কিআ কোড কী?
কিউআর কোড মুলত একধরনের মেট্রিক্স্ তবে সাধারণ বাইনারি কোডের চেয়ে এর তথ্য ধারণক্ষমতা বেশী। একটি কিউআর কোড ৭০৮৯টি সংখ্যা বা ৪২৯৬টি অক্ষর করতে পারে। বুঝতেই পারছেন ছোটখাটো একটি প্যারাগ্রাফ লেখা যাবে। সাধারণত বারকোড পড়ার জন্য লেজার জাতীয় স্ক্যানের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর কিউআর কোড পড়ার জন্য একটা স্মার্টফোন যথেষ্ট।
আবার বারকোড হচ্ছে একধরনের অপটিক্যাল মেশিন দিয়ে পাঠযোগ্য লেবেল, যাতে ওই পন্য সম্পর্কিত তথ্য সংযুক্ত থাকে। তখন ক্যুইক রেসপন্স কোড সংকেতক্ষরে লেখা কোনো তথ্য নিদিষ্ট করে চারটি নমুনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল,সংখ্যাসূচক, বর্ণসূচক,বাইনারি ইত্যাদি।ক ক্যুইক রেসপন্স কোড অটোমোবাইল কোম্পানিগুলো ছাড়িয়ে সাধারণ বারকোড ইউপিসি বারকোডের তুলনায় ব্যাপক জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হচ্ছে এটার দ্রুত তথ্য পুনরুদ্ধার করার ক্ষমতা আর অনেক বেশি আকারে তথ্য ধারণক্ষমতার জন্য।
কিউআর কোড ব্যবহারের কারণ;
কিউআর কোড ব্যবহার করে নিমিষেই স্মার্টফোনে ওয়েব ঠিকানা বা বিভিন্ন তথ্য দেখানো যায়্ এ জন্য এমন একটি অ্যাপ নামাতে হবে যা এ কোড সাপোর্ট করে। প্রতিটি স্মার্টফোন প্ল্যাটফর্মেই বিনামূল্যে অনেক কিউআর কোড স্ক্যানার পাওয়া যাবে। স্ক্যান করার জন্য অ্যাপ্লিকেশনটি চালু করে ফোনের ক্যামেরা কোড বরাবর ধরুন। সেকেন্ডের মধ্যে স্ক্যান করে আপনাকে কোডের ভেতরে তথ্যটি জানিয়ে দেয়া হবে। কিংবা সেটি কোনো লিয়মল হলে আপনাকে ওই ওয়েবসাইটে নিয়ে যাবে।
সিভিতে বাড়ছে কিউআর কোডের ব্যবহার
বিশ্বব্যাপী চাকরিদাতারা ইতোমধ্যেই ব্যাপক হারে শুরু করেছেন এ কোডের ব্যবহার। এছাড়া সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আপনিও আপনার সিভিতে ব্যবহার করতে পারেন। অবশ্য যার হাতে সিভিটি পড়বে, তিনি এ বিষয়ে অভিজ্ঞ নাও হতে পারেন। তাই কিউআর কোডের নিচে দিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা লিখে দিতে পারেন।
ভিজিটিং কার্ডে কিউআর কোড;
আপনার ভিজিটিং কার্ডেও একইভাবে কিউআর কোডের মাধ্যমে যুক্ত করতে পারেন ফেসবুক বা অন্য কোনো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংসাইটের ঠিকানা। ফলে আপনার কার্ডটি যাকে দিচ্ছেন, তিনি অনেক ঝামেলা থেকে রেহাই পাবেন। স্ক্যান করেই তিনি আপনার বিস্তারিত সেভ করে নিতে পারবেন। কার্ডে নতুনত্ব আনার পাশাপাশি এটি সময়ও বাচিয়ে দেবে।
গাড়ির পার্টস চিনতে কিউআর কোড;
জাপানের গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিগুলো সম্প্রতি কিউআর কোডকেই গাড়ির বিভিন্ন পার্টস শনাক্ত করার জন্য বেছে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, অনেক ফেসবুক পেজ কিংবা ওয়েবসাইটেও দেখবেন ও কোডের মাধ্যমে কোনো লিংক বা তথ্য পরিবেশন করতে।
আরও প্রয়োজনে কিউআর কোড;
ম্যাগাজিন, বই ও বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা যেতে পারে বা বিশেষ কোনো প্রমোশনাল অফার, বিলবোর্ড ব্যবহার হতে পারে। এমনকি বিজনেস কার্ডে ব্যবহার হতে পারে ফোন নাম্বার কিংবা ই-মেইল ঠিকানা সংরক্ষনের জন্য।
কিউআর কোড স্ক্যানার;
কিউআর কোড পড়ার জন্য প্রয়োজন একটি কিউআর কোড স্ক্যানার। প্রায় প্রতিটি স্মার্টফোন প্লাটফর্মে ডিফল্টভাবে কিউআর কোড স্ক্যানার দেয়া থাকে। তবে না থাকলেও অ্যাপ স্টোরে বিনামূল্যের অনেক কিউআর কোড স্ক্যানার রয়েছে। এ ক্ষেত্রে জনপ্র্রিয় কিছু কিউআর হলো-নিউআর, ট্যাটমিডিয়া, কিউআর রিডার, আই-নিগমা ইত্যাদি অ্যাপ স্টোর থেকে সংশ্লিষ্ট ডিভাইসের জন্য ডাউনলোড ও ইনস্টল করে ব্যবহার করা যাবে।
কিউআর কোড তৈরি করা;
কিউআর কোড তৈরি করা
কিউআর কোড স্ক্যান করার মতোই এটি তৈরি করারও বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন বা কিউআর কোড জেনারেটর রয়েছে। যেমন- কিউআর ড্রয়েড, আই-নিগমা, ক্যুইকমার্ক ইত্যাদি। এসব অ্যাপে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহজেই কিউআর কোড তৈরি করা যায়। বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও কিউআর কোড জেনারেট বা তৈরি করা যায়। যেমন-2tag.nl/index.php,goqr.me, qrstuff.com, qrmobilize.com ।
অ্যাপের মতোই এসব ওয়েবসাইট থেকে কিউআর কোড তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিলেই হয়। তৈরি হয়ে যাবে আপনার কাঙ্ক্ষিত কিউআর কোড।