রাসায়নিক এবং বায়োলোজিক্যাল (জীববিজ্ঞান) অস্ত্র নিষ্ক্রিয় করতে পারে এমন মাইক্রো-রকেট’র উন্নয়ন করেছেন বিজ্ঞানীদের একটি দল। খবর বিবিসির।
সমুদ্রপানির ক্ষমতায় অতি ক্ষুদ্র বস্তু মাপার যন্ত্র-রকেট ব্যাকটেরিয়া এবং অরগানফসফরাস নার্ভ (Sarin) গ্যাস’র মত অধঃপতিত প্রতিনিধিদের পরিমাপ করতে সক্ষম।
ক্ষদ্রাকার এসব রকেট পরিশেষে অস্তিত্ব হারানোর আগে আলো, বাতাস থেকে মূল উপাদানগুলো পৃথক করতে দুষিত নমুনায় সাতার কাটতে পারে।
এসিএস ন্যানোতে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে দলটি বলেছে, প্রযুক্তিটি পরিবেশের বিষাক্ত গ্যাস ও তেজষ্ক্রিয়তা-সংক্রামিত বস্তু থেকে দুষণ নিষ্ক্রিয় করতে পারে।
রকেটটি উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জোসেফ ওয়াং ব্যাখ্যায় বলেন, ‘বাহ্যিক কোন অনুপ্রেরণা দরকার নাই, শুধু সমুদ্রপানিকে পরিচয় করিয়ে দাও। পরে বুদবুদ তৈরি কর এবং চতুর্দিকে ঘুরাও। আগে মানুষের বাহ্যিক জ্বালানি লাগতো কিন্তু এখানে আমরা জ্বালানি হিসেবে সমুদ্রপানি ব্যবহার করছি।’
তিনি আরো বলেন, বায়োলোজিক্যাল অস্ত্র এবং অরগানফসফরাসের মতো নার্ভ প্রতিনিধি উভয়ই দুষণকেই রকেটটি অধঃপাতিত করতে পারে। যেগুলো সচরাচর মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
নিম্ন বিকারক ব্যবহার করে অল্প খরচে আমাদের রকেট এসবের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রতিরক্ষা দিতে পারবে।