Faculties and Departments > Life Science

Alzheimer damage treated by brain!

(1/2) > >>

khairulsagir:
মানুষের স্মৃতি হারিয়ে যাওয়া রোগ আলঝেইমারের শুরুর দিকে মস্তিষ্কের যে ক্ষতি হয়, তা মস্তিষ্কই সারিয়ে তোলে। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা তাঁদের এ ধারণার কথা জানিয়েছেন।
গবেষণা অনুযায়ী আলঝেইমারে আক্রান্ত কিছু মানুষের ক্ষেত্রে চিন্তাশক্তি অক্ষুণ্ন রাখার জন্য বাড়তি স্নায়বিক শক্তি থাকে।
আলঝেইমার রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো দেখা দেওয়ার পর কিছু মানুষের ক্ষেত্রে ব্যাপক স্মৃতি হারানোর প্রবণতা দেখা যায়। গবেষকেরা আশা করছেন, তাঁদের আবিষ্কার এর কারণ ও প্রতিকার খুঁজে বের করতে পারবে।

তবে বিশেষজ্ঞ গবেষকেরা স্বীকার করেছেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
মানুষের স্মৃতি হারানোর রোগের অন্যতম একটি আলঝেইমার। এই রোগের কোনো প্রতিষেধক নেই। তাই এ রোগে আক্রান্তের শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে আরও খারাপ হয়।
সাধারণত ৬৫ বা তদূর্ধ্ব মানুষের মধ্যে এই রোগ দেখা যায়। তবে এর চেয়ে কম বয়স্কদের মধ্যেও এ রোগ দেখা গেছে। ২০০৬ সালের এক সমীক্ষা অনুযায়ী বিশ্বের দুই কোটি ৬৬ লাখ মানুষ এই রোগে ভোগে। এটি বাড়ার হার অনুযায়ী ২০৫০ সালে বিশ্বের প্রতি ৮৫ জন মানুষের মধ্যে একজন এতে আক্রান্ত হবে। বয়স হওয়ার কারণে কিছু স্বাভাবিক অবস্থার সঙ্গে আলঝেইমার রোগের লক্ষণগুলোর মিল আছে, যা রোগাক্রান্তকে খুঁজে পেতে বাধা সৃষ্টি করে। আলঝেইমারের প্রাথমিক লক্ষণের অন্যতম একটি হলো কিছু সময়ের জন্য স্মৃতিলোপ পাওয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার একদল গবেষক মানুষের স্মৃতি হারিয়ে যাওয়া এবং মস্তিষ্কের এই ক্ষয়পূরণের ক্ষমতা নিয়ে গবেষণা করেন। গবেষক উইলিয়াম জাগাস্ট এতে অংশ নেন।
৭১ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওপর গবেষণা চালানো হয়। এঁদের মধ্যে স্মৃতি হারিয়ে যাওয়ার কোনো লক্ষণ ছিল না।
গবেষকেরা ৭১ জনকে কিছু ছবি দেখতে দেন এবং এসব ছবির বিশেষত্ব মনে রাখতে বলেন। পরে তাঁদের দেখা ছবিগুলো সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। এ সময় স্ক্যানারের মাধ্যমে তাঁদের মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পরীক্ষা করে দেখা হয়। পরীক্ষায় বেশি বয়স্ক ১৬ জনের মস্তিষ্কে অ্যামিলয়েড নামক একধরনের আমিষ (প্রোটিন) দেখা যায়। এটি আলঝেইমার রোগ হওয়ার একটি লক্ষণ।

অ্যামিলয়েড হলো অদ্রবনীয় তন্তুময় বিশেষ গঠনের আমিষ। অন্তত ১৮ রকম অস্বাভাবিকভাবে জোড় হওয়া আমিষসহ অন্য কিছু রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমে এটি গঠিত হয়ে মানুষের শরীরে থাকে। এটি পার্শ্ববর্তী অন্যান্য কোষের উপাদানের ক্ষতি করে। এই আমিষের কারণে মানুষের আলঝেইমারসহ ২০ ধরনের বেশি গুরুতর রোগ হয়। আর স্নায়ুবিষয়ক রোগ বেশি হয়।
গবেষকেরা বলেন, প্রাপ্তবয়স্ক ও বেশি বয়স্ক—উভয় ধরনের মানুষই ছবি সম্পর্কে জানাতে পেরেছেন। তবে বেশি বয়স্কদের ছবি সম্পর্কে জানানোর সময় তাঁদের মস্তিষ্কে অপরদের চেয়ে বেশি কার্যকলাপ লক্ষ করা যায়।

এই পরীক্ষার ভিত্তিতে গবেষকেরা দাবি করছেন, আলঝেইমারের প্রাথমিক অবস্থায় যে ক্ষতি হয়, বেশি বয়স্ক ব্যক্তিদের মস্তিষ্কে তা সারিয়ে তোলার ক্ষমতা থাকে।
গবেষকেরা স্বীকার করেছেন, অ্যামিলয়েড আমিষের কারণে কোনো কোনো ব্যক্তির মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশে অপরদের তুলনায় বেশি কার্যক্রম হওয়ার কারণ সম্পর্কে তাঁরা নিশ্চিত নন।
যুক্তরাজ্যের চ্যারিটি আলঝেইমার রিসার্চের গবেষক লরা ফিলিপস বলেন, যুক্তরাজ্যের গবেষকদের তথ্য অনুযায়ী বলা যায়, আলঝেইমার রোগ হওয়ার জন্য দায়ী নির্দিষ্ট আমিষের কারণে যে ক্ষতি হয়, মস্তিষ্কেই এর প্রতিকারের ক্ষমতা থাকে। তবে পরীক্ষার ফলাফল এ রোগের চিকিৎসায় প্রয়োগ করতে হলে বিস্তর গবেষণার প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘমেয়াদি গবেষণার শুরুতেই এটি নিশ্চিত করতে হবে, অ্যামিলয়েড আমিষের উপস্থিতির কারণে বেশি বয়স্ক মানুষের মস্তিষ্কে যে বাড়তি কার্যকলাপ দেখা যায়, তা ক্ষয়পূরণের কাজের কারণেই হচ্ছে কি না। এ বিষয়ে নিশ্চয়তার পর গবেষণা করে দীর্ঘমেয়াদি আলঝেইমারের কারণে অনেক স্মৃতি হারানো ব্যক্তির চিকিৎসায় এটি ব্যবহার করা যায় কি না, খুঁজে বের করতে হবে।
গবেষক উইলিয়াম জাগাস্ট বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, মানুষের সারা জীবনে মস্তিষ্ক নিবিড়ভাবে কাজ করে, তাই সামান্য ক্ষয় পূরণ করা অস্বাভাবিক নয়। বিবিসি।

Source: www.prothom-alo.com

Ferdousi Begum:
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যে সমৃদ্ধ।

drrizona:
informative .

ayasha.hamid12:
Helpful...

Kazi Taufiqur Rahman:
thanks for sharing....

Navigation

[0] Message Index

[#] Next page

Go to full version