পশ্চিম আফ্রিকায় মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে ইবোলা ভাইরাস। ইতোমধ্যে বহু লোক মারা গেছেন ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। শুধু আফিক্রাবসীই নন, বিশ্বব্যাপী ইবোলা ভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ইবোলা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। পশ্চিম আফ্রিকায় বিভিন্ন শান্তি মিশনে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী সদস্যরাসহ বিভিন্ন বাহিনীর শান্তিরক্ষীরা কর্মরত রয়েছেন। যাদের মাধ্যমে বংলাদেশেও চলে আসতে পারে এই ভাইরাস।
প্রাণঘাতী ইবোলা ভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশেও সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যেই ৯০ দিনের বিশেষ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, স্থল ও নৌবন্দরে চিকিৎসক দল ভাইরাস আক্রান্ত মানুষদের শনাক্তে কাজ করবে।
এছাড়াও চিকিৎসক দলের কার্যক্রম সমন্বয় ও তদারকি করবে স্বাস্থ্য সচিবের নেতৃত্বে গঠিত অ্যাকশন কমিটি। এ দলে স্বাস্থ্য অধিদফতর, আইইডিসিআর, ইমিগ্রেশনসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রতিনিধি থাকবেন বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
তবে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস যেন বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জনসচেতনতা। এ কারণে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য ইবোলা ভাইরাস সংক্রান্ত কিছু জরুরি তথ্য তুলে দেওয়া হলো।
ইবোলা কী?
ইবোলা ভাইরাস আগে রক্তপ্রদাহজনিত জ্বর [Ebola hemorrhagic fever (EHF)] হিসেবেই সমধিক পরিচিত ছিল। ইবোলা মূলত একটি আরএনএ ভাইরাস। যেটির নামকরণ করা হয়েছে কঙ্গোর ইবোলা নদীর নাম থেকে। ইবোলা ভাইরাস গোত্রের ৫টির মধ্যে ৩টি প্রজাতি মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়ে গুরুতর অসুস্থ করার ক্ষমতা রাখে! বাকি ২টি মানুষের জন্য তেমন ক্ষতিকর নয়। এদের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হচ্ছে জাইরে (Zaire) ইবোলা ভাইরাস (জাইরে হলো একটি জায়গার নাম যেখানে সর্বপ্রথম এই ভাইরাসে কোনো মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলো)। প্রথমবার এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার ছিল শতকার ৯০ শতাংশ! ভয়াবহ এই ভাইরাসটি মানবদেহে রক্তপাত ঘটায়। লিভার, কিডনিকে অকেজো করে দেয়, রক্তচাপ কমিয়ে দেয়, হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন কমিয়ে দেয় এবং শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যাহত করে।