Faculty of Engineering > EEE
মানসিক চাপ কমানোর খাদ্যাভ্যাস
(1/1)
Tasnuva Anowar:
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছুই বদলায়। কিন্তু কিছু সমস্যার যেন কোনো সমাধান নেই! কখনোই পিছু ছাড়ে না! ভুলে থাকার চেষ্টা করেও আমরা ভুলতে পারি না। সমস্যার সমাধান না করা গেলে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত মানসিক চাপ থেকে মুক্তির পথই বা কী? বিজ্ঞানীরা বলছেন, শরীরের ওপর ঠিকঠাক নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারলে মনকেও অনেকটাই বশ মানানো যায়। আর এ ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ কিছু খাবারের বিশেষ পুষ্টি উপাদানগুলো আমাদের স্নায়ুকে শীতল রাখতে সহায়তা করে, সাময়িকভাবে হলেও তা কিছুটা মানসিক চাপ কমায়। হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে এমন পাঁচটি খাবারের কথা জানিয়েছে।
কাজুবাদাম
কাজুবাদাম গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান দস্তার একটা ভালো উৎস। দুশ্চিন্তা আর বিষাদগ্রস্ততা দূর করতে খুবই কার্যকর এই দস্তা। শরীরে দস্তার চাহিদা পূরণ করতে পারলে, নিয়মিত এই দস্তার জোগান দিতে পারলে স্নায়ুতন্ত্রকে ঠান্ডা রাখার কাজটা অনেক সহজ হয়। আজকাল বাজারের পাশাপাশি পাড়া-মহল্লার দোকানেও প্যাকেটজাত কাজুবাদাম পাওয়া যায়। নিয়মিত কাজুবাদাম খাওয়ার অভ্যাস করুন, মানসিক চাপ মোকাবিলায় নিজেকে প্রস্তুত করুন।
ওট
ওট বা জইয়ের দানা খুবই স্বাস্থ্যকর খাবার। প্রচুর আঁশযুক্ত এই খাবার শরীরের নানা চাহিদা মেটায়। বিশেষত মস্তিষ্কে ‘সেরোটোনিন’ নামের শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট তৈরিতে খুবই সহায়ক ওট। সেরোটোনিন এমন এক রাসায়নিক যাকে বিজ্ঞানীরা ‘ভালো লাগার’ রাসায়নিক হিসেবে চিহ্নিত করে থাকেন। সকালের নাশতায় কিংবা রাতেও নিয়ম করে ওট খেতে পারেন। দুধে ভিজিয়ে হোক বা কেবল পানিতে ভিজিয়ে হলেও ওট খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে অনেক উপকার পাবেন। বড় বিপণিবিতানসহ নানা চেইন শপে টিনজাত ওট পাওয়া যায়।
আখরোট
আখরোটের নানা পুষ্টি উপাদানের মধ্যে আছে আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড, ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডসহ অন্যান্য পলিফেনোল। এসব উপাদান মস্তিষ্কের চিন্তা ক্ষমতাকে বাড়ায়, প্রখর করে। ফলে নিয়মিত কিছুটা আখরোট খেতে পারলে আপনার চিন্তা ক্ষমতা বাড়বে আর তা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে। বড় বাজারগুলোতে শুকনো খাবারের দোকানে খোলা আখরোটের পাশাপাশি প্যাকেটজাত আখরোটও পাওয়া যায়। কিনে এনে বাড়িতে রেখে দিন, মাঝেমধ্যে খেতে থাকুন। এভাবে শুকনো খাবারের অভ্যাস করাটা খাদ্যাভ্যাসের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
কমলা লেবু
ভিটামিন-সিসমৃদ্ধ কমলা লেবুর অনেক উপকারের কথা তো আমরা জানিই। মন বিষণ্ন থাকলে, শরীর অবসাদগ্রস্ত হলে খানিকটা কমলা লেবুর রস মুহূর্তেই চাঙা করে দিতে পারে। হাতের কাছের এই ফল কেবল সাময়িক প্রশান্তিই দেয় না, নিয়মিত অল্পস্বল্প কমলা লেবু খান শরীর মন দুই চাঙা থাকবে। শরীরে কোলেস্টরলের মাত্রা কমানো, হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো এবং কিডনি ভালো রাখতেও কমলা লেবু খেতে পারেন। শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে রাখাটাও সহজ।
রসুন
রসুনের অনেক গুণ। রসুনের শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খুবই সহায়ক। মানসিক চাপে ভুগলে আমরা নানা অনিয়ম করি আর এতে শরীর ভেঙে পড়ে। এই দুর্বলতার সুযোগে শরীরে বাসা বাঁধে নানা অসুখ-বিসুখ। নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে রসুন খান। এটা শরীরের জন্য অনেক উপকারী। নিয়মিত রসুন খেলে আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি মানসিক চাপে থাকা মানুষদের জন্য আরও বেশি বিপজ্জনক। তাই খাবারদাবারে নিয়মিত কিছুটা রসুন খান, শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকুন।
abdussatter:
necessary post.. thanks.
Kazi Taufiqur Rahman:
thanks for sharing. :)
Navigation
[0] Message Index
Go to full version