কম্পিউটার কেনায় টাকা বাঁচানোর সাত উপায়

Author Topic: কম্পিউটার কেনায় টাকা বাঁচানোর সাত উপায়  (Read 1473 times)

Offline faruque

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 655
    • View Profile
কম্পিউটার কেনায় টাকা বাঁচানোর সাত উপায়



দৈনন্দিন কাজের জন্য আমাদের অনেকেরই কম্পিউটারের প্রয়োজন হয়। তবে এ কম্পিউটার কেনার জন্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যয় করে অপ্রয়োজনীয় ফিচারসমৃদ্ধ কম্পিউটার কিনে বোকা বনা মানুষও কম নয়। আর আধুনিক বহু ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রের মতোই কম্পিউটার বেশিদিন টিকে না। তবে এটা আশা করা যায় যে, একটি কম্পিউটার তিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত আপনার চাহিদা মেটাতে পারবে।

১. রিফারবিশড কম্পিউটার

রিফারবিশড কম্পিউটার বলতে বোঝায় এসব কম্পিউটার বিক্রির পর কোনো কারণে বিক্রেতার কাছে ফেরত গেছে। এরপর বিক্রেতা সেগুলো ঠিক করে কিংবা কিছুটা পরিবর্তন করে আবার বিক্রি করছে। রিফারবিশড কম্পিউটারের দাম সাধারণ কম্পিউটারের তুলনায় কম হয়। তবে কেনার সময় ওয়্যারেন্টি দেখে নেবেন।

২. সঠিক সময়ে কেনা

আপনি যদি কোনো একটি নির্দিষ্ট সময়ে নয় বরং কিছুদিন পরিকল্পনা করে কম্পিউটার কিনেন তাহলে যথেষ্ট সাশ্রয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে বছরের কোন সময়ে কম্পিউটারের দাম কম থাকে তা খেয়াল করুন। প্রতি বছরের আগস্ট বা সেপ্টেম্বরে নির্মাতারা নতুন মডেল বাজারে ছাড়েন। এতে পুরনো মডেলগুলো তারা কমদামে বাজারে ছেড়ে দেন। আপনি যদি সর্বশেষ মডেলের কম্পিউটার কিনতে আগ্রহী না হন তাহলে এ পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারেন।

৩. নিজেই তৈরি করুন ডেস্কটপ

ল্যাপটপ কম্পিউটারের বদলে আপনি যদি ডেস্কটপ কিনতে চান তাহলে এ পদ্ধতি কাজে লাগাতে পারেন। ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে কম্পিউটারের কনফিগারেশন জেনে নিন। এরপর আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী পার্টসগুলোর তালিকা করুন। এরপর সে তালিকা ধরে কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ কিনে তা জোড়া লাগিয়ে নিজের কম্পিউটার তৈরি করুন। প্রয়োজনে সামান্য চার্জ দিয়ে কোনো টেকনিশিয়ানের সহায়তা নিতে পারেন।

৪. ক্যাশব্যাক খুঁজে দেখুন

অনেক বিক্রেতাই কম্পিউটারের সঙ্গে ক্যাশব্যাক অফার করে। বিশেষ করে কোনো ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটা করলে এ সুবিধা পাওয়া সম্ভব।

৫. নিজের প্রয়োজনীয়তা নির্ণয় করুন

আপনি যদি উচ্চগতির গেমস খেলতে আগ্রহী হন তাহলে প্রয়োজনীয় গ্রাফিক্স কার্ডসহ কম্পিউটার কিনতে ভুলবেন না। অন্যদিকে সঙ্গীতের ভক্ত হলে ভালো সাউন্ড কার্ড ও স্পিকার ছাড়া কম্পিউটার কিনলে হতাশ হবেন। যদি আপনার অ্যাসাইনমেন্টের কাজে লাইব্রেরি বা ক্লাসে নিয়মিত যাতায়াত করতে হয় তাহলে ল্যাপটপ কিনতে পারেন। আর নিয়মিত একটি টেবিলে বসে কাজ করতে হলে ডেস্কটপের বিকল্প নেই। অনেক ব্যবহারকারীই মনে করেন, ডেস্কটপ কম্পিউটারে কাজের সুবিধা বেশি।

৬. আপগ্রেড

আপনার যদি পুরনো কোনো কম্পিউটার থেকে থাকে তাহলে নতুন কম্পিউটার কেনার প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, তা আবার ভেবে দেখুন। পুরনো কম্পিউটারকেই র‌্যাম বাড়িয়ে, বা প্রসেসর আপগ্রেড করে কর্মক্ষম করে তোলা যায়। পুরনো ফাইল সরিয়ে হার্ড ডিস্ক খালি করে বা সম্পূর্ণ কম্পিউটারকে ফরম্যাট করে অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করে গতি বাড়ানো সম্ভব।

৭. পুরনো বিশ্বস্ত মডেলের কথা ভাবুন

আপনার যদি আনকোরা নতুন মডেলের পিসির প্রয়োজন না হয় তাহলে পুরনো বিশ্বস্ত মডেলগুলোর কথা চিন্তা করুন। বাজেট যদি কম হয় তাহলে বিভিন্ন রিভিউ দেখে পুরনো মডেলের যে কম্পিউটার ভালোভাবে চলছে, তা বের করুন। এ ধরনের কম্পিউটার অতীতে ভালো রেকর্ডের অধিকারী হলে ভবিষ্যতেও ভালো চলবে, এমনটাই ধরা হয়।

- See more at: http://www.kalerkantho.com/online/info-tech/2014/09/27/134164#sthash.0kJisy7e.dpuf