প্রাণ সৃষ্টির অব্যাহত চেষ্টায় বড় ধরনের সফলতা অর্জন করেছেন যুক্তরাজ্যের মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের বিজ্ঞানীরা। বংশগতির অপ্রাকৃত উপাদান ব্যবহার করে তাঁরা প্রথমবারের মতো পরীক্ষাগারে উদ্ভাবন করতে পেরেছেন কৃত্রিম এনজাইম। নতুন এ আবিষ্কার মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ এবং চিকিৎসায় যুগান্তকারী পরিবর্তন এনে দিতে পারে।
বিজ্ঞানীরা এর আগে পরীক্ষাগারে ‘এক্সএনএ’র কয়েকটি কৃত্রিম ক্ষুদ্রাণু তৈরি করেছিলেন, যা ডি-অক্সিরাইবো নিউক্লিয়িক এসিডের (ডিএনএ) মতো বংশগতির তথ্য সংরক্ষণ ও প্রবাহিত করতে পারে। এরই ধারাবাহিকতায় বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করেন ‘এক্সএনএ-জাইমস’, যাকে তাঁরা অভিহিত করছেন বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম এনজাইম হিসেবে। এই এক্সএনএ-জাইমস সহজ প্রতিক্রিয়া দেখানোর মতো ক্ষমতা রাখে এবং আরএনএগুলোকে প্রয়োজনমতো কাটতে কিংবা ধরে রাখতে পারে, যা শরীরের অভ্যন্তরে থাকা এনজাইমের মতোই কাজ করে।
ডিএনএর সংরক্ষিত তথ্য রাইবোসোম বা কোষের অভ্যন্তরে নিয়ে যেতে পারে আরএনএ। এ ক্ষমতার কারণেই প্রাণপ্রবাহে এনজাইমের গুরুত্ব অপরিসীম। বিজ্ঞানীরা এ জন্য কৃত্রিম এনজাইম আবিষ্কারের এ তথ্যকে প্রাণ আবিষ্কারের পথে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে মনে করছেন।
এক্সএনএ-জাইমস আবিষ্কারের ফলে নিত্যনতুন গবেষণার দ্বার যেমন খুলে গেল, তেমনি এই সিনথেটিক বা কৃত্রিম এনজাইম চিকিৎসাবিজ্ঞানেও উন্মোচন করেছে নবতর সম্ভাবনার। কেননা, কৃত্রিম এই এনজাইম ব্যবহার করে এখন সহজে বিভিন্ন কোষের খবরাখবর বের করা সম্ভব এবং একই সঙ্গে সেগুলোর ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা ক্ষতিকর জীবাণুকে চিহ্নিত করে তা নির্মূলেও ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।