Entertainment & Discussions > Fashion
সাধ নাকি সাধ্য?
(1/1)
khairulsagir:
জুতার জন্য খ্যাতনামা ডিজাইনার ব্র্যান্ড ক্রিস্টিয়ান লুবটিন এ বছর তাদের সংগ্রহে যোগ করেছে নেইলপলিশ। লাল রঙের এই নেইলপলিশের নাম ‘রুজ লুবটিন’। এই ব্র্যান্ডের সবচেয়ে উঁচু আট ইঞ্চি হিলের জুতার সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে নেইলপলিশটির মোড়ক ডিজাইন করা হয়েছে। বলাই বাহুল্য, এক নজরে নেইলপলিশটি দেখতে অতুলনীয়। অনেকেই সংগ্রহে রাখতে চাইবেন টকটকে লাল রঙের এক বোতল ‘রুজ লুবটিন’। তবে মজাটা এখানেই। ১৩ মিলিলিটারের এই এক বোতল নেইলপলিশের দাম ৫০ ডলার, যা কিনা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় তিন হাজার ৯০০ টাকা। এবার ভাবুন, এটি কি আপনার চাই-ই! বাজারে ১৫০ টাকাতেই তো পাওয়া যাচ্ছে লাল রঙের নেইলপলিশ। অর্থাৎ আপনি যখন ‘রুজ লুবটিন’ কিনছেন, তখন আপনি মূল্য দিচ্ছেন মূলত পণ্যটির ব্র্যান্ড নাম ও তার মোড়কের। এগুলোকে বলা হয় ‘হাই–এন্ড প্রোডাক্ট’। একইভাবে বিশ্ববাজারে সব ধরনেরই বিলাসবহুল প্রসাধনসামগ্রী রয়েছে। আমাদের দেশে প্রসাধনসামগ্রীর বাজার সীমাবদ্ধ হলেও প্রসাধনপ্রিয় আর কিছুটা শৌখিন ক্রেতার সংখ্যা কম নয়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে এ ধরনের পণ্য সম্পর্কে জেনে অনেকেই আগ্রহী হন তা কিনতে।
.কেউ বিশেষ ব্র্যান্ডের প্রতি আগ্রহী হয়ে আবার কেউ অন্যদের ব্যবহার করতে দেখে এ ধরনের দামি মেকআপ কিনতে চান। অনেকে আবার মনে করেন দামি মেকআপ ব্যবহার করলেই বোধ হয় সাজ সুন্দর হবে। তবে বাজারে যেসব প্রসাধনসামগ্রী সহজলভ্য এবং তুলনামূলকভাবে দামে কম তা কিন্তু মোটেও খারাপ নয়। আবার এটাও সত্য যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঠিক যতটা ব্যয় করবেন, বিনিময়ে ঠিক ততটাই পাবেন।
কীভাবে বুঝবেন কোথায় কিছুটা হাত খোলা হওয়া উচিত, আর কোথায় পকেট বাঁচানোই ভালো।
কিছু উদাহরণ দেওয়া যাক।
মাশকারা
প্রসাধনসামগ্রীর মধ্যে একবার মোড়ক খোলার পর মাশকারার আয়ু থাকে সবচেয়ে কম। একটি মাশকারা খুব বেশি হলে দুই থেকে তিন মাস নিয়মিত ব্যবহারের উপযোগী থাকে। এ ক্ষেত্রে বাজেট সাশ্রয়ী মাশকারা কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ।
নেইলপলিশ
একই রঙের নেইলপলিশ কেউই সাধারণত সপ্তাহ খানেকের বেশি পরেন না। উপরন্তু নেইলপলিশ যদি একবার বোতলেই শুকিয়ে যায় তা আর ব্যবহারের উপযুক্ত থাকে না। দামে সাশ্রয়ী, রঙে প্রচুর বৈচিত্র্য অাবার মানও ভালো নেইলপলিশের অভাব নেই বাজারে। এ ক্ষেত্রে খরচ বাড়ানো অর্থহীন।
লিপস্টিক ও আইশ্যাডো
এ ক্ষেত্রে আপনি দুই ধরনের পণ্যই কিনতে পারেন। বাজারে হরেক রং ও ফিনিশের লিপস্টিক পাবেন। আইশ্যাডোরও অভাব নেই। এগুলো সাধারণত অনেকগুলো করেই সংগ্রহে রাখা হয়। তাই নানা ব্র্যান্ডের পণ্যই কিনে রাখতে পারেন।
ফাউন্ডেশন, প্রাইমার, কনসিলার
এ ধরনের পণ্যগুলোতে দামের সঙ্গে উপাদানের ও গুণাগুণের তারতম্য দেখা যায়। তাছাড়া এগুলো সরাসরি আমাদের ত্বকের সংস্পর্শে যায়, আর আমাদের মুখের ত্বক বেশ সংবেদনশীল। ত্বকের ধরন ও সংবেদনশীলতার কথা মাথায় রেখে এই পণ্যগুলোর নির্বাচনে দামের দিকে নজর না দিয়ে কিছুটা হাত খোলা হতে পারেন। এ ছাড়া ত্বকের রঙের সঙ্গে এগুলো মেলানোও বেশ ঝামেলার। সে ক্ষেত্রে একটু দামি কোনো ব্র্যান্ডের ফাউন্ডেশন যদি আপনার ত্বকের সঙ্গে মানিয়ে যায়, তা কিনে ফেলাই বুদ্ধিমানের কাজ।
মেকআপ ব্রাশ ও টুলস
মেকআপের ফিনিশিং যেমন পারদর্শিতার ওপর নির্ভর করে, তেমনি মেকআপ টুলসের ওপরও নির্ভর করে অনেকাংশে। এগুলো একটু দাম দিয়ে ভালো ব্র্যান্ডেরটা কেনাই ভালো।
মেকআপের ব্রাশ ও টুলসগুলো একটু ভালো মানের হলে এবং সঠিকভাবে যত্ন নিতে পারলে অনেক দীর্ঘস্থায়ীও হয়। ভালো মানের ব্রাশ অনায়াসে চার-পাঁচ বছরও ব্যবহার করে যেতে পারবেন। তাই এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ নিঃসন্দেহে লাভজনক।
লেখক: সৌন্দর্যবিষয়ক ব্লগার
Source: www.prothom-alo.com
ayasha.hamid12:
I think people get fascinated for particular brand for maintaining their social status.
Navigation
[0] Message Index
Go to full version