রাজধানীর লাগামহীন বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি রোধে যুগোপযোগী বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন ও তা কঠোর ভাবে কার্যকর করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে জাতীয নাগরিক সমাজ।
সংগঠনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ নাসির উদ্দীন মুন্সী এক বিবৃতিতে এ দাবী জানান।
তিনি বলেন, রাজধানীতে প্রায় দেড়কোটি মানুষ বসবাস করে। রাজধানীর শতকরা ৮০ ভাগ বাসিন্দার নিজস্ব বাড়ি না থাকায়
তাদের ভাড়া করা বাসায় বসবাস করতে হয়। বাড়িওয়ালারা কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে অব্যাহতভাবে বাড়ি ভাড়া বাড়াচ্ছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২০ বছরে বাড়ি ভাড়া বেড়েছে প্রায় ৩২৫ শতাংশ। অথচ এই ২০ বছরে সিটি কর্পোরেশন কোন আয়কর বাড়ায়নি। জাতীয় নাগরিক সমাজ সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছে, বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকর করা, ভাড়াটিয়াদের সাথে চুক্তি সম্পাদন করা, প্রতি বর্গফুট অনুসারে বাড়ি ভাড়া প্রদান করা, বাড়ি ভাড়ার রশিদ প্রদান করা, এক মাসের বেশি ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে অগ্রীম অর্থ না নেয়া, বিনাঅযুহাতে বাড়ি ভাড়া না বাড়ানো, আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা প্রয়োগ করা, পাঁচটি মৌলিক চাহিদার মধ্যে মানুষের বাসস্থানের চাহিদা পূরণ করা, সরকারি কোয়ার্টার নির্মাণ করে স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে ভাড়া দেয়া, এলাকাভেদে বাড়ি ভাড়ার নির্ধারণের পাশাপাশি দুই বছরের পূর্বে ভাড়া বৃদ্ধি না করা, এলাকাভেদে মোড়ে মোড়ে বাড়ি ভাড়া রেট চার্ট স্থাপন করা। তিনি বলেন,
তাহলে ভাড়াটিয়ারা বাড়িওয়ালাদের কর্তৃক নিয়ন্ত্রণহীন ভাড়া ও মানসিক নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পাবে। এমনও দেখা গেছে,
এক মাসের বাড়ি ভাড়া বকেয়া পড়ায় বাড়ির মালিক ভাড়াটিয়াদের বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে দিয়েছে। বাড়িওয়ালারা কোন নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা করে না। কথায় কথায় বাসা ছেড়ে দেন বলা বাড়িওয়ালাদের স্বভাবে পরিণত হয়েছে যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল।