শেখ মহিউদ্দিন : ভাবনা ও কল্পনা জুড়ে শুধুই বিশ্বকাপ। ‘বিস্বকাপ বালু ভাস্কর্য’ হয়ে গেলো বালু ভাস্কর্যের ঐতিহ্যবাহী নগরী যুক্তরাস্ট্রের নিউজার্সির আতলান্টিক সিটিতে। আর এবার ভাবনা ও কল্পনাকে কে স্থাপত্যে রূপ দিয়ে এবার একক ও দ্বৈত উভয় প্রতিযোগিতাতে প্রথম ও দ্বিতীয় হয়েছেন যথাক্রমে কানাডা ও রাশিয়ার শিল্পীরা।
পেনসিলভেনিয়া এভিনিউ সংলগ্ন আটলান্টিক মহাসাগরের তীরে গত ১৯ জুন থেকে শুরু হওয়া এ প্রতিযোগিতা চলে ৬ জুলাই পর্যন্ত।
এককে ‘ব্যাকবোর্ন অফ লাইফ’ শিরোনামের ভাস্কর্যের জন্য শীর্ষ স্থান অর্জন করেন কানাডার জোনাথন বোচারড। পাশাপাশি তিনি ও স্বদেশি মেলিনেজ বুরোগারড ‘মেমোরি স্টিকস’ স্থাপত্যের জন্য দ্বৈতে পান প্রথম পুরস্কার।
‘পেইন্টিং কাম টু লাইফ: ডে ড্রিমিং লিটিল গার্ল’ শিরোনামের ভাস্কর্যের জন্য দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন রাশিয়ার পাভেল মিলনিকভ।
অন্যদিকে দ্বৈতে ‘টাইমলেস স্টোরি’ নামের স্থাপত্যটির জন্য দ্বিতীয় হন পাভেল ও আলেক্স দিয়াকভ।
এককে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাস্কর শিল্পী রুসটি ক্রফট। তিনি তার সৃষ্টির নাম দিয়েছিলেন ‘ইন দ্যা আই অফ দ্যা বিহোল্ডার’।
সিঙ্গাপুরের জুহেং তান এবং কানাডার পিটার ভোগলার মিলে ‘দ্যা ডাইভিং হর্স’ শিরোনামের ভাস্কর্যের জন্য দ্বৈত প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেন।
প্রকৃতিকে বাঁচানোর তাগিদ দিয়ে ‘সেভ ট্রি সেভ আওয়ার চিলড্রেনের’ মতো অসাধারণ ভাস্কর্যটির জন্য ‘পিপলস চয়েস’ পুরস্কার জিতেছেন ভারতের সুদর্শন পট্টনায়েক।
দ্বৈতে একই পুরস্কার জয় করে নেন যুক্তরাষ্ট্রের রুসটি ক্রাই ও ম্যাট লং ‘স্ফিয়ার অফ ইনফ্লুয়েন্স’ ভাস্কর্যের জন্য।
১৮ দিনব্যাপী চলা এ বালু স্থাপত্য বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, ইতালি, কানাডা, হল্যান্ড, লাটভিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের ২০ জন শিল্পীর নিপুণ ছোঁয়ায় তৈরি হয় মোট ৩০টি বালু ভাস্কর্য, যাতে প্রায় পাঁচশত টন বালু ব্যবহৃত হয়।
টানা দ্বিতীয় বারের মতো এ প্রতিযোগিতার আয়োজক ছিল আটলান্টিক সিটি। এবারের প্রতিযোগিতায় পুরস্কারের মূল্যমান ছিল ৭৫ হাজার ডলার।