আল্লাহ বান্দার দোয়া কবুলের আশ্বাস দিয়েছেনপবিত্র কোরআনে সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের আদেশ করেছেন দোয়া করার জন্য এবং তা কবুল করার আশ্বাস দিয়েছেন। সূরা মুমিনের ৬০ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করা হয়েছে, 'তোমরা আমার কাছে দোয়া কর, আমি তা কবুল করব।'
মানুষ মাত্রই ভুল-ত্রুটির অধিকারী। গুনাহ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সে জন্য অনুতপ্ত হওয়া এবং আল্লাহপাকের দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করা জরুরি। আল্লাহ মানুষের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে অভিহিত আছেন। বান্দার গুনাহ যত বেশি এবং যত বড়ই হোক না কেন আল্লাহপাকের দয়া ও ক্ষমার তুলনায় অতি নগণ্য। যারা ক্ষমা প্রার্থনা করবে তাদের জন্য তিনি ক্ষমা ও দয়ার দরজা উন্মুক্ত রেখেছেন।
গুনাহের মাধ্যমে বান্দা নিজের অনিষ্ট সাধন করে। বান্দার জন্য মহাপ্রভুর হুকুমের বরখেলাপ হলো তার কাছে নিজের গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট করা। তবে আল্লাহ আসীম দয়ালু। সূরা নিসার ১১০ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করা হয়েছে, 'যে গুনাহ করে কিংবা নিজের অনিষ্ট করে অতঃপর আল্লাহপাকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, সে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে ক্ষমাশীল ও দয়ালু পেয়ে থাকে।' উলি্লখিত আয়াতদ্বয়ে মহান আল্লাহ বান্দাদের আশ্বস্ত করেছেন, বান্দা অনুতপ্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে দোয়া কবুল করার অঙ্গীকারও করেছেন।
দোয়া করার সময় বান্দার ইয়াকিন অর্থাৎ দৃঢ়বিশ্বাস রাখতে হবে। বিশ্বাস করতে হবে, আল্লাহপাক আমার দোয়া কবুল করবেন। হজরত আবু হোরায়রা (রা.) বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যখন তোমরা দোয়া করবে তখন কবুল হওয়ার দৃঢ় বিশ্বাস রাখবে। কেননা যদি প্রার্থনাকারীর প্রার্থনা কবুল হওয়ার দৃঢ় বিশ্বাস সৃষ্টি না হয়, তবে সে তার আশা-আকাঙ্ক্ষার উপযোগিতা হারিয়ে ফেলে, এমনকি নিষ্ঠার সঙ্গে কিছু চাইতেও সে ব্যর্থ হয়। রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, চলমান বিপদ-আপদ ও ভবিষ্যতের বিপদ-আপদ দূর করার জন্য দোয়া সবচেয়ে উপকারী। অতঃপর হে আল্লাহর বান্দারা দোয়া করাকে নিজের উপর অত্যাবশ্যকীয় করে নাও। অর্থাৎ সারাক্ষণ দোয়া করতে থাক বন্ধ কর না, কেননা বালামছিবত পতিত হতে থাকে, ঠিক সে মুহূর্তে দোয়া তার মোকাবিলায় হাজির হয়, যার ফলে কিয়ামত পর্যন্ত উভয়ের মধ্যে লড়াই চলতে থাকে। সর্ব শক্তিমান আল্লাহর কাছে দোয়া করার অর্থ হলো সব ধরনের গুনাহ এবং বালা মছিবত থেকে নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
লেখক : ইসলামী গবেষক।
- See more at:
http://www.bd-pratidin.com/islam/2014/10/24/38756#sthash.dSzIgBOk.dpuf