যেইটা নেন দেড়শ, খালি নেন দেড়শ, বাইছ্যা লন দেড়শ’ এভাবেই জমে উঠেছে নিউমার্কেট ও ফার্মগেট এলাকার স্বল্প দামি জুতার বাজারের দোকানগুলো। ভিড়ও অন্যান্য যে কোনো শোরুমের থেকেই বেশি।
নানা ডিজাইনের, হরেক রঙের জুতা মিলবে মাত্র দেড়শ টাকার মধ্যে।
এসব দোকানে সব চেয়ে বেশি ভিড় লক্ষণীয় তরুণীদের। কেউবা একাধিক জুতা কিনতেও আগ্রহী। পরতে আরামদায়ক ও দাম কম হওয়ায় এসব জুতার চাহিদা বেশি বলে জানালেন ফার্মগেট এলাকার ফুটপাতের এক দরের দেড়শ টাকার জুতা বিক্রেতা বকুল মিয়া।
তার বাড়ি বিক্রমপুরে। বকুল মিয়া নিয়মিত বিক্রেতা নন। কিন্তু, ঈদকে কেন্দ্র করে একটু বাড়তি আয়ের আশায় কেরানীগঞ্জ, পুরান ঢাকা ও জিঞ্জিরার বিভিন্ন পাইকারদের কাছ থেকে এসব জুত এনে বিক্রি করেন ফুটপাতে।
তিনি বাংলানিউজকে জানালেন, এসব জুতা পাইকারি কিনতে জোড়াপ্রতি একশ ১০ টাকা থেকে একশ ২০ টাকা লাগে। কিন্তু, ফুটপাতে এসে তা দেড়শ টাকায় বিক্রি করায় আয়-ইনকামও মন্দ নয়।
শুধু যে ফুটপাত আর রাস্তার পাশেই এসব দেড়শ টাকার জুতর কদর বেশি, তা কিন্তু নয়। মেট্রোশপিং মল, সেজান পয়েন্টসহ প্রায় সব শপিংমলেই জুতার দোকানগুলোর বাইরে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয় এসব দেড়শ টাকার জুতা। বাহারি ডিজাইনের এসব জুতা শপিংমল থেকে কিনতে পেরে খুশি তরুণীরাও।
মেট্রো শপিংমলে ওয়ার্ল্ড ইউনির্ভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী কার্জন দাস বলেন, যদিও ঈদ মুসলিমদের উৎসব কিন্তু বান্ধবীদের সঙ্গে মার্কেটে এসে দুই ফিতার জুতাগুলো পছন্দ হয়ে গেল। দামও যেহেতু মাত্র দেড়শ টাকা, তাই কিনে ফেললাম।
দামি এক জোড়া কিনতে যেখানে হাজার টাকা লাগে, সেখানে দেড়শ টাকার জুতা দরে কেনা যায় প্রায় ছয় জোড়া। তাই, এসব জুতার চাহিদা বেশি। তবে টেকসই ও একটু বেশি আরামদায়ক জুতার কথা চিন্তা করলেই চামড়ার জুতার কোনো বিকল্প নেই। তরুণীদের এসব জুতার ক্ষেত্রে একটু হিলের মধ্যে দুই ফিতার জুতার চাহিদা বেশি বলে জানান নিউমার্কেটের জুতার ব্যবসায়ীরা। এসব দুই ফিতার চামড়ার জুতার দাম পড়ে গড়ে ৭০০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যে। তবে চাঁদনী চক ও গাউছিয়া এলাকার কিছু দোকানে পুরো চামড়ার তৈরি না হওয়ায় ৫০০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে দুই ফিতার জুতা।
তবে ঈদ পার্বনকে কেন্দ্র করে ক্রেতাদের পোশাকের সঙ্গে ম্যাচ করে জুতা কেনার প্রবণতা বেশি লক্ষ করা যায়। আর পোশাক যেহেতু একটু ভারী কাজের মধ্যেই বেশি পছন্দ করেন ক্রেতারা, তাই যেন পাথরের জুতার কদরও কম নয় বলে জানান বসুন্ধরা শপিংমলের বিক্রেতা শরীফ।
বসুন্ধরা শপিংমলের বিক্রেতারা জানান, ঈদে ক্রেতারা একটু গর্জিয়াস শাড়ি ও সেলোয়ার-কামিজ কিনে থাকেন; সে ক্ষেত্রে সাধারণ জুতা ভালো মানায় না। তাই, পাথরের কাজ করা বা পেন্সিল হিলের চাহিদা রয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে। তবে সে ক্ষেত্রে আরামদায়ক হবে কিনা সে বিষয়ে ক্রেতাদের নজর বেশি।
তারা জানান, পেন্সিল হিল, পাথরের কাজ করা দুই ফিতার জুতা কিনতে হলে ক্রেতাদের হাজার টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকা ব্যয় করতে হবে জুতা কিনতে হলে। - See more at:
http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/308003.html#sthash.x1fKeDw0.dpuf