জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে

Author Topic: জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে  (Read 2585 times)

Offline mustafiz

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 524
  • Test
    • View Profile
জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে
« on: September 16, 2014, 03:33:20 PM »
সিলেট জেলার জাফলংকে শীতে দেখেছেন অনেকেই। তবে এ জায়গার সৌন্দর্য যে বর্ষাকালেই সবচেয়ে বেশি।


পার্শ্ববর্তী ভারতের মেঘালয় রাজ্যের আকাশ ছোঁয়া খাসিয়া জৈন্তিয়া পাহাড়গুলো এ সময়ে সবুজে ভরে ওঠে। পাহাড়ের গায়ের ঝরনাগুলোও কেবল প্রাণ ফিরে পায় এই বর্ষাতেই।

সিলেট থেকে জাফলং যেতে প্রথমেই দেখে নিতে পারেন জৈন্তা রাজবাড়ি। শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে এ রাজবাড়ির অবস্থান। তবে বেশিরভাগ স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেলেও সিলেট তামাবিল মহাসড়কের মাঝখানে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে জৈন্তা রাজাদের পান্থশালা। সিলেট শহর থেকে তামাবিল সড়কে যেতে দরবস্ত বাজার ছেড়ে সামনে সারিঘাট। সেখান থেকে সামান্য সামনেই জৈন্তা রাজবাড়ি।

জৈন্তা রাজবাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার সামনে জৈন্তা হিল রিসোর্ট। জাফলংয়ের পাঁচ কিলোমিটার আগে নলজুড়ি এলাকায় বিশাল টিলার উপরে গড়ে তোলা হয়েছে পাহাড়ি এ অবকাশ কেন্দ্র। পাশেই ভারতের মেঘালয় রাজ্য। ওখানকার পাহাড়ের সৌন্দর্য এখান থেকে উপভোগ করা যায় ভালোভাবেই। এছাড়া পাহাড়মুখী বেশ কয়েকটি কটেজও আছে এ অবকাশ কেন্দ্রে। জৈন্তা রিসোর্ট থেকে উপভোগ করা যায় মেঘালয় পাহাড়ি ঝরনার সৌন্দর্য।

জৈন্তা রিসোর্ট থেকে এক কিলোমিটার সামনে তামাবিল স্থল বন্দর। এখান থেকে মূলত কয়লা আমদানী হয় বাংলাদেশে। তামাবিল থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার সামনে জাফলং। সিলেট শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৫৫ কিলোমিটার।

ভারতের সীমান্ত ঘেঁষে খাসিয়া জৈন্তিয়া পাহাড়ের কোলে মনোরম পর্যটন কেন্দ্র এটি। এ জায়গা থেকে মানুষের পাথর উত্তোলনের দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হবেন যে কেউ। স্বচ্ছ পানির নিচ থেকে ঝুড়ি ভরে এখানে পাথর তুলে আনেন শ্রমিকরা।
[/center
]

[/center
]
সংগ্রামপুঞ্জির শেষ প্রান্তে জাফলং চা বাগান।

খাসিয়া পাহাড়ের পাদদেশে স্বচ্ছ পানির নদী পিয়াইন। খাসিয়া জৈন্তিয়া পাহাড় থেকে জন্ম নিয়ে এ নদী মিশেছে সুরমার সঙ্গে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিচ্ছেদ রচনাও করেছে এ নদী। ইচ্ছে হলে পিয়াইন নদীতে নৌ ভ্রমণও করতে পারবেন।



জাফলংয়ের ওপারেই দেখা যায় ভারতের ডাউকি বন্দর। ডাউকি থেকে শিলং খুবই কাছে। মাত্র ৪০ কিলোমিটার। ডাউকি বন্দরের পাশেই রয়েছে উঁচু দুই পাহাড়ের মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী ডাউকি ঝুলন্ত সেতু।

কয়েক বছর আগে পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর ব্রিজটি আরও পেছনে নিয়ে যাওয়ায় জাফলংয়ে দাঁড়িয়ে পাহাড়ের সঙ্গে ঝুলন্ত ব্রিজের আগেকার দৃশ্য এখন ভালোভাবে দেখা যায় না। তবে নদী পেরিয়ে সামনে গেলে ব্রিজ আর ডাউকি বন্দর দেখা যায় ভালোভাবে।

জাফলংয়ের ওপারে দেখে আসতে পারেন খাসিয়াদের বৈচিত্র্যময় জীবনচিত্র। জাফলং মূল পর্যটন কেন্দ্র থেকে নদী পার হয়ে পশ্চিম পারে গেলেই পাওয়া যাবে খাসিয়াদের গ্রাম ‘সংগ্রাম পুঞ্জি’। এ পুঞ্জির শেষ প্রান্তে আছে জাফলং চা বাগান।

« Last Edit: September 16, 2014, 03:36:51 PM by mustafiz »