কাঁচা পেঁপে মেদ কমায়

Author Topic: কাঁচা পেঁপে মেদ কমায়  (Read 6833 times)

Offline mustafiz

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 524
  • Test
    • View Profile
কাঁচা পেঁপে মেদ কমায়
« on: November 24, 2014, 04:58:44 PM »
সালাদ খান না এমন পরিবার খুব কমই পাওয়া যাবে। মেদ সমস্যায় ভুগছেন তারা কাঁচা পেঁপে সালাদ হিসাবে খেতে পারেন অনায়াসে।
আমাদের দেশে নানারকম ফল পাওয়া যায়। তার মধ্যে পেঁপে অন্যতম। পেঁপের রয়েছে নানা গুণ। যাদের পেটে গোলমাল দেখা দেয়, তারা পেঁপে খেতে পারেন। অন্যান্য ফলের তুলনায় পেঁপেতে ক্যারোটিন অনেক বেশি থাকে। কিন্তু ক্যালরির পরিমাণ বেশ কম থাকায় যারা মেদ সমস্যায় ভুগছেন তারা পেঁপে খেতে পারেন অনায়াসে। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও সি আছে।
সালাদ এখন খাবার টেবিলের অন্যতম সহ আইটেমেব বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে টমেটো, শসা, গাজর, কাঁচামরিচ, পিঁয়াজ, লেটুসপাতা সালাদে স্থান পায়।




এসব সবজির মিশ্রনে তৈরী সালাদ ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন ইর পরিমাণ থাকায় এধরনের সালাদ এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। তবে সালাদে যদি কাচা পেপে মেশানো হয় তাহলে এটা আরও উপকারী। কারণ পেঁপেতে থাকে প্রচুর পরিমাণ পেপসিন। এই পেপসিন হজমে সাহায্য করে। কাঁচা পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে পেপেইন নামক হজমকারী দ্রব্য থাকে। অজীর্ণ,কৃমি সংক্রমণ, আলসার, ত্বকে ঘা, কিডনি ও ক্যান্সার নিরাময়ে কাজ করে। পাকা পেঁপে ফল ও কাঁচা পেপে সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। পেঁপে কাঁচা কী পাকা, দুটোতেই এর উপকারের মাত্রা সীমাহীন। কাঁচা পেঁপের কষ বাতাসার সঙ্গে খেলে লিভার সংক্রান্ত নানা সমস্যা দূর হয়। এর সঙ্গে খিদে বাড়ে। জন্ডিস হওয়ার সম্ভাবনা কমে। অপরদিকে পেঁপের রসে এমন কিছু উপাদান আছে যা আমাশয়, অশ্ব, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সক্ষম। -পেঁপে খেলে শরীর থেকে দূষিত বায়ু সহজেই বেরিয়ে যায়। কাঁচা পেঁপের তরকারি পথ্যের কাজ করে।
চিকিৎসকরা ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের কাঁচা পেঁপের তরকারি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। অপরদিকে কাঁচা পেঁপের কষ নাকি ঘা শুকাতে সাহায্য করে। পাকা পেঁপে তো খেতেও মিষ্টি। গুণটাও এর মধুর মতো মধুর। -লিভারের জটিল সমস্যা দূর করে। পাচন শক্তি বাড়ায়। অপরদিকে ত্বকের গ্ল্যামার বাড়াতে হলে আপনি পাকা পেঁপে মুখে লাগাতে পারেন। তা আপনার সৌন্দর্যে অভূতপূর্ব চমক এনে দেবে। সারা বছর সবজি ও ফল হিসেবে পাওয়া যায় এমন একটি ফসল হলো পেঁপে। একই গাছ থেকে অপরিপক্ব ফল বা কাঁচা সবুজ পেঁপে সংগ্রহ করে সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। কাঁচা পেঁপের তরকারি একটি উপাদেয় এবং ওষুধি সবজি হিসেবে বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়। অন্য দিকে পরিপক্ব বা পুষ্ট পেঁপে একটি পুষ্টিকর ও জনপ্রিয় ফল। প্রতিদিন কাঁচা পেঁপের তরকারি বা পাকা পেঁপে খাওয়া শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। পুষ্টিগুণের দিক দিয়ে পেঁপে অন্য ফলের তুলনায় অনেক বেশি পুষ্টিকর। পাকা পেঁপে ভিটামিন ‘এ’ এবং ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ। কাঁচা পেঁপেতেও ভিটামিন ‘এ’, ভিটামিন ‘বি’ এবং ভিটামিন ‘সি’ আছে। এ ছাড়া কাঁচা বা পাকা পেঁপেতে লৌহ ও ক্যালসিয়াম আছে। হজমে সহায়ক পেঁপে কাঁচা ও পাকা উভয় অবস্খাতেই শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
পেঁপের ঔষধি গুন সমূহ:
রক্ত আমাশয়: প্রত্যেহ সকালে কাঁচা পেঁপের আঠা ৫/৭ ফোঁটা ৫/৬ টি বাতাসার সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। ২/৩ দিন খাওয়ার পর রক্তপড়া কমতে থাকবে।
ক্রিমি: যে কোনো প্রকারের ক্রিমি হলে, পেঁপের আঠা ১৫ ফোঁটা ও মধু ১চা চামচ একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। এরপর আধা ঘন্টা পরে উষ্ণ পানি আধ কাপ খেয়ে তারপরে ১ চামচ বাখারি (শসা-ক্ষীরার মতো এর স্বাদ) চুনের পানি খেতে হয়। এভাবে ২ দিন খেলে ক্রিমির উপদ্রব কমে যাবে।
আমাশয়: আমাশয় ও পেটে যন্ত্রনা থাকলে কাঁচা পেঁপের আঠা ৩০ ফোঁটা ও ১ চামচ চুনের পানি মিশিয়ে তাতে একটু দুধ দিয়ে খেতে হবে। একবার খেলেই পেটের যন্ত্রনা কমে যাবে এবং আমাশয় কমে যাবে।
যকৃত বৃদ্ধিতে: এই অবস্থা হলে ৩০ ফোঁটা পেঁপের আঠাতে এক চামচ চিনি মিশিয়ে এক কাপ পানিতে ভালো করে নেড়ে মিশ্রণটি সারাদিনে ৩বার খেতে হবে। ৪/৫ দিনের পর থেকে যকৃতের বৃদ্ধিটা কমতে থাকবে, তবে ৫/৬ দিন খাওয়ার পর সপ্তাহে ২ দিন খাওয়াই ভালো। এভাবে ১ মাস খেলে ভাল ফল পাওয়া যাবে।
ক্ষুধা ও হজম শক্তিতে: প্রত্যেকদিন সকালে ২/৩ ফোঁটা পেঁপের আঠা পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে। এর দ্বারা ক্ষুধাও বেড়ে যাবে এবং হজমও ঠিকভাবে হবে।
পেট ফাঁপায়: কয়েক টুকরো পাকা পেঁপের শাঁষ, আর সামান্য লবন এবং একটু গোলমরিচের গুড়ো একসংগে মিশিয়ে খেতে হবে। এর দ্বারা পেট ফাঁপার উপশম হয।
প্রবল জ্বরে: দেড় চামচ পেঁপে পাতার রস এক কাপ পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে। এর দ্বারা জ্বরের বেগ, বমি, মাথার যন্ত্রনা, শরীরে দাহ কমে যাবে। জ্বর কমে গেলে আর খাওয়ার প্রয়োজন নেই।
মাসিক ঋতু বন্ধে: যাদের মাসিক ঋতু বন্ধ হওয়ার সময় হয়নি অথচ বন্ধ হয়ে গিয়েছে অথবা যেটুকু হয় তা না হওয়ারই মত, সেক্ষেত্রে ৫/৬ টি পাকা পেঁপের বিচি গুড়া করে রোজ সকালে ও বিকালে দু’বার পানিসহ খেতে হবে। এর ফলে কয়েকদিনের মধ্যেই মাসিক স্রাব ঠিক হয়ে যাবে, তবে অন্য কোন কারনে এটা বন্ধ হয়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
দাদে: সে যে কোনো প্রকারের হোক না কেন, কাঁচা পেঁপের/গাছের আঠা ঐ দাদে লাগিয়ে দিতে হবে, একদিন লাগিয়ে পরের দিন লাগাতে হবে না, এরপরের দিন আবার লাগাতে হবে, এইভাবে ৩/৪ দিন লাগালে দাদ মিলিয়ে যাবে।
একজিমায়: যে একজিমা শুকনা অথবা রস গড়ায় না, সেখানে ১ দিন অথবা ২ দিন অন্তর পেঁপের আঠা লাগালে ওটার চামড়া উঠতে উঠতে পাতলা হয়ে যায়।
উকুন হলে: ১ চামচ পেঁপের আঠা, তার সঙ্গে ৭/৮ চামচ পানি মিশিয়ে ফেটিয়ে নিতে হয়। তারপর ওই পানি চুলের গোড়ায় লাগিয়ে কিছুক্ষণ রাখার পর মাথা ধুয়ে ফেলতে হয়। এইভাবে একদিন অন্তর আর একদিন বা ২ দিন লাগালে উকুন মরে যায়।

Sourcet: http://www.prohornews.com/details.dpuf

Offline Mafruha Akter

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 309
    • View Profile
Re: কাঁচা পেঁপে মেদ কমায়
« Reply #1 on: January 14, 2015, 03:18:50 PM »
really?
Mafruha Akter
Sr. Library officer
Daffodil International University
(Uttara Campus)

Offline Mosammat Arifa Akter

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 187
  • Test
    • View Profile
Re: কাঁচা পেঁপে মেদ কমায়
« Reply #2 on: February 25, 2015, 04:14:15 PM »
Thanks for sharing..
Mosammat Arifa Akter
Senior Lecturer(Mathematics)
General Educational Development
Daffodil International University