Faculties and Departments > Genetic & Biotechnology

বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবোলা?

(1/1)

mahzuba:
 পশ্চিম আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়া এবোলা ভাইরাস ইতোমধ্যেই সারা পৃথিবীর মানুষের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতি কি আরও খারাপ হয়ে উঠতে পারে? এবোলা ভাইরাস কি বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে আরও বেশি মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে? একজন সংক্রামক-ব্যাধি বিশেষজ্ঞ যদিও মোট প্রকাশ করেছেন যে এবোলা ভাইরাস পরিবর্তিত হয়ে বায়ুবাহিত রূপ নিতে পারে, কিন্তু অন্যান্য অনেকেই এ সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন। এমনকি তারা এটাও বলছেন, এবোলা যদি বায়ুবাহিত রূপ নেয় তবে তার ঝুঁকির মাত্রা হবে বর্তমানের চাইতে কম। মাইকেল অস্টারহোম নামের এই বিশেষজ্ঞের মতে, এবোলা ভাইরাস বায়ুবাহিত হয়ে পড়ার ঝুঁকিটি অমূলক নয় এবং এর ব্যাপারে ভাইরোলজিস্টদের সাবধান হওয়া উচিৎ। বর্তমানে এবোলা ছড়ায় শুধুমাত্র শারীরিক তরলের মাধ্যমে। কিন্তু এটা মানুষের মাঝে যত বেশি ছড়িয়ে পড়ছে, ততই বাড়ছে এর মিউটেশন বা পরিবর্তিত হবার আশঙ্কা। এভাবে মিউটেশন অব্যহত থাকলে একটা সময় এবোলা বায়ুবাহিত ভাইরাসে রূপান্তরিত হতে পারে। ইনফেকশন ছড়িয়ে যেতে পারে পৃথিবীর প্রতিটি অঞ্চলে। অন্যান্য বিশেষজ্ঞেরা দ্বিমত পোষণ করেন। তাদের মতে এমনটি হবার সম্ভাবনা কম। এমনকি বিবর্তনের ব্যাপারে চিন্তা করলে এতে নাকি ক্ষতির বদলে উপকারই হবে। এবোলা ভাইরাস বেশ সহজে মিউটেট করতে বা নিজের জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল পরিবর্তন করতে পারে। কিন্তু একই ক্ষমতা HIV ভাইরাসেরও আছে এবং তা অনেক বেশি সংখ্যক মানুষকে আক্রান্ত করা সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত বায়ুবাহিত হতে পারেনি। আসলে মানুষকে আক্রান্ত করে এমন ভয়াবহ ২৩টি ভাইরাসের মাঝে কোনটিতেই এমনভাবে মিউটেশন ঘটেনি যাতে তার আক্রান্ত করার পদ্ধতিতে পরিবর্তন এসেছে।

জেনেটিক মিউটেশন ব্যাপারটা র‍্যান্ডম, এর কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। এ কারণে মিউটেশন হলেই যে তার ব্যাপারে চিন্তিত হতে হবে তা নয়। নির্দিষ্ট কিছু মিউটেশন হলেই কেবল তা বায়ুবাহিত রূপ নিতে পারবে এবং সেটা হবার সম্ভাবনা খুবই কম। মানবজাতির ভাগ্য খুবই খারাপ হলে তা হতে পারে, কিন্তু এখনই তা নিয়ে চিন্তিত হবার কারণ নেই। বায়ুবাহিত হতে হলে একটা ভাইরাসের খুব দ্রুত বাতাসে শুকিয়ে যাবার ক্ষমতা থাকতে হয়, যা এবোলার এই মুহূর্তে নেই। আর এবোলা যদি বায়ুবাহিত রূপ নিয়েই ফেলে, এর পরেও তা বরতমান অবস্থার চাইতে বেশি ভয়ংকর হবে না বলে তারা মনে করছেন। ভাইরাসের মিউটেশন হলে তারা সাধারণত একটি নতুন ক্ষমতা পায় আবার পুরনো আরেকটি ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। বায়ুবাহিত হতে গেলে সম্ভবত এবোলা মানুষকে আক্রান্ত করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে অথবা খুব গুরুতর রোগ তৈরি করতে পারবে না। এবোলা হলো ফিলোভাইরাস গোত্রের অন্তর্ভুক্ত এবং সেই গোত্রের কোনো ভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় না। অস্টারহোমের একটি যুক্তি অবশ্য আমাদেরকে ধাঁধায় ফেলে দেয়। একটি ঘটনায় দেখা যায়, একই বাড়িতে থাকা শূকরের মাঝে থাকা এবোলা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে সেই বাড়িতে থাকা বানরের মাঝে, যদিও বানরগুলো শূকরের সংস্পর্শে আসেনি। অস্টারহোম দাবি করেন এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে এবোলা বাতাসে ছড়াতে পারে। কিন্তু এই একটি ঘটনায় প্রমাণিত হয় না যে এবোলা বায়ুবাহিত হতে পারে। বাড়ি পরিষ্কারের সময় অন্য কোনোভাবেও এবোলা ছড়িয়ে থাকতে পারে। আর এভাবে মানুষের মাঝে এবোলা ছড়াতে সক্ষম কিনা সেটাও নিশ্চিত হয়ে বলা যায় না। এর পরেও এবোলা ভাইরাসের ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখাটা যে জরুরী তা স্বীকার করেন গবেষকেরা। এতে কখন কোন মিউটেশন হয় তা বোঝা যাবে এবং দরকারি পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে।

mustafiz:
Very important and informative post.

Navigation

[0] Message Index

Go to full version