আলী আহম্মেদ মাহি ঃ
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন অবস্থায়ই বিরাট ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তাকে সঙ্গী করে যাত্রা শুরু করেন নিজের হাতে গড়া পাম অয়েল উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল পাম ট্রি প্ল্যান্টেশনের প্রকল্প নিয়ে। দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর সিদ্ধান্ত নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ফি পরিবার থেকে একবারে সংগ্রহ করে তা বিনিয়োগ করবেন নিজের স্বপ্নের প্রকল্পে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও পরিবার থেকে অর্থ দুটিই মিলল। এবার পালা মাঠে নামবার। প্রথমে কুমিল্লায় অফিস স্থাপন করলেও পরবর্তীতে পরিবেশগত সুবিধার জন্য বান্দরবানে বাগান ও অফিস স্থানান্তর করেন। আড়াই লক্ষ টাকার এ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করেন ২ জন কর্মীকে বাগান দেখাশুনার জন্য। এরপর, তিনি ২৫ একর জায়গার উপর স্থাপন করেন এক্সপেরিমেন্টাল গার্ডেন। তারপর, শুরু করেন মালয়শিয়ান পাম অয়েল রিসার্চ বোর্ডের রিসার্চ পেপার স্টাডি করা ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগ করা। তিনি নিজেও এরপর তৈরি করেন “Prospect and Problem of Palm Oil Production” শিরোনামের একটি রিসার্চ পেপার এবং সেটি জমা দেন এসএমই ফাউন্ডেশনে। স্থান লাভ করেন এসএমই প্রতিযোগিতার সেরা ৩০-এ। পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) কর্তৃক উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা প্রদান প্রকল্প সম্পর্কে। তার পাম অয়েল এগ্রো প্রসেসিং প্রকল্পটির জন্য ব্যাংক এশিয়া কর্তৃক ঋণ প্রাপ্তির জন্য মনোনীত হন। তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হচ্ছে সফল পাম অয়েল উৎপাদন কোম্পানী প্রতিষ্ঠা করা এবং বাংলাদেশ পাম অয়েল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা।