কসবজিপ্রেমী প্রায় সব ভোজনরসিকের কাছেই কচুশাক পরিচিত খাবার। ‘কচু’ কেবলই ‘কচু’ নয়, সর্বজন পরিচিত এ কচুর শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, বি, সি ও ক্যালসিয়াম, আয়রনসহ অন্যান্য পুষ্টিগুণ।
প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণের যোগান ছাড়াও এ শাক বিভিন্ন রোগের পথ্য হিসেবেও ভূমিকা রেখে আসছে। পর্যাপ্ত অাঁশ থাকায় কচু শাক মনুষ্যদেহের পরিপাকতন্ত্রের প্রক্রিয়ায়ও কার্যকর ভূমিকা রাখে। কচু শাক ছাড়াও এর মাটির নিচের অংশটিতেও (কচুমুখী) রয়েছে স্বাস্থ্যকর পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ উপাদান। স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও রোগ প্রতিরোধে কচুশাকেরও জুড়ি নেই।
সাধারণত আমরা দু’ধরনের কচুশাক ভোজন করে থাকি। সবুজ কচুশাক ও কালো কচুশাক।
স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের হিসাব মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম সবুজ ও কালো কচুশাকে যথাক্রমে ১০,২৭৮ ও ১২,০০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন থাকে যা হলো ভিটামিন ‘এ’র উৎস।
অবর্ণনীয় সব পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ কচুশাকে আর কী থাকে এবারে তা দেখে নেওয়া যাক।
প্রতি ১০০ গ্রাম সবুজ কচুশাকে থাকে-
*৩.৯ গ্রাম প্রোটিন
*৬.৮ গ্রাম শর্করা
*১.৫ গ্রাম স্নেহ বা চর্বি
*২২৭ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম
*১০ মিলিগ্রাম লৌহ
*০.২২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-১ (থায়ামিন)
*০.২৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২ (রাইবোফ্লেবিন)
*১২ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’
*৫৬ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি
রতি ১০০ গাম কালো কচুশাকে থাকে-
*৬.৮ গ্রাম প্রোটিন
*৮.১ গ্রাম শর্করা
*২.০ গ্রাম চর্বি
*৪৬০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম
*৩৮.৭ মিলিগ্রাম লৌহ
*০.০৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-১ (থায়ামিন)
*০.৪৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-২ (রাইবোফ্লোবিন)
*৬৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি
*৭৭ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি
বলাই বাহুল্য, সবুজ কচুশাকের তুলনায় কালো কচুশাক অনেক বেশি পুষ্টিকর।
অতএব, যে কচুশাককে অবহেলায় ফেলে এসেছেন বাজারের কোণে অথবা রেখে দিয়েছেন রান্নাঘরের কোণে-পরম যত্নে সেটি নিয়ে আসুন খাবার টেবিলে, অন্তত স্বাস্থ্যগুণের কথা মাথায় রেখে!Source:
http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/325631.htmlSarmin Sultana
Assistant Coordination Officer
BBA Progarm