দেখতে ঠিক বুদ্ধের মতো। ভাঁজ করা দুই হাত, সেই একই হাসি।
চীনের ফ্রুট মোল্ড কোম্পানি বাণিজ্যিকভাবে বুদ্ধের মতো দেখতে এমন শসা উৎপাদন করার উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। যার খোসার রং নাশপাতি মত। কেবল তাই নয়, এর আগে হৃদপিণ্ড আকৃতির তরমুজ, তারা আকৃতির শসা উৎপাদনে সফলতা পেয়েছে তারা।
প্রায় ২০ বছর আগে জাপানের এক কৃষক বর্গাকার কাঁচের বাক্সের ভেতরে চৌকোণা আকৃতির তরমুজ উৎপাদন করেন। এতে সময় লাগে প্রায় ১৮ দিন। অনেকটা একই পদ্ধতিতে শসার আকৃতি পরিবর্তন করে বুদ্ধের আকৃতিতে নেওয়া হচ্ছে।
কোম্পানি পক্ষ থেকে জানানো হয়, আমাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল অধিক উৎপাদনশীল কোনো ফলের আকৃতি নিয়ন্ত্রণ করা। শুরুতে শসা বেছে নেওয়াতে কোম্পানির অনেকেই আপত্তি জানায়। কিন্তু শসা এমন একটি ফল যা আকৃতি পরিবর্তন করা সম্ভব।
আর বুদ্ধের আকৃতি বেছে নেওয়ার কারণ এর মধ্যদিয়ে বুদ্ধ দর্শন বিস্তার লাভ করবে, ধর্মীয় মূল্যবোধ বাড়বে।
বর্তমানে এমন একটি অবস্থা দাঁড়িয়েছে ফল বা সবজি দেখতে একটু খারাপ হলে ক্রেতারা তা কিনতে চায় না। অন্যান্য সবজির ক্ষেত্রে যখন পোকা আক্রান্ত হয় তখন আমরা এ পদ্ধতি ব্যবহার করি। ফলে দেখা যায় সবজি অপচয় অনেক কমে গেছে।
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, একজন শসা চাষির শতকরা ৭৫ ভাগ ফসল বাতিল হয়ে যায় আকৃতির কারণে, যদিও এর স্বাদ একই থাকে। অন্যান্য ফসলের ক্ষেত্রেও অনেকটা তাই। যে কারণে বদখদ দেখতে ফসল ৩০ ভাগ ছাড় দিয়ে বিক্রি করেন ক্রেতারা।