১. প্রথমে বসতে হবে। দাঁড়িয়ে পানি খাওয়া যাবে না। নিয়মিত খাবারের সময় যেমন বসতে হয়। পানি খাওয়ার সময়ও সেরকম বসতে হবে।
২. স্বাভাবিকভাবে চুমুক দিয়ে পানি খেতে হবে। ঢক ঢক করে বা বড় বড় ঢোক দিয়ে খুব দ্রুত পানি খাওয়া যাবে না। একবারে ঢক ঢক করে বেশি পানি খেয়ে ফেললে শরীর তা গ্রহণ করতে পারে না। এর বেশিরভাগই শরীর থেকে তখনই বের হয়ে যায়।
৩. সারাদিন বার বার অল্প পানি খেতে হবে।
৪. অন্তত ঘরে সাধারণত যে তাপমাত্রা থাকে সেই তাপমাত্রার পানি পান করতে হবে। মানে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি। তবে এর চেয়ে সামান্য একটু গরম হলে ভালো। ঠাণ্ডা পানি হজম শক্তি কমিয়ে দেয়।
৫. খাবার খাওয়ার সময় খুব অল্প পরিমাণ পানি পান করতে হবে। খাওয়ার সময় বেশি পানি খেলে পেটে খাবার পরিপাক বা হজম হওয়ার জন্য যথেষ্ট জায়গা থাকে না। খাবার খাওয়ার সময় এই নিয়ম মনে রাখতে হবে–পাকস্থলীর ৫০ ভাগ পূর্ণ করতে হবে খাবার দিয়ে, পানি দিয়ে পূর্ণ করতে হবে ২৫ ভাগ। আর বাকি ২৫ ভাগ খালি রাখতে হবে পরিপাক রস এবং পরিপাক ক্রিয়া বা হজমের জন্য।
৬. উপরোক্ত একই কারণে খাওয়ার একদম আগে বা পরে বেশি পানি পান করা যাবে না। ৫০ ভাগ ভরতে হবে খাবার দিয়ে, ২৫ ভাগ পানি দিয়ে এবং বাকি ২৫ ভাগ খালি রাখতে হবে।
৭. যখনই তৃষ্ণা পাবে তখনই পানি খেতে হবে। পানি পিপাসা পাওয়া একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। এর মানে শরীর পানির অভাববোধ করছে। তাই তৃষ্ণা পেলেই পানি খেতে হবে।
৮. প্রত্যেকের শরীরের সাইজ, খাবারের পরিমাণ এবং লাইফস্টাইল আলাদা আলাদা। একজনের জন্য দিনে আট গ্লাস পানি প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু সবার জন্য তা নাও হতে পারে। প্রাকৃতিকভাবে মানুষের শরীরের প্রয়োজনীয় পানি পরিমাপ করার একটি পদ্ধতি রয়েছে। সে পদ্ধতিটি হল তৃষ্ণা। তৃষ্ণা পেলে পানি খেতে হবে। সারাদিন ধরে তৃষ্ণা পেলেই পানি খাওয়ার মাধ্যমে সঠিক পরিমাণে পানি খাওয়া হয়ে যাবে।
Courtesy: Facebook Page.