque:
মাহে রমজান প্রতি বছরই আমাদের মাঝে হাজির হয়। বছরের এগার মাস মানুষ পার্থিব কাজে ডুবে থাকে। মানবাত্দায় গাফিলতির পর্দা পড়ে যায়। শারীরিক বিষয়ের তুলনায় আত্দিক বিষয়ে মানুষ পিছিয়ে পড়ে। রমজান মাসে শরীরের খাবার কমিয়ে রূহানী খাবারের পরিমাণ বাড়ানো হয়। শরীরের শক্তির তেজস্বতা কমিয়ে রূহানী শক্তিকে দ্রুতগামী করার সাধনায় লিপ্ত হয় মুমিনরা। এভাবে এক পর্যায়ে এসে উভয় শক্তির মাঝে সমান্তরাল সৃষ্টি হয়, যা মানুষের জীবনে সবচেয়ে বড় নিয়ামত।
আল-কোরআনে রাব্বুল আলামীন আল্লাহ সিয়াম সাধনাকে 'পরহেজগারী অর্জনের জন্য' ফরজ বিধান বলে ঘোষণা করেছেন। ইরশাদ করা হয়েছে, 'পূর্ববর্তী সম্প্রদায়ের জন্যও একই বিধান ছিল'। অর্থাৎ রোজা পালন শুধু কোরআনের মাধ্যমে প্রবর্তিত হয়নি। তার আগের আসমানি কিতাবেও সিয়াম সাধনা বা রোজার বিধান ছিল। আত্দশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য কৃচ্ছ্রতা সাধন ইবাদত হিসেবে শুধু ইসলামে পরিপালনীয় নয়, আগের সব সম্প্রদায়ের মধ্যে এ সাধনা বিদ্যমান ছিল। পবিত্র ইসলামের পাঁচটি ফরজের মধ্যে সিয়াম সাধনা বা রোজা পালন অন্যতম। মাহে রমজানেই মানুষের জন্য ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য নির্দেশকারী হিসেবে আল-কোরআন অবতীর্ণ হয়। পবিত্র কোরআনের সূরা বাকারার-১৮৫ আয়াতে মাহে রমজানে রোজা পালনের বিষয়ে বলা হয়েছে, 'কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে সে এ মাসের রোজা পালন করবে।' রোজা পালনের আবশ্যিক এ বিধান 'অসুস্থ' আর 'মুসাফির'দের জন্য শিথিল করে বলা হয়েছে_ যারা অসুস্থতা এবং অন্য কারণে রোজা রাখতে পারবে না তাদের অন্য সময়ে সে রোজা পূরণ করে নিতে হবে। আর যাদের জন্য তা অত্যন্ত কষ্টদায়ক হবে, তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকিনকে খাদ্যদান করবে। সিয়াম সাধনার মাহে রমজানে শুধু রোজা রাখলেই চলবে না, সব ধরনের অন্যায় এবং হারাম কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। পানাহার বর্জন করেও কেউ মিথ্যা বললে, অন্যের মনে কষ্ট দিলে, সুদ ঘুষের মতো পাপ কাজে লিপ্ত থাকলে তার সিয়াম সাধনা হবে না। রসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি অন্যায় কথা ও অন্যায় কাজ ছাড়ল না তার খানাপিনা ত্যাগে আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই। (বোখারী)
লেখক : ইসলামী গবেষক।
- See more at: http://www.bd-pratidin.com/2014/07/20/18572#sthash.0eDVJ9BY.dpuf
Navigation
[0] Message Index
Go to full version