Health Tips > Health Tips

দুর্বা ঘাসের উপকারিতা

(1/1)

taslima:
দুর্বা ঘাসের উপকারিতা
দুর্বা ঘাস একটি আগাছা মূলত আপদ হিসেবেই বিবেচিত। অবাঞ্চিত হলেও এই আগাছার রয়েছে মূল্যবান ঔষধিগুণ। এটি মানবদেহকে সুস্থ ও সবল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। সুপ্রিয় পাঠক, আসুন তাহলে জেনে নিই আমাদের আশেপাশে অযত্নে বেড়ে ওঠা এই আগাছার ওষুধি গুণ।
রক্তক্ষরণ, কেটে যাওয়া বা আঘাতজনিত রক্তপাত, চুল পড়া, চর্মরোগ, দন্তরোগ ও আমাশয়ে উপকারী।
দুর্বা ঘাসের উপকারিতা
দুর্বাঘাস
দুর্বা ঘাসের উপকারিতা
দুর্বাঘাস
১. দুর্বা ঘাসের রস দিয়ে চুল ওঠা বন্ধ হয়। একটি পাত্রে এক লিটার নারিকেল তেল মৃদু তাপে জ্বাল করে ফেনা ফেলে নিন। তারপর দূর্বার ঘাসের টাটকা রস ২০০ মিলি সম্পূর্ণ তেলে মিশিয়ে ফের জ্বাল দিন। চুলা থেকে নামিয়ে ছেঁকে সংরক্ষণ করুন। গোসলের ১ ঘণ্টা আগে ওই তেল চুলে মাখুন। নিয়মিত ২ থেকে ৩ মাস ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হবে।
২. শরীরের কোন স্থান কেটে গেলে দুর্বা ঘাস পিষে আক্রান্ত স্থানে প্রলেপ দিলে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে দূর্বার শিকড় ব্যবহার করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
৩. বমি বমি ভাব বন্ধের জন্য দূর্বা ঘাসের রস ২ থেকে ৩ চামচ ১ চা চামচ চিনির সঙ্গে মিশিয়ে ১ ঘণ্টা পর পর খাবেন। বমি ভাব কেটে গেলে খাওয়া বন্ধ করে দিন।
৪. আয়ুর্বেদীয় মতে রক্ত পিত্তে দুর্বা ঘাস মহৌষধ। এ’রোগে মুখ, নাক ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অংশ দিয়ে রক্তস্রাব হতে পারে। এ’ক্ষেত্রে দুর্বা ঘাসের রসের সাথে কাঁচা দুধ মিশিয়ে খাওয়ালে রোগের উপশম হয়।
৫. শ্বেতপ্রদরজনিত দূর্বলতায় দুর্বা ঘাস ও কাঁচা হলুদের রস সমপরিমাণে মিশিয়ে খেলে রোগী দূর্বলতা কাটিয়ে ওঠে।
৬. দুর্বা ঘাস সন্তান ধারণের ক্ষেত্রেও সম্ভাবনাময় ওষুধ। গর্ভধারণে অসমর্থ হলে দুর্বা ও আতপ চাল এক সাথে বেটে বড়া করে ভাতের সাথে সপ্তাহে তিন/চারদিন খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৭. দুর্বা ঘাস শরীরের রেচনতন্ত্রের স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। প্রস্রাবে কষ্ট হয় অথচ পাথুরী রোগ হয়নি এ’রকম ক্ষেত্রে দুর্বার রস দুধ ও পানি মিশিয়ে খেলে ভাল ফল দেয়। তবে অর্শরোগ থাকলে এটা খাওয়া যাবেনা।
৮. দীর্ঘস্থায়ী আমাশয় রোগেও দুর্বা ঘাসের রয়েছে ফলদায়ক ভূমিকা। এ’ ক্ষেত্রে দুর্বা ঘাসের রস দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৯. আমাশয়ে দূর্বা ঘাসের রস ২ থেকে ৩ চামচ ডালিম পাতা কিংবা ডালিমের ছালের রস ৪ থেকে ৫ চামচ মিশিয়ে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ বার খান। এভাবে ১০ থেকে ১৫ দিন খেলে আমাশয় ভালো হয়ে যাবে।  source: fb & internet

Munni:
Thanks for sharing.

Navigation

[0] Message Index

Go to full version