পৃথিবীর কিছু রহস্যময়ী জায়গা

Author Topic: পৃথিবীর কিছু রহস্যময়ী জায়গা  (Read 3668 times)

Offline faruque

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 655
    • View Profile
পৃথিবীর কিছু রহস্যময়ী জায়গা



সৃষ্টিকর্তার সৃষ্ট এই দুনিয়াটা রহস্যে ঘেরা। মানুষ আজকাল চাদে আর মঙ্গল গ্রহে ঘুরাঘুরি করার চেষ্টায় থাকলেও আমাদের এই পৃথিবীর অনেক রহস্যই উদঘাটিত হয়নি। যেমন বারমুডা ট্রায়াঙ্গাল। আজ পর্যন্ত এই রহস্যের কুল কিনারা হয়নি। তাও, এই জায়গা নিয়ে অনেক বেশী লেখালেখি হবার কারনে হয়তো আমরা এটার নামটা অন্তত জানি। কিন্তু জানেন কি বারমুডা ট্রায়াঙ্গালের মত এমন আর অজস্র রহস্যঘেরা জায়গা আছে যা হয়তো আমরা জানিই না! আজ এরকমই দশটি জায়গার গল্প আপনাদের শোনাব যা হয়তো আগে কখনই শোনেননি বা দেখেন নি কিন্তু এগুলো বাস্তব। আমাদের পৃথিবীরই একটি অংশ কিন্ত আমরা আজও এসব জায়গার রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারি নি। আমি ১০ থেকে ১ পর্যন্ত এগুলোর রেটিং করে বিবরন দিচ্ছি।


কুসংস্কারের পর্বতমালা
এই পর্বতমালা আমেরিকার ফিনিক্সে-এর পূবর্ দিকে অবস্থিত। আর নামেই বুঝা যাচ্ছে এই পর্বতের বৈশিষ্ট্য। স্থানীয় নাম Superstition Mountain। স্থানীয় ইতিহাসে ১৮০০ শতাব্দীতে জ্যাকব ওয়াল্ট্জ নামের এক লোক একটি অনেক বড় স্বর্নের খনি আবিস্কার করেন এই পর্বতমালায়। সে থেকে এই পর্বতের একটা নামকরন হয় Lost Dutchman’s Goldmine. সে তার মৃত্যশয্যা পর্যন্ত এই সোনাল খনির কথা গোপন রেখেছিল। এরপরে যখন এই ব্যাপারটা জানাজানি হয়েছিল তখন অনেক মানুষ ওখানে সোনার খনির সন্ধানে গিয়ে মারা পড়েছে। সে থেকে শোনা যায় এসব নিহত হওয়া মানুষদের আত্মা নাকি এখনও ঘুরে বেড়ায় এই পর্বত শ্রেনীতে। অনেকেই বলেন, এই সোনার খনিকে পাহাড়া দেয় Tuar-Tums নামের এক ধরনের প্রানী যারা বসবাস করে সেই পর্বতের নীচে থাকা অজস্র টানেলে। এপাচি গোত্রের লোকজনরা বলেন এই পাহাড়শ্রেনী নাকি দোযখের মুল দরজা।



আঞ্জিকুনি লেক

 এই লেকের নাম হয়তো আপনারা কখনও শুনেন নি, তাই না? কিন্তু জানেন কি ১৯৩০ সালে এই লেকের পাশের একটা গ্রাম থেকে সব মানুষ উধাও হয়ে গিয়েছিল? একেবারে কর্পুরের মত হাওয়া – যেন বাতাসে মিলিয়ে গিয়েছিল সবাই। ইতিহাস বলে এই গ্রামে কম করে হলেও ২০০০ লোক বসবাস করত। গ্রামে অনেক দোকান-পাট, রাইফেল বা অস্ত্র-সস্ত্র এবং ঘরবাড়ি ছিল – কিন্তু কোন গ্রামবাসীকে কখনও খুজে পাওয়া যায়নি। লাবাল্লি নামের এক ভদ্রলোক এই ঘটনার তদন্তের জন্য কতৃপক্ষকে অবহিত করার পর একটা তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে ঐ গ্রামের যে কবসস্থান ছিল তার কবরগুলোর মধ্যে অন্ত্ত একটি কবরস্থান খোলা অবস্থায় পাওয়া যায়। এবং এটাও নিশ্চিত করা হয় যে কোন প্রানী এটি খুড়েনি বা প্রাকৃতিক ভাবেও খুলে যায়নি। গ্রামের ৩০০ ফিট দুরত্বে অনেক পোষা কুকুরের মৃতদেহও পাওয়া যায় যারা অদ্ভুত কোন কারনে মরে গিয়েছিল। অন্ত্ত না খেয়ে মরে নি কারন ঐ গ্রামের মুদির দোকানে খাবারের অভাব ছিল না আর দোকানটি খোলা অবস্থায় পরেছিল অনেকদিন। তো আসলে কি হয়েছিল সে গ্রামে? অনেকেই বলছে এলিয়েন, ভুত বা প্রেতাত্মার কারনে হয়েছিল। তদন্ত কর্মকতর্ারা যদিও এসব হেসে উড়িয়ে দিয়েছিল কিন্তু তারা কোন রহস্য উদঘাটন করতে পারে নি। কিন্তু স্থানীয়ভাবে আশে পাশের গ্রামের লোকজন মনে প্রানে বিশ্বাস করে যে এই ঘটনা ভ্যাম্পায়ার রা ঘটিয়েছে।



শয়তানের সমুদ্র

Devil’S Sea বা শয়তানের সমুদ্র (Dragon’s Triangle) – শুনেছেন এর কথা? এর কাজ-কারবার অনেকটা বারমুডা ট্রায়াঙ্গালের মত। জাপানের কাছে প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝে অবস্থিত এই আজীব জায়গায় হাজার হাজার ঘটনা রেকডর্ করা হয় যার কোন ব্যাখ্যা নাই। এই জায়গায় জাহাজ, প্লেন এমনকি মানুষও নাকি হাওয়ায় গায়েব হয়ে গিয়েছে অনেকবার। জাপানিজ ফিশিং অথরিটি এই জায়গাকে বিপজ্জনক ঘোষনা করেছিল অনেক আগেই। ১৯৫২ সালে জাপানি সরকার ৩১ জন গবেষক সহ একটি জাহাজ পাঠিয়েছিল এই জায়গায় – আর বলাবাহুল্য সেই জাহাজ আর মানুষগুলোকে আর কখনো খুজে পাওয়া যায়নি। এই জায়গাকে সবাই ভিনগ্রহবাসীর আস্তানা” বলে। আবার অনেকেই বলে আটলান্টিসের হারানো সভ্যতা। -


পয়েন্ট প্লেজেন্ট (Pont Pleasant) ১৯৬৬ – ১৯৬৭ পর্যন্ত এই জায়গাটি অদ্ভুদ একটা প্রানী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল – এটাই মুলত এই জায়গার মিথ। পয়েন্ট প্লেজেন্ট জায়গাটি আমেরিকার ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া অবস্থিত। আর এখানে যে প্রানীর গুজবের কথা বলা হচ্ছে তার নাম মথ্ম্যান (Mothman). প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে এই প্রানীটি ৭ ফিট লম্বা, অনেক বড় পাজরের জল্জলে চোখের একটা মানুষের মত দেখতে প্রানী যার ১০ ফিট লম্বা ডানা আছে। এটাকে আসলে গুজবই বলা চলে। কিন্তু… এখানে একটা ছোট্ট কিন্তু আছে। যাহা রটে তার কিছুটা হলেও ঘটে। ঐ এলাকায় মথম্যান নিয়ে অনেক ধরনের গল্প-কাহিনী এবং লিজেন্ড প্রচলিত আছে। এই মথম্যান নিয়ে হলিউডে বানানো হয়ে ফিল্ম। ১৫ ডিসেম্বব ১৯৬৭ সালে এই এলাকার সিলভার ব্রীজ নামের একটা ব্রীজ পুরোপুরি ধ্বসে পড়ে আর সেই সাথে ৪৫ জন মানুষের প্রানহানি ঘটে। আর এই কাজ নাকি মথ্ম্যানের কাজ। কারন তদন্তে সেই ব্রীজের ভেঙ্গে যাওয়ার কোন কারন বের হয়ে আসেনি। আর কিছু প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য মতে তারা নাকি দেখেছিল এক বিশাল পাখাওয়ালা এক মানুষ এসে ব্রিজটা ফেলে দিল।



Bridgewater Triangle সিরিয়াসলি – আপনারা সবাই যে কোন ধরনের ট্রায়াঙ্গাল থেকে দুরে থাকবেন। যেমন বারমুড়া ট্রায়াঙ্গাল বা লেক আঞ্জিকুনি। এই ট্রায়াঙ্গালগুলো যত নষ্টের মুল। বিশেষ করে Bridgewater Triangle থেকে দুরে থাকেন একেবারে। এটি আমেরিকার ম্যাসাচুসটেস রাজ্য থেকে ২০০ কিমি দক্ষিন-পশ্চিমে, বোস্টনের দক্ষিনে অবস্থিত। আর এই জায়গাঅটা হলো সুপার ন্যাচারাল কাজ কারবারের ভান্ডার! ১৯৭০ সাল থেকে এই জায়গা দেখা যায়নি এমন আজীব জিনিষের সংখ্যা মনে হয় খুব কমই আছে। যেমন বড় লোম আর লম্বা পা-ওয়ালা মানুষ-আর বানরের মত দেখতে কিছু প্রানী, থান্ডারবাডর্ নামের বিশাল আকারের কিছু পাখি, আর নানা রকম হিংস্র জন্ত জানোয়ার। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, এই জায়গাটি হলো UFO দেখা যাবার গুজবের কারখানা। মানে, এই জায়গায় UFO দেখা যাওয়ার গুজব সবচেয়ে বেশী শোনা যায়। ১৭৬০ সাল থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত এই জায়গায় ঘটেনি এমন অদ্ভুত ঘট্না খুব কমই আছে।



বিগোলো রেঞ্চ (Bigelow Ranch)

এটি ৪৮০ একরের একটি প্রাইভেত প্রপার্টি। আমেরিকার ইউটাহ রাজ্যের উত্তরে। এই জায়গার নামে অসংখ্য রিপোটর্ আছে যে এখানে অনেক UFO ভা ভিনগ্রহের যান, অদ্ভুত সম প্রানী আর সুপারন্যাচারাল সব ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। যদিও ১৯৫০ সাল থেকেই এই জায়গাতে সব আজীব ঘটনা ঘটতে শুরু করে, কিন্তু সব্চেয়ে রহস্যময়ী ঘটনাটি ঘটে ১৯৯৪ সালে। প্রথমদিন, যেদিন টেরি এবং গেইন এই জায়গায় মুভ করে কেনার পরে। ঐ দিন তারা এক বিশাল ভাল্লুক দেখতে পায়। প্রথমে তারা সেই ভাল্লুককে পোষ মানাতে চেয়েছিল দেখার পরে। কিন্তু ভাল্লুক মামা অবেক বেশী রাগী আর আক্রমনাত্মক ছিল। যখন টেরি তার বন্দুক দিয়ে ভাল্লুকটিকে গুলি করেছিল, ভাল্লুকের কোন খবরই হয়নি। অনেকটা সেই বন্দুকের গুলি ভাল্লুকের গায়ে কোন ক্ষতিই করতে পারেনি! কিন্তু পরে ভাল্লুকটি সেই জায়গা থেকে পালিয়ে যায়। পয়েন্ট ব্ল্যাং রেঞ্জ থেকে শটগান ত্দিয়ে গুলি করে একটা ভাল্লুকের শরীরে কোন ধরনের দাগ পর্যন্ত ফেলতে পারেনি টেরি। এটি কেমন প্রজাতির ভাল্লুক ছিল? শুধু এই ঘটনাই না, টেরি আর গেইন পরিবার ঐ জায়গায় নিজেদের বাড়ি করার পর থেকেই নানা রকমের UFO রিলেটেড ঘটনার সাক্ষী হয়েছে যার কোন ব্যাখ্যা নেই।  ১৯৯৬ সাল থেকে আমেরিকার National Institute of Discovery Science এই জায়গাকে মনিটর করছে এবং খুজে বেড়াচ্ছে এখানে এমন কি আছে তা জানার জন্য।

- See more at: http://www.deshebideshe.com/news/details/40668#sthash.xyuWXq3c.dpuf

Offline mustafiz

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 524
  • Test
    • View Profile
Wonderful post.