পাকলে ফল, কাচা তো সবজি। এই হল পেঁপের ম্যাজিক। পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণের হজমকারী এনজাইম পেপেন বিদ্যমান। পাতায় অ্যালকালয়েড, গ্লুকোসাইড এবং ফলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন আছে। কাঁচা অবস্থায় সুস্বাদু না হলেও নিরামিষ হিসাবে কাঁচা পেঁপের ব্যবহার খুবই প্রচলিত। আর পুষ্টিগুণ বিবেচনায় পেঁপে একটি মূল্যবান ফল।
পেঁপের অনেক রোগ নিরাময় ক্ষমতা আছে। হজমকারী হিসাবে পেঁপে খুবই জনপ্রিয়। পেঁপেতে পেপেইন (চধঢ়ধরহ) নামে প্রাপ্ত উপাদান প্রোটিনকে হজম করে সহজেই এবং সমগ্র পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার করে। ওজন কমাতে পেঁপে বেশ সহায়ক। পাকা পেঁপে অর্শরোগ ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে হিতকর। পেঁপেকে বলা হয় পুষ্টি উপাদানের ‘রাজভান্ডার’।
পুষ্টি বিবেচনায় পেঁপে অনেক ফলের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। কমলার চেয়ে পেঁপেতে ৩৩% ভিটামিন ‘সি’ এবং ৫০% বেশি পটাশিয়াম রয়েছে। অন্যদিকে আপেলের চেয়ে পেঁপেতে তেরগুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ এবং দ্বিগুণ পরিমাণ বেশি পটাশিয়ম বিদ্যমান। আপেল ও কমলার চেয়ে পেঁপেতে ভিটামিন ‘ই’-এর পরিমাণও চারগুণ বেশি।
গবেষকদের মতে পেপেতে বিদ্যমান লাইকোপিন ক্যান্সার প্রতিরোধী। পেঁপে পুরুষের প্রোস্টেট গ্রন্থির ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। সম্প্রতি কানসাস স্টেট ইউনির্ভাসিটির এক এ তথ্য জানা যায়।
গবেষণায় আরো জানা যায়, ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ পাকা পেঁপে ধূমপানের কুফল এড়াতে সাহায্য করে। ফুসফুসের রোগের ঝুঁকি কমাতে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ খাবার খুবই প্রয়োজন।
শরীরের মেদ ঝরাতে যারা তৎপর, তারা খাদ্যতালিকায় পেঁপে রাখুন। পেঁপেতে ক্যালরির পরিমান খুবই কম, অন্যদিকে এতে বিদ্যমান আঁশ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে সবজি হিসেবে পেঁপে অনন্য।
পেঁপেতে বিদ্যমান ভিটামিন-এ চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া বয়সজনিত ক্ষীণদৃষ্টি রোগ প্রতিরোধেও পেঁপের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
এছাড়াও, পেঁপের মধ্যে থাকা উপাদানগুলো বয়সের ছাপ লুকিয়ে ফেলতে খুব দক্ষ। নিয়মিত পেঁপে খেলে ত্বকে বলিরেখা পড়ার প্রবণতা কমে যায়।
- See more at:
http://www.bd24live.com/article/4582/index.html#sthash.xSLPfVFo.dpuf