ইবোলা ভাইরাসের বিস্তার রোধের উপায়

Author Topic: ইবোলা ভাইরাসের বিস্তার রোধের উপায়  (Read 868 times)

Offline Saqueeb

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 536
  • Test
    • View Profile
আফ্রিকা অঞ্চলে ইবোলা ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করেছে। ছোঁয়াচে এ রোগটি Ebola hemorrhagic fever নামে পরিচিত। ইবোলা ভাইরাস গোত্রের পাঁচটির মধ্যে তিনটি প্রজাতি মানুষের শরীরের মধ্যে সংক্রমিত হয়ে গুরুতর অসুস্থ করার ক্ষমতা রয়েছে।

লক্ষণসমূহ

২১ দিন পর্যন্ত কোনো লক্ষণ প্রকাশ না-ও পেতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তি প্রথমে ফ্লুর মতো হালকা জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা অনুভব করে। কিছুদিন পর তীব্র মাথাব্যথা, জ্বর, শরীর ব্যথা, ত্বকে দানা দানা ওঠা, মুখে ঘা, ডায়রিয়া এবং মারাত্মক বমি শুরু হতে পারে। চূড়ান্ত পর্যায়ে শরীরের ভেতরে-বাইরে রক্তপাত শুরু হতে পারে। এটি লিভার, কিডনি, হৃৎপিণ্ড অকেজো করে দেয়, ফলে রোগীর মৃত্যু ঘটে।

কীভাবে ছড়ায়

আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত, লালা, কাশি, ঘাম, চোখের পানি, বীর্য, বমি ও মলমূত্রের মাধ্যমে রোগের ভাইরাস অন্যজনের দেহে ঢুকতে পারে। ঘা, চোখ, নাসারন্ধ্র, মুখ, গলা ও প্রজননতন্ত্রের মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। এ ছাড়া সংক্রমিত পশু-পাখির সংস্পর্শে এসেছে এমন পশুর মাংস খেলেও ইবোলা হতে পারে।

প্রতিরোধ

এই রোগের কোনো প্রতিষেধক বা টিকা এখনো আবিষ্কার হয়নি। সুতরাং চিকিৎসকের পরামর্শে উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হবে।
যদি সর্বশেষ দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে আক্রান্ত দেশগুলোর কোনো একটিতে ভ্রমণ করে থাকেন, তবে অবশ্যই সতর্ক অবস্থা গ্রহণ করা দরকার। সব সময় হাত সাবান এবং গরম পানি দিয়ে ধুতে হবে। চোখ, নাক অথবা মুখে হাত লাগানোর আগে হাত ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে যাওয়ার সময় শরীর ঢেকে মাস্ক পরে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর নিঃসৃত রস যাতে আপনার সংস্পর্শে কোনোভাবেই না আসে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। রোগের লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে আলাদা করে ফেলতে হবে, যাতে অন্য কেউ এ রোগে আক্রান্ত না হয়।
Nazmus Saqueeb
Sr. Lecturer, Dept. of Pharmacy,
Daffodil International University.

Offline mustafiz

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 524
  • Test
    • View Profile
Very good infomation. All of we should aware about it.