প্রিয়.কম)- ইসবগুলের নাম নিশ্চয়ই শুনেছেন, তাইনা? কেউ কেউ খুব ভালোবাসেন ইসবগুলের শরবত খেতে। আবার কারো কারো একদমই পছন্দ নয় ইসবগুলের আঠালো শরবত। কিন্তু খেতে যার কাছে যেমনই লাগুক, ইসবগুলের পুষ্টিগুণের কোনো তুলনা হয়না। উচ্চমাত্রার ফাইবার সমৃদ্ধ এই খাবারটি দূর করে শরীরের নানান সমস্যা। জেনে নিন ইসবগুলের কিছু অবিশ্বাস্য স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে।
কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়
কোষ্ঠ্যকাঠিন্য নিরাময়ে ইসবগুলের ভুষির তুলনা নেই। যারা নিয়মিত কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগে থাকেন তারা প্রতিদিন ইসবগুলের শরবত খেলে উপকার পাবেন। তবে এক্ষেত্রে ইসবগুল পানিতে অনেকক্ষণ ভিজিয়ে না রেখে পানিতে মেশানোর সাথে সাথেই খেয়ে ফেললে বেশি উপকার পাওয়া যাবে।
হৃৎপিন্ড সুরক্ষায় এবং কোলেস্টেরন নিয়ন্ত্রণে
প্রচুর তেল-ঘি যুক্ত খাবার খাওয়া হয়েছে বলে কোলেস্টেরল বেড়ে গিয়েছে? অথবা হৃৎপিন্ডে দেখা দিচ্ছে নানান সমস্যা? নিয়মিত ইসবগুল-এর শরবত খাওয়ার অভ্যাস করে ফেলুন। প্রতিদিন ইসবগুলের শরবত খেলে হৃৎপিন্ড ভালো থাকে এবং রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়
অনেকেই আছেন একটু বেশি খেয়ে ফেললেই খাবার হজম করতে হিমশিম খান। কিংবা একটু তেলে ভাজা খাবার খেলেই গ্যাস্টিকের সমস্যায় অতিষ্ট হয়ে যায় জীবন। যাদের হজম সংক্রান্ত সমস্যা আছে তারা নিয়মিত ইসবগুলের শরবত খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও দূর হয়ে যায় নানান রকমের হজমের সমস্যা, বুক জ্বালাপোড়া, গ্যাস ও আলসারের সমস্যা।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
ইসবগুল ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে জাদুকরী একটি উপাদান। ইসবগুলে আছে প্রচুর ফাইবার। ইসবগুল খেলে উচ্চমাত্রার ক্যালরীযুক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছাও কমে যায়। ফলে ওজনটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ওজন কমানোর জন্য ইসবগুল খেতে চাইলে পানিতে এক চা চামচ করে ইসবগুল মিশিয়ে তিন বেলা খাওয়ার অভ্যাস করুন। তবে শরবতে চিনি ব্যবহার করবেন না।