মুখ দেহের প্রবেশপথ-এটা জানা থাকলেও পরিচর্যার দিক থেকে দাঁত ও মুখগহ্বর খুবই অবহেলিত। এর কারণে হিসেবে মনে করা হয় আমরা মুখের ভেতরের অংশ পুরোপুরিভাবে দেখতে পাই না। প্রতিদিন দাঁত ও মুখের যত্ন খুবই আবশ্যিক বিষয়। তবে কথা বলতে, হাসতে কিংবা দেখতে সুন্দরের জন্য যত্নের দিক থেকে দাঁত মুখের চেয়ে আমাদের কাছে বেশি প্রাধান্য পেয়ে থাকে। খাদ্য গ্রহণের জন্য প্রধান পথ হলো মুখ, তাই দাঁতের পাশাপাশি মুখগহ্বরের পরিচ্ছন্নতা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত। আমাদের মুখে স্বাভাবিকভাবে মনে করা হয় ৬৪ প্রজাতির প্রায় ৩ লাখ অপকারী বা উপকারী অণুজীব বিদ্যমান। অপকারী অণুজীব দাঁত, মাড়ির এবং মুখগহ্বরের ভেতর বিভিন্ন রোগের কারণ হিসেবে মনে করা হয়।
দাঁত ও মুখের যত্নে করণীয় : ১. খাবার পর কুলিকুচি করার অভ্যাস করতে হবে। এতে খাবারের বাড়তি অংশ কুলিকুচির সঙ্গে বের হয়ে যাবে। মুখে গন্ধ ও মাড়ির রোগ কম হবে। ২. সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। এক থেকে দুই মিনিট দাঁত ব্রাশ করতে হবে। অনেক সময় ধরে দাঁত ব্রাশ করলে এনামেল ক্ষয় হয়ে যায়, ফলে দাঁতে শিরশির অনুভূত হয়। ৩. দিনে একবার ডেন্টাল ফ্লশ ব্যবহার করা উচিত। ৪. সব ধরনের কাঠি ব্যবহার না করা ভালো। ম্যাচের কাঠি বা টুথপিক ব্যবহারে মাড়ি থেকে রক্তপাত হতে পারে, অনেক সময় মাড়িতে প্রদাহ হতে পারে। এতে ব্যথা অনুভব হতে পারে। ৫. দিনে একবার দুই আঙ্গুল চেপে মাড়ি ম্যাসাজ করা ভালো। ৬. এছাড়া ছয় মাস বা এক বছর অন্তর ডেন্টিস্টের পরামর্শ নিতে পারেন।
ডা. আহমাদ বুলবুল, ডেন্টাল সার্জন
পিজিটি ট্রেনিং, বিএসএমএমইউ