অস্ট্রিয়ার গবেষকেরা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখেছেন, ফেসবুক পরিচিত জনদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ভূমিকা রাখলেও এর নিয়মিত ব্যবহারের নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে। ফেসবুক ব্যবহারের কারণে মানসিক অসন্তুষ্টি ও মেজাজ খারাপ হতে পারে।
‘কম্পিউটার্স ইন হিউম্যান বিহেভিয়র’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণা সংক্রান্ত নিবন্ধ।
অস্ট্রিয়ান মনোবিজ্ঞানী ক্রিস্টিনা সাজিয়োগ্লো ও টোবিয়াস গ্রেটামেয়ার ফেসবুক ব্যবহারের মানসিক অবস্থা নিয়ে গবেষণা করেছেন।
গবেষকেরা তিনটি ধাপে এই গবেষণা করেন। প্রথম ধাপে ১২৩ জন সক্রিয় ফেসবুক ব্যবহারকারী শিক্ষার্থীকে ফেসবুক ব্যবহারের পর তাদের মানসিক অবস্থা পরীক্ষা করেন। যাতে দেখা যায় অধিকাংশ জনই ফেসবুক ব্যবহারের ফলে সময় নষ্ট হওয়ার কথা ও একাকিত্ব অনুভব করার কথা জানান।
দ্বিতীয় ধাপে ২৬৩ জনকে আমাজনের মেকানিক্যাল টার্ক প্রোগ্রামের মাধ্যমে পরীক্ষার আওতায় আনেন। এক্ষেত্রেও দেখা গেছে ফেসবুক ব্যবহারের ফলে অধিকাংশ জনই তাঁদের মেজাজ বিগড়ানোর কথা বলেছেন। শেষ ধাপে ১০১ জনকে পরীক্ষা করে দেখা যায় তাঁরা ফেসবুক ছাড়া একাকিত্বে ভোগেন।
মন খারাপের জন্য দায়ী
মন-মেজাজ খুব খারাপ। ভাবছেন ফেসবুকে ঢুকে মনটা ভালো করবেন? কিন্তু মন ভালো করার জন্য ফেসবুকে না যেতেই পরামর্শ দিয়েছেন অস্ট্রিয়ার গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মন খারাপের সময়টাতে কেউ ফেসবুকে যত সময় কাটাবেন মন তত বেশি খারাপ হতে থাকবে। এ সময় মনে হতে পারে শুধু শুধু ফেসবুকে সময় নষ্ট করছি। এটি মনের উদ্যমকে কমিয়ে দেবে।
প্রধান গবেষক ক্রিস্টিনা সাজিয়োগ্লো এ প্রসঙ্গে বলেন, কোনো কিছু করা যখন অর্থহীন মনে হয়, পরবর্তীতে তা মন-মেজাজ খারাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এর আগে, অন্য গবেষকেরা ফেসবুক নিয়ে যে গবেষণা করেছিলেন তাতে একাকিত্ব ও ঈর্ষার কারণ হিসেবে ফেসবুককে দায়ী করা হয়েছিল।
http://www.prothom-alo.com/technology/article/