উইন্ডোজ ৭ প্রি-ইনস্টল করা নতুন পিসি কেনার কথা ভাবছেন? আপনাকে সে ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে হবে খুব দ্রুত। কারণ, ৩১ অক্টোবরের পর উইন্ডোজ পিসি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে উইন্ডোজ ৭ অপারেটিং সিস্টেমের নির্দিষ্ট কিছু সংস্করণ সরবরাহ করা বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফট। এক খবরে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেকরাডার এ তথ্য জানিয়েছে।
অক্টোবর মাসের পর থেকে পিসি নির্মাতাদের কাছে উইন্ডোজ ৭ হোম বেসিক, হোম প্রিমিয়াম বা আলটিমেট সংস্করণের সরবরাহ বন্ধ করছে বিশ্বের বৃহত্তম সফটওয়্যার নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানটি। তবে যেসব উইন্ডোজ পিসি নির্মাতার কাছে উইন্ডোজের এ সংস্করণের পিসি মজুত রয়েছে, তারা তা বিক্রি করতে পারবে। অবশ্য উইন্ডোজ ৭ প্রো-সংস্করণটি কবে নাগাদ বন্ধ হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ।
বাজার বিশ্লেষকেরা অবশ্য মাইক্রোসফটের এই সিদ্ধান্ত খুব কৌশলী বলতে নারাজ। তাঁরা বলছেন, উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের এই সফটওয়্যারটির সাম্প্রতিক সংস্করণ উইন্ডোজ ৮-এ নিয়ে আসার এ প্রচেষ্টাকে ভালো সিদ্ধান্ত বলা যায় না। ২০১২ সালে উইন্ডোজ ৮ উন্মুক্ত করলেও এখনো এ সংস্করণটি জনপ্রিয় হয়নি।
তথ্য বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান নেটমার্কেটশেয়ারের তথ্য অনুযায়ী, উইন্ডোজ ৮ ও উইন্ডোজ ৮-এর আপডেট ৮.১ ব্যবহারকারী মিলিয়ে বর্তমানে বাজারে ১৩.৪ শতাংশ এ সংস্করণটি দখল করতে পেরেছে। বর্তমানে পিসি অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় উইন্ডোজ ৭। এ সংস্করণটির দখলে রয়েছে বাজারের ৫১.২ শতাংশ আর এক যুগ আগে বাজারে আসা উইন্ডোজ এক্সপি এখনো তুমুল জনপ্রিয়। বর্তমানে এক্সপির দখলে রয়েছে বাজারের ২৩.৮৯ শতাংশ।
এ বছরের শুরুতেই মাইক্রোসফট ঘোষণা দিয়েছিল, আগামী বছরের ২১ জানুয়ারি থেকে উইন্ডোজ ৭-এর মূল (বিনা মূল্যের) সমর্থন বন্ধ করে দেওয়া হবে। ২২ অক্টোবর পাঁচ বছর পূর্তি হচ্ছে উইন্ডোজ ৭-এর। ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারির পর থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ‘এক্সটেনডেড সাপোর্ট’ দিয়ে চালাতে হবে উইন্ডোজ ৭। এর জন্য অর্থ খরচ করে নিরাপত্তা আপডেট ও অন্যান্য প্যাঁচ সমর্থন নিতে হবে।