Religion & Belief (Alor Pothay) > Hadith
দশটি নিদর্শন না আসা পর্যন্ত ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে না।
Md. Zakaria Khan:
নবী করীম (সাঃ) বলেন, দশটি নিদর্শন না আসা পর্যন্ত ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে না।
আর তা হচ্ছে-
১. ধোঁয়া, যা পূর্ব হ’তে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত এক নাগাড়ে চল্লিশ দিন বিস্তৃত থাকবে।
২. দাজ্জাল বের হবে।
৩. চতুষ্পদ জন্তু বের হবে।
৪. পশ্চিমাকাশ হ’তে সূর্য উদিত হবে।
৫. ঈসা ইবনু মারিয়াম আকাশহ’তে অবতরণ করবেন।
৬. ইয়া‘জূজ মা‘জূজ বের হবে
।
৭. পূর্বাঞ্চলে ভূমিধস হবে।
৮. পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিধস হবে।
৯. আরব উপদ্বীপে ভূমিধস হবে।
১০. সবশেষে ইয়ামান হ’তে এমন এক আগুন বের হবে যা মানুষকে তাড়িয়ে একটি সমবেত হওয়ার স্থানে নিয়ে যাবে। অপর এক বর্ণনায় আছে, আদন (এডেন)-এর অভ্যন্তর হ’তে আগুন বের হবে। যা মানুষকে সমবেত হওয়ার স্থানের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাবে। অপর এক বর্ণনায় দশম লক্ষণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, এমন বাতাস প্রবাহিত হবে, যে বাতাস কাফেরদেররে নিক্ষেপ করবে। আর বিশেষ করে ক্বিয়ামত তখনইসংঘটিত হবেযখন যমীনে ‘আল্লাহ, আল্লাহবলার কোন মানুষ থাকবে না’। যখন মানুষ আল্লাহ তা‘আলাকে স্মরণ করবে না, তাঁর দাসত্ব করবে না তখনই ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে। কারণ আল্লাহর যিকির ও ইবাদত হচ্ছে দুনিয়ার স্থায়ীত্বের প্রমাণ।আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়ার মধ্য থেকে নেকআমলকারী ব্যক্তি ওসৎ,ঈমানদার ব্যক্তিদের উঠিয়ে নিবেন এবং খারাপ ও নিকৃষ্ট মানুষের উপর ক্বিয়ামত সংঘটিত করবেন।
২. মুসলিম, বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৬২৩০।
৩. মুসলিম, মিশকাত হা/৫২৮২।
৪. মুসলিম, মিশকাত হা/৬২৮৩।
Md. Zakaria Khan:
আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘মুনাফিকের চিহ্ন হল তিনটি (১) কথা বললে মিথ্যা বলে। (২) ওয়াদা করলে তা খেলাপ করে। এবং (৩) আমানত রাখা হলে তাতে খিয়ানত করে।’’ [সহীহুল বুখারী ৩৩, ২৬৮২, ২৭৪৯, ৩১৭৮, মুসলিম ৫৮]
মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, ‘‘যদিও সে রোযা রাখে এবং নামায পড়ে ও ধারণা করে যে, সে মুসলিম।’’
Md. Zakaria Khan:
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সা. বলেছেন, যখন মানুষ মারা যায় তখন তার আমল ও সওয়াবের ধারা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তিন ধরণের আমলের সওয়াব সর্বদা অব্যাহত থাকে।
১. সদকায়ে জারিয়া।
২. এমন ইলম বা জ্ঞান যার দ্বারা মানুষের কল্যাণ সাধিত হয়।
৩. সু-সন্তান। যে তার জন্য মৃত্যুর পর দুয়া করে।
[সহীহ মুসলিম]
mrchawdhury:
alhamdulillah. nice article.
Md. Zakaria Khan:
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
(مَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنْ كِتَابِ اللَّهِ فَلَهُ بِهِ حَسَنَةٌ وَالْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا لَا أَقُولُ الم حَرْفٌ وَلَكِنْ أَلِفٌ حَرْفٌ وَلَامٌ حَرْفٌ وَمِيمٌ حَرْفٌ). رواه الترمذي
“যে ব্যক্তি কুরআনের একটি হরফ পাঠ করে, তাকে একটি নেকি প্রদান করা হয়। প্রতিটি নেকি দশটি নেকির সমান। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম একটি হরফ। বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ, মীম একটি হরফ।”[তিরমিযি]
এ হলো কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত। অল্প আমলে অধিক সওয়াব তার জন্যই যে, আল্লাহর সন্তুষ্টি ও সওয়াব আকাঙ্খা করে। সুতরাং যে কুরআনের ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করে, কুরআনের যথাযথ তদারকি করে না এবং তা দ্বারা উপকৃত না হয়, সে ক্ষতিগ্রস্ত। হে আল্লাহ! আমাদের হেফাজত করুন এবং নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করার তওফিক দান করুন।
Navigation
[0] Message Index
[#] Next page
Go to full version