কর্মব্যস্ত জীবনে প্রতিনিয়ত আমাদের ধৈর্যর পরীক্ষা দিতে হয়। ট্রাফিক জ্যাম, অপেক্ষমাণ দীর্ঘ সারি ইত্যাদি পরিস্থিতিতে আমাদের অন্তহীন ধৈর্য ধরতে হয়।
বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আগে তাই ধৈর্যের উৎপাদন বাড়ান। এখানে সহিষ্ণুতা বাড়াতে আপনাদের জন্য রয়েছে ৫টি টিপস।
১. তৃপ্ত থাকার চেষ্টা করুন : যা পেয়েছেন তার জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন বড় একটি গুণ। ২০১৪ সালে 'সাইকোলজিক্যাল সায়েন্সেস' জার্নালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, যা সহজে তুষ্ট হতে পারেন তারা স্ট্রেস থেকে মুক্ত থাকেন এবং আশাবাদী হন। এর সঙ্গে যেকোনো বিষয়ে আপনার ধৈর্য বাড়িয়ে দেয়। সামান্য কিছুতে তৃপ্তি পাওয়া থেকে বড় কোনো যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার রিভারসাইড স্কুল অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর গবেষক ইয়ে লি তার গবেষণায় জানান, তৃপ্ত থাকার অভ্যাস দিয়ে জীবনের বহু সমস্যা, সামাজিক অস্থিরতা এবং মাদকের নেশা থেকে দূরে থাকা যায়।
২. ধৈর্যহীনতার কারণ বের করুন : আমাদের যাবতীয় কাজের তালিকা মস্তিষ্কে বড় একটা জটের সৃষ্টি করে। ফলে আমাদের মন এক বিষয় থেকে অন্য বিষয়ে ছোটাছুটি করতে থাকে। এ সময় ধীরস্থিরভাবে চিন্তা করতে হবে, কোন কোন বিষয়গুলো আপনাকে অস্থির করে তুলছে। কোন বিষয়গুলো ধৈর্যহারা করছে তাদের গুছিয়ে আনুন। মোটিভেশনাল কোচ রব হোয়াইট বলেন, বিভিন্ন কাজের তালিকা চারদিক থেকে বিচ্ছিন্নভাবে আমাদের দিকে ধেয়ে আসে। এদের সামলাতে আমরা অস্থির হয়ে পড়ি। তাই এদের আলাদাভাবে গুছিয়ে আনতে হবে।
৩. অপেক্ষা করুন : মুহূর্তের তৃপ্তিবোধ মুহূর্তেই সুখ দেয় আমাদের। তবে এক গবেষণায় দেখা গেছে, অপেক্ষার মাধ্যমে সফলতা পাওয়ার পর যে তৃপ্তি বোধ হয় তার তুলনা নেই। তাই নিজেকে অপেক্ষমাণ রাখান চর্চা করুন। যেকোনো বিষয়ের জন্য অপেক্ষা করতে থাকুন। এটি চর্চার জন্য সাধারণ কোনো কাজে অপেক্ষা করুন। ১০ মিনিট বা ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং কাজে যোগ দিন।
৪. দুর্ভোগকে মেনে নিন : প্রতিদিনের জীবনে দুর্ভোগ পোহাতে হয় যা আমাদের ধৈর্য বিনষ্ট করে। বিয়ে এবং পারিবারিক থেরাপিস্ট জেন বোল্টন বলেন, এসব ক্ষেত্রে আরামের খোঁজ শুরু করলেই ধৈর্যচ্যুতি ঘটবে। তাই দুর্ভোগকে গ্রহণ করে নিতে হবে। চরম বাজে সময়েও পরিস্থিতি মেনে নিন। এটি আপনাকে ভালো পরিস্থিতি না আসা পর্যন্ত অপেক্ষায় রাখবে।
৫. দুটো গভীর শ্বাস নিন : যখন সব আশাই ভেস্তে গেছে, অস্থির হয়ে উঠছে মনটা তখনই গভীরভাবে বুক ভরে শ্বাস নিন। কয়েকবার গভীরভাবে শ্বাস নিয়ে ধীরে ধীরে ছাড়ুন। এতে ধীরস্থির হয়ে আসবে মন। আপনি আবার স্থিত হতে পারবেন, ধৈর্যশক্তি ফিরে পাবেন মুহূর্তেই।