“আমার বাচ্চাটা এতোদিন তো ভালোই খাবার খাচ্ছিল। বেশ কয়েকদিন ধরে কি যেন হয়েছে। কিছুই খেতে চাইছে না। এভাবে ক্ষুধা কমে গেলো কেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না”। এমন অভিযোগ আমাদের চারপাশের হাজার হাজার মায়ের। সন্তানের একটু সমস্যাতেই মায়েদের চিন্তার অন্ত থাকেনা। আর খাওয়ার ব্যাপারে এই চিন্তা তো মায়েদের ঘুমই নষ্ট করে দিতে পারে। কি হতে পারে শিশুদের ক্ষুধা কমে যাওয়ার কারনসমূহ? চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনার সন্তানের ক্ষুধা কমে যাওয়ার নেপথ্য কিছু কারনঃ
১। শিশুর ক্ষেত্রে ক্ষুধা লোপ পাওয়ার অন্যতম প্রধান একটি কারন হলো তীব্র কোন ইনফেকশন। এই ইনফেকশন বিভিন্ন কারনেই হতে পারে যা নির্ণয়ের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরীক্ষা করাতে হবে।
২। দ্বিতীয় কারনটি হতে পারে শিশুকে ঠেলে, জোর করে খাবার খাওয়ানো। সবসময় এভাবে খাওয়ানোর পর একটা সময় শিশু এতে অতিষ্ট হয়ে খাবারের উপরেই একেবারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এবং কোনভাবেই খেতে চায় না।
৩। বিভিন্ন রকমের চকোলেট, চিপস, রঙ করা আকর্ষণীয় খাবার শিশুদের বরাবরই আকর্ষণ করে থাকে। কিন্তু ক্রমাগত এসব প্যাকেটজাত বাইরের খাবার খেতে দেওয়ার ফলে শিশুর স্বাদানুভূতি অনেকটা স্তিমিত হয়ে যায় এবং শিশু ভালো, ঘরে তৈরি করা পুষ্টিকর খাবার খেতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
৪। হতাশায় ভোগা শিশুরা সাধারণত খাওয়া নিয়ে অনীহা প্রকাশ করে। এই হতাশা অনেক কিছু থেকেই তৈরি হতে পারে। মা-বাবা’র দায়িত্ব হলো শিশুর এই হতাশার কারন খুঁজে বের করা এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া।
৫। অনেক ওষুধ আছে যেসব সেবনের ফলে শিশুর ক্ষুধা কমে যেতে পারে। এমন কিছু ওষুধের নাম হলোঃ
পেনিসিলামাইন, ইপিড্রিন, ডিসোকিসন, মেট্রোনিডাজল, অ্যামাইনোফাইলিন, অ্যামিট্রিপটিলিন, অ্যান্টিহিস্টামিনস ইত্যাদি ওষুধ।
৬। অতিরিক্ত ডোজে ভিটামিন এ ও ডি ক্যাপসুল খাওয়ানো শিশুর ক্ষুধা কমে যাওয়ার জন্য দায়ী হতে পারে।
http://www.hatihatipa.com/2014/09/23/1457/